শিরোনাম
বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ফিরে দেখা ২০১৫ আন্তর্জাতিক

ফিরে দেখা ২০১৫ আন্তর্জাতিক

বিদায় ২০১৫।

স্বাগতম ২০১৬। চোখের পলকেই অতীত হলো আরও একটি বছর। অনেক ঘটনা-দুর্ঘটনা, আলোচনা-সমালোচনার বছর ছিল এটি। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বিগত বছরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আয়োজন ফিরে দেখা ২০১৫। আজকের বিষয় আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গ। জানাচ্ছেন— রণক ইকরাম ও আবদুল কাদের

 

অং সান সু চির বিজয়

অং সান সু চি! মিয়ানমারে সংগ্রামের প্রতীক। ৮ নভেম্বর ২০১৫ মিয়ানমারে ঐতিহাসিক নির্বাচনে তার দল NLD- এর নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে। সম্মান করে অনেকেই তাকে সম্বোধন করেন ‘দ্য লেডি’। মুখে মৃদু হাসি, মনে বজ্রকঠিন শপথ। রাজনৈতিক জীবনের ২০ বছরের মধ্যে ১৫ বছরই কেটেছে বন্দীদশায়। কখনো গৃহবন্দী কখনো বা কারাগারে। এর বাইরেও যন্ত্রণা আর বঞ্চনার শেষ ছিল না। কিন্তু তিনি তবুও অবিচল থেকেছেন। নিজের শপথ থেকে নড়েননি একচুলও। নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও দেশে গণতন্ত্রের পতাকা ওড়ানোর শপথটা তার মধ্যে ছিল অবিচ্ছেদ্যভাবে। তিনি অং সান সু চি। তার অবিচল মানসিকতা যাকে পরিণত করেছে ‘এশিয়ার ম্যান্ডেলায়’। আফ্রিকানদের পরাজয়ের শেকল থেকে মুক্ত করতে যেমন লড়াই করেছেন নেলসন ম্যান্ডেলা, ঠিক তেমনি মিয়ানমারের জন্য সু চি। মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল জয়ের পথে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি)। এ বিজয়ের মাধ্যমে সার্থক হলো সু চির ২৫ বছরের সংগ্রামের।

নতুন সৌদি বাদশাহ

২৩ জানুয়ারি ২০১৫ চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ। তার মৃত্যুর পর নিয়ম অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক এ দেশটির নতুন বাদশাহ হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হন তার সত্ ভাই ৭৯ বছর বয়সী যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ। নতুন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এর আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দীর্ঘ ৫০ বছর রিয়াদের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সালমান প্রাচীনপন্থি রক্ষণশীল ও উদারপন্থি সবপক্ষের সঙ্গেই কাজ করতে পারেন। আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের মৃত্যুর পর পরবর্তী যুবরাজের নামও ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী যুবরাজ হিসেবে ঘোষণা করা হয় আবদুল আজিজ। ইবনে সউদের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান মুকরিন বিন আবদুল আজিজ আল সউদের নাম। ২৯ এপ্রিল ২০১৫ তার স্থলে যুবরাজ হিসেবে নিযুক্ত হন মোহাম্মদ বিন নায়েফ।

যুক্তরাজ্য নির্বাচন

৭ মে ২০১৫ অুনষ্ঠিত হয় যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচন। চারটি ব্রিটিশ রাজ্য ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের সমন্বয়ে গঠিত যুক্তরাজ্যে একই দিনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাজ্যের ৫৬তম আইনসভা নির্বাচনে ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৩৩১টি আসন লাভ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয় লাভ করে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টে মোট ৬৫০ আসনের মধ্যে পেতে হয় ৩২৬ আসন। নির্বাচনে বেশি আসনপ্রাপ্ত দুটি দল-ইংল্যান্ডে (৫৩৩টি) কনজারভেটিভ পার্টি ৩১৯টি ও লেবার পার্টি ২০৬টি; স্কটল্যান্ড (৫৯টি) স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (SNP) ৫৬টি এবং লেবার, কনজারজেটিভ ও লিভারেট ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ১টি করে; ওয়েলসে (৪০টি) লেবার পার্টি ২৫টি ও কনজারভেটিভ পার্টি ১১টি এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড (১৮টি) ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি ৮টি ও সিন ফেন ৪টি।

আইলান কুর্দির সেই ছবি

অভিবাসী-শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় ইউরোপের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় বড় রকমের ধাক্কা দেয় তুরস্ক ইজিয়ান সাগরে সৈকতে পড়ে থাকা সিরীয় শিশু আইলান কুর্দির নিথর দেহের সেই ছবিটি। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সবোদরাম শহরের কাছে আকিয়ারলার সৈকতে তোলা এ ছবি কাঁদিয়েছে ইউরোপসহ গোটা বিশ্বকে। তুরস্কের দোগান বার্তা সংস্থা (DHA)-এর আলোকচিত্রী নিলুফার দামিরে তোলা এ ছবি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলে। এ ছবি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় মানব সভ্যতার ক্রান্তিকালকে। এ ছবি স্পষ্ট করে দেয় সৈকতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা বিশ্বমানবতার দুর্দশা।

যুক্তরাষ্ট্রে গণগুলির বছর

গণগুলি ও গণহত্যার মধ্য দিয়ে শেষ হলো যুক্তরাষ্ট্রের বছরটি, ২০১৫ সাল। বন্দুকধারীদের গণগুলির মুখে অসহায় মনে হয়েছে দেশটিকে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সেই অসহায়ত্বের কথা বার বার বলেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে নাগরিকের হাতে থাকা বন্দুক কখনো কখনো নিরীহ মানুষের প্রাণ নিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এজন্য অবশ্য নিয়ন্ত্রণহীন অস্ত্র আইনকেই দায়ী করেছেন। তবে, উল্লেখ্য হামলাকারীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করেছে। গণগুলির যে চিত্র উঠে এসেছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জীবনের নিরাপত্তার ইস্যুটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, যুক্তরাষ্ট্র সত্যিই কী নিরাপদ? এর উত্তর খুঁজতে গণগুলির পরিসংখ্যান চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। ২০১৫ সালে যেসব গণগুলির ঘটনা ঘটেছে, তা বিশ্লেষণ করা যাক। এ বছর দেশটিতে গণহত্যার উদ্দেশ্যে বন্দুক হামলা বা গণগুলির ঘটনা ঘটেছে ৩৬১টি। গড় করলে প্রতিদিন এ ধরনের প্রায় ১টি হামলা হয়েছে। অর্থাত্ এমন কোনো দিন ছিল না, যেদিন যুক্তরাষ্ট্রের কোথাও না কোথাও বন্দুক হামলা হয়নি।

প্যারিস হামলায় স্তম্ভিত বিশ্ব

১৩ নভেম্বর ২০১৫ ফ্রান্সের প্যারিসের একটি কনসার্ট হল, একাধিক রেস্তোরাঁ ও জাতীয় ক্রীড়া স্টেডিয়ামসহ ৬টি স্থানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে রক্তস্নাত হয় ইউরোপের ঐতিহ্যের শহর প্যারিস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এটি ছিল ফ্রান্সে সবচেয়ে ভয়াবহ ও নারকীয় এ হামলা। এতে শতাধিক সাধারণ মানুষ নিহত হন। ২১ শতকে ইউরোপে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণঘাতী হামলা। এর আগে ১১ মার্চ ২০০৪ স্পেনের মাদ্রিদে ট্রেনে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছিল ১৯১ জন। প্যারিস হামলার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল ৯ জন। এর মধ্যে ৭ জন ঘটাস্থলেই নিহত হয়। তাদের বেশিরভাগই আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করে।

 

নেপাল ভূমিকম্প

২৫ এপ্রিল ২০১৫ এক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে হিমালয় কন্যা নেপালে। ধ্বংসাত্মক এ ভূমিকম্পের ভূকম্পন অনুভূত হয় বাংলাদেশ, উত্তর ভারত, চীনের তিব্বত অঞ্চল এবং পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকায়ও। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৮১ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে এবং পর্যটন নগরী, পোখারা থেকে ৮০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত ‘লামজুং’ ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের উত্স স্থল। প্রথমদিকে এর মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৫ এ গিয়ে পৌঁছায়। ৮১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রার ভয়াবহ ও ভূমিকম্পে ধ্বংস উপত্যকায় পরিণত হয় নেপাল।

 

মক্কা ও মিনা ট্র্যাজেডি

১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সৌদি আরবের মক্কাস্থ মসজিদ আল হারামের নির্মাণকাজে ব্যবহূত একটি ভ্রাম্যমাণ ক্রেনটি ঝড়ের কবলে পড়ে ভেঙে বহু প্রাণহানি ঘটে। এ দুর্ঘটনায় ১১৮ জন মারা যান এবং ৩৯৪ জন আহত হন। তাই নিহতের অধিকাংশই হজের উদ্দেশ্যে মক্কায় এসেছিলেন। শহর এ সময় হজের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল।

একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা চলার সময় মিনায় পদদলিত হয়ে আট শতাধিক মানুষ নিহত হন। মুজদালিফা থেকে শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর নিক্ষেপের জন্য যখন মুসল্লিরা মিনায় যাচ্ছিলেন, তখনই পদদলনের ঘটনা ঘটে। উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ বছরের মধ্যে এত বড় প্রাণহানির ঘটনা মক্কায় আর ঘটেনি।

শরণার্থী সমস্যা

শরণার্থীদের কান্নায় ভারি ছিল গোটা ইউরোপের বাতাস। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলতি বছর যে কয়টি আলোচিত বিষয় ছিল, তার মধ্যে একটি হচ্ছে শরণার্থী সংকট! পশ্চিমাদের সামরিক হস্তক্ষেপের কারণে এশিয়া ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে ইউরোপমুখী শরণার্থীদের ঢল নেমেছিল। পরিস্থিতির মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, সংকট মোকাবিলায় ইউরোপীয় নেতাদের  রীতিমতো চোখে শর্ষে ফুল দেখতে হয়েছে। শরণার্থীদের ঢল এখনো অব্যাহত থাকলেও পশ্চিমাদের সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপসহ কঠোর আইন প্রণয়নের কারণে এর তীব্রতা কিছুটা কমেছে। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা জোট ইরাক ও আফগানিস্তানে সামরিক হস্তক্ষেপ করে।

 

বছরজুড়ে আইএস

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিদায়ী বছরজুড়ে যে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীটি আলোচনার শীর্ষে ছিল সেটি হলো ইসলামিক স্টেট (আইএস)। চলতি বছর এ পর্যন্ত এশিয়া ও ইউরোপের ১০টিরও বেশি দেশে একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে আইএস। আর এসব হামলায় নিহতের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। প্রায় এক হাজার লোকের প্রাণ নেয় এই জঙ্গি সংগঠন। তবে ইরাকের সাদ্দাম সরকারের পতন ঘটাতে যে সময় ব্যয় করেছে পশ্চিমাগোষ্ঠী তার কয়েকগুণ সময় পেরিয়ে গেলেও ধ্বংস তো দূরের কথা এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর তেমন কোনো ক্ষতিই করতে পারেনি তারা। বিদায়ী বছরের শুরুতে আইএস প্রথম হামলা চালিয়েছিল তাদের মিত্র বলে পরিচিত সৌদি আরবে। ৪ জানুয়ারি ইরাক সীমান্তবর্তী আরার এলাকায় আত্মঘাতী হামলা চালায়।

 

আলোচনায় রাশিয়া

২০১৫ সালকে বলা যেতে পারে রাশিয়ার প্রত্যাবর্তনের বছর। ১৯৮৮ সালে সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধের পর এই প্রথম বিদেশের মাটিতে রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতি। ৪ সেপ্টেম্বর সিরিয়ায় সেনা উপস্থিতির মধ্য দিয়ে জানান দিয়েছে তারা হারিয়ে যায়নি। পশ্চিমা নীতিনির্ধারকরা ভেবেছিল, একদিকে তেলের মূল্যের নিম্নগতি এবং অন্যদিকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাজনিত অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অনেকটা ম্রিয়মাণ হয়ে পড়বেন। কিন্তু তাদের সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে সার্বিক পরিস্থিতি পুতিনকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছে।

 

 

অমোঘ মৃত্যুর নির্মম দুয়ারে

এপিজে আবদুল কালাম [১৫ অক্টোবর ১৯৩১-২৭ জুলাই ২০১৫] : জন্মস্থান- রামেশ্বরম, তামিলনাড়ু, ভারত। রাষ্ট্রপতি পদে দায়িত্ব পালন ২৫ জুলাই ২০০২ -২৫ জুলাই ২০০৭।

উপাধি : মিসাইলম্যান।

লি কুয়ান ইউ [ জন্ম ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯২৩- মৃত্যু ২৩ মার্চ ২০১৫] : আধুনিক সিঙ্গাপুরের জনক।

কার্ল জারসি [জন্ম ২৯ অক্টোবর ১৯২৩-মৃত্যু ৩০ জানুয়ারি ২০১৫]  : বিশ্বের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের আবিষ্কারক।

ঝেলিউ ঝেলেভ [জন্ম ০৩ মার্চ ১৯৩৫-মৃত্যু ৩০ জানুয়ারি ২০১৫] : বুলগেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট।

রিচার্ড ডন ওয়েজসাকার [জন্ম ১৫ এপ্রিল ১০২০-মৃত্যু ৩১ জানুযারি ২০১৫] : সাবেক পশ্চিম জার্মান প্রেসিডেন্ট ও একীভূত জার্মানির প্রথম প্রেসিডেন্ট।

ভািল ফিচ [জন্ম ১০ মার্চ ১০ মার্চ ১৯২৩-মৃত্যু ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫] : ১৯৮০ সালে নোবেলজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী।

জিন ম্যালকম ফ্রেজার [জন্ম ২১ মে ১৯৩০-মৃত্যু ২ মার্চ ২০১৫] : অস্ট্রেলিয়ার ২২তম প্রধানমন্ত্রী।

টিমাস ট্রান্সট্রোমার [জন্ম ১৫ এপ্রিল ১৯৩১-মৃত্যু ২৬ মার্চ ২০ মার্চ ২০১৫] : ২০১১ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী সুইডিশ কবি।

এদুয়ার্দো গালিয়ানো [জন্ম ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৪০-মৃত্যু ১৩ এপ্রিল ২০১৫] : উরুগুয়ের লেখক ও সাংবাদিক।

সূর্য বাহাদুর থাপা [জন্ম ২১ মার্চ ১৯২৮-মৃত্যু ১৫ এপ্রিল ২০১৫] : নেপালের প্রধানমন্ত্রী।

শুন্টার গ্রাস [জন্ম ১৬ অক্টোবর ১৯২৭-মৃত্যু ১৩ এপ্রিল ২০১৫] : ১৯৯৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান সাহিত্যিক, কবি নাট্যকার, ভাস্কর এবং গ্রাফিক ডিজাইনার।

কিনান ইভরেন [জন্ম ১৭ জুলাই ১৯১৭-মৃত্যু ৯ মে ২০১৫] : তুরস্কের সাবেক স্বৈরশাসক।

জিন ফরবেশ ন্যাশ [জন্ম ১৩ জুন ১৯২৮- মৃত্যু ২৩ মে ২০১৫] : মার্কিন অর্থনীতিবিদ

আউইন এ রোজ [জন্ম ১৬ জুলাই ১৯২৬- মৃত্যু ২ জুন ২০১৫] : ২০০৪ সালে রসায়নশাস্ত্রে নোবেলজয়ী মার্কিন প্রাণরসায়নবিদ।

সুলেমান ডেমিরেল [জন্ম ১ নভেম্বর ১৯২৪ মৃত্যু ১৭ জুন ২০১৫] : তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট।

ইিয়েভজেনি প্রিমকভ [জন্ম ২৯ অক্টোবর ১৯২৯ মৃত্যু ২৬ জুন ২০১৫] : রাশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী

মযািটি ম্যাক্কোনেন [১৬ এপ্রিল ১৯৫২-২৬ জুন ২০১৫] : মোবাইল টেক্সট মেসেজ সার্ভিস (ঝগঝ) এর জনক।

ওিয়ারেন  মারফি [জন্ম ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩৩-মৃত্যু ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫] : মার্কিন লেখক। তার অমর সৃষ্টি উপন্যাস ‘দ্য ডেস্ট্রয়ার’ সিরিজ।

ওমর শরিফ [জন্ম ১০ এপ্রিল ১৯৩২-মৃত্যু ১০ জুলাই ২০১৫] : মিসরে জন্মগ্রহণকারী প্রখ্যাত হলিউড অভিনেতা।

রিচার্ড হেক [মৃত্যু ১০ অক্টোবর ২০১৫] : ২০১০ সালে রসায়ন নোবেলজয়ী মার্কিন রসায়নবিদ। তিনি ‘হেক বিক্রিয়া’ উদ্ভাবনের জন্য’ জগদ্বিখ্যাত।

আহমেদ চালাবি [জন্ম ৩০ অক্টোবর ১৯৪৪-মৃত্যু ৩ নভেম্বর ২০১৫] : ইরাক যুদ্ধের খলনায়ক ও সাদ্দাম বিরোধী শিয়া রাজনীতিবিদ।

হাসিম আবদুল হালিম [জন্ম ৫ জুন ১৯৩৫-মৃত্যু ২ নভেম্বর ২০১৫] : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার সাবেক স্পিকার। তিনি ৬ মে ১৯৮২-১৮ মে ২০১১ টানা ২৯ বছর ধরে বিধানসভার স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।

হেলমুট স্মিথ [জন্ম ২৩ ডিসেম্বর ১৯১৮-মৃত্যু ১০ নভেম্বর ২০১৫] : জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর। তিনি ১৯৭৪-১৯৮২ সালে পশ্চিম জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

ভারতে অসহিষ্ণুতা

২০১৫ সালে ভারতের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল অসহিষ্ণুতা। ফ্রিজে গোমাংস রাখার গুজব তুলে ২৮ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের দাদরিতে আখলাক নামে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের একজনকে পিটিয়ে হত্যা করে একদল উগ্রবাদী হিন্দু। রীতিমতো মন্দিরের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে ঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে এনে আখলাককে হত্যা করে তারা। একই কায়দায় বজরং দলের লোকজন হিমাচল প্রদেশে এক যুবককে খুন করে। একইভাবে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল মধ্য প্রদেশের সিহোরা শহরে।

 

নারী ঝলক

>> ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর ইরান প্রথমবারের মতো নারী রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয় ৮ নভেম্বর ২০১৫। মারজেহ আফখান নামের এ নারী মালয়েশিয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

>> আয়তনের দিক থেকে ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ইউক্রেনে ওরা ফাতেমাভ নামের এক নারী পবিত্র কোরআনে কারিম হেফজ করতে সক্ষম।

>> ৩ নভেম্বর ২০১৫ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিচারক হিসেবে প্রথম কোনো মুসলিম নারী নির্বাচিত হন। তার নাম ক্যারোলিন ওয়ার্কার ডিয়ালো।

>> মুসলমান নারী পাইলট হচ্ছেন সারাহ্ হামিদ আহমদ। বেঙ্গালুরুর ২৫ বছর বয়সী এ নারী ভারতের উড্ডয়ন খাতের ৬০০ নারীর মধ্যে এ মুহূর্তে একমাত্র মুসলিম নারী, যিনি পেশাদার পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

>> কেনিয়ায় প্রথমবারের মতো সেনাবানিহীতে একজন মুসলিম নারী ব্রিগেডিয়ার হন ১১ আগস্ট ২০১৫। ফাতুমা আহমদ নামের এ নারী শুধু প্রথম মুসলিমই নয়, কেনিয়ার ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে এ উচ্চপদে নিয়োগ লাভ করেন।

 

 

বিমান রহস্য উদঘাটন

৮ মার্চ ২০১৪ কুয়ালামপুর থেকে ২৩৯ জন আরোহীসহ বেইজিংয়ের পথে রওনা হওয়ার পরপরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মালয়েশীয় বিমান MH370। উক্ত দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকটি দেশে বহু তল্লাশি চালিয়েও উড়োজাহাজটির কোনো চিহ্ন বা ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ ১৭ মাস পর ভারত মহাসাগরে ফ্রান্সের শাসনাধীন লা রেউনীয় দ্বীপে একটি বিমানের সাড়ে ছয় ফুট লম্বা একটি অংশ পাওয়া যায়। এরপর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা সেটিকেও উধাও হওয়া মালয়েশীয় বিমানের বলে চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত করে।

 

খেলার জগৎ

>> ওয়ানডে ক্রিকেট দ্রুততম সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ডটি হয়েছে বিদায়ী এ বছরেই। বছরের শুরুতেই রেকর্ডটি গড়েন এবি ডি ভিলিয়ার্স। জানুয়ারিতে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের পিটিয়ে মাত্র ৪৪ বলে ১৪৯ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান।

>> ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বসেছিল ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১১তম আসর। নিজেদের মাঠে প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে রেকর্ড পঞ্চম শিরোপাটাও ঘরে তুলেছিল অস্ট্রেলিয়াই।  এ বিশ্বকাপ দেখেছে বেশ কয়েকটি নতুন রেকর্ড।

>> বিশ্বকাপে টানা চার সেঞ্চুরি রেকর্ডটা গড়েন কুমার সাঙ্গাকারা। বিশ্বকাপ তো বটেই, ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসেও তার টানা চার সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে। যা এর আগে করতে পারেননি কেউ-ই।

 >> গ্রুপ পর্বে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১৫ রানের ইনিংস খেলে বিশ্বকাপে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং-দানব ক্রিস গেইল। সেদিন ১৩৮ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন এই বাঁহাতি। যা ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডও।

>> বিশ্বকাপে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন ব্রেন্ডান ম্যাককালাম। গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন কিউই অধিনায়ক।

>>  টেস্ট ক্রিকেটের ১৩৮ বছরের ইতিহাসে গত নভেম্বরে  প্রথম কোনো টেস্ট খেলা হয়েছে লাল বল ছাড়া। প্রথম কোনো টেস্ট খেলা হয়েছে দিবারাত্রির। গত ২৭ নভেম্বর অ্যাডিলেড ওভালে ইতিহাসের প্রথম দিবারাত্রির টেস্টে মুখোমুখি হয়েছিল দুই প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। আর খেলা হয়েছে গোলাপি বলে।

>> টানা পঞ্চম মেয়াদে ফিফা সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার মাত্র চার দিনের মাথায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন সেপ ব্ল্যাটার। দুর্নীতির অভিযোগে এই বছরটি বেশ টালমাটাল অবস্থায় কাটিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

>> বছরের শেষ টুর্নামেন্ট হিসেবে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে নেয় স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা ৩-০ গোলে আর্জেন্টিনার ক্লাব রিভার প্লেটকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা শোকেসে তোলে।

>> ১২ জানুয়ারি জুরিখের ঝলমলে এক অনুষ্ঠানে সময়ের সেরা লিওনেল মেসিকে পেছনে ফেলে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার ঘরে তোলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

>> কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টের শুরু থেকে কখনো শিরোপার দেখা পায়নি চিলি। কিন্তু চলতি বছর ঘরের মাঠে মহাদেশীয় এই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে এই আসরের চ্যাম্পিয়ন চিলি। তাও আবার পরাশক্তি আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে।

প্রযুক্তি ঝলক

>> ২০১৫-এর জানুয়ারিতে দেখা যায় মাইক্রোসফট তাদের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের নামে নম্বরের ধারাবাহিকতা রাখেনি। উইন্ডোজ ৮-এর পরবর্তী সংস্করণ হিসেবে ‘উইন্ডোজ-৯’ না এনে ‘উইন্ডোজ-১০’ নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি।

>>  ফেব্রুয়ারি মাসে নেট নিউট্রালিটি নীতিমালা প্রণয়ন করে এফসিসি। মার্কিন ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন (এফসিসি) ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে নেট নিউট্রালিটি নীতিমালা পাস করে।

>> বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন যখন মার্চের ৩১ তারিখে ঘোষণা দেয় যে, তারা অভিনব সুবিধার পণ্য ‘ড্যাশ বাটন’ নিয়ে আসছে। এটি এমন একটি ছোট ডিভাইস যার মাধ্যমে স্বাচ্ছন্দ্যে পণ্য কেনার অর্ডার দেওয়া যাবে কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ছাড়াই।

>> এ বছরের এপ্রিল মাসটির জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় ছিল প্রযুক্তি বিশ্ব। কারণ অনেক গুজব, গুঞ্জন, আলোচনার শেষে এ বছরের এপ্রিলে বাজারে আসে বহুল কাঙ্ক্ষিত পণ্য- অ্যাপল ওয়াচ। কিন্তু সমালোচকদের মতে, অ্যাপল ওয়াচ চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে অ্যাপলপ্রেমী ও প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মন জয় করতে।

>> সোশ্যাল নিউজ শেয়ারিংয়ের জনপ্রিয় সাইট রেডিট ব্যবহারকারীদের বিদ্রোহের মুখে পড়ে এ বছরের জুলাই মাসে পদত্যাগে বাধ্য হন সাইটটির প্রধান নির্বাহী এলেন পাও।

>> এ বছরের আগস্টে প্রযুক্তি বিশ্বকে চমকে দিয়ে অ্যালফাবেট নামে নতুন কোম্পানি গঠন করেন গুগলের দুই প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন।

>> ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ ও তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের ঘর আলো করে ডিসেম্বরে কন্যা সন্তান এসেছে, এটাই প্রযুক্তি বিশ্বে অনেক বড় সংবাদ।

 

অন্যরকম

ফ্রিডম টাওয়ার

যুক্তরাষ্ট্রের আকাশচুম্বী ভবন নতুন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। ২৯ মে ২০১৫ সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সন্ত্রাসী হামলায় ধসে পড়া টুইন টাওয়ারের সেই জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে দর্শনীয় এ গ্লাস টাওয়ার। এটা পশ্চিম গোলার্ধের সর্বোচ্চ টাওয়ার। এটি ‘ফ্রিডম টাওয়ার’ নামেও পরিচিত।

বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন

২০১৫ সালে উদ্বোধন কা হয় বিশ্বের দ্বিতীয় ও চীনের সর্বোচ্চ ভবন ‘সাংহাই টাওয়ার’।

১২৭ তলাবিশিষ্ট ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালের নভেম্বরে। চীনের বাণিজ্যিক রাজধানী সাংহাইয়ে ৬৩২ মিটার বা ২,০৮৬ ফুট উচ্চতার এ ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয় ২৪০ কোটি ডলার। গ্লাস ও স্টিলের তৈরি বৃত্তাকার এ টাওয়ারটির বাইরের চারপাশে কিছুটা ত্রিভুজ আকৃতির ১২০ ডিগ্রি কোণের বাঁক রয়েছে। অর্থাত্ ১২০ ডিগ্রি কোণে ঘুরতে সক্ষম ভবনটি।

 

 

বিশ্ব জনসংখ্যা রিপোর্ট

জাতিসংঘ তহবিল (UNFPA) ৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ‘বিশ্ব জনসংখ্যা পরিস্থিতি প্রতিবেদন’ প্রকাশ করে। ২০১৫ সালের জনসংখ্যা ৭৩৪ কোটি ৯০ লাখ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার (২০১০-২০১৫) ১.২%। গড় আয়ু এসে দাঁড়িয়েছে পুরুষ ৬৯ বছর ও নারী ৭৪ বছর। নারী প্রতি প্রজনন হার ২.৫ জন। সর্বাধিক নারী প্রতি প্রজনন হারের দেশ নাইজার; ৭.৬। সবচেয়ে কম নারী প্রতি প্রজনন হারের দেশ সিঙ্গাপুর; ১.২। সর্বাধিক জন্মহারের দেশ হলো ওমান; ৮.৪%। জনসংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম দেশ চীন। জনসংখ্যায় বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ টুভ্যালু।

২০১৫ সালের বিশ্ব জনসংখ্যা রিপোর্ট অনুযায়ী শূন্য জনসংখ্যা (Zero Population) দেশ ৫টি- আলবেনিয়া, বেলারুশ, লিবিয়া, পোল্যান্ড, রাশিয়া এবং সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রানাডাইন্স।

শীর্ষ ১০ জনবহুল দেশ-জনসংখ্যা-বৃদ্ধির হার:

দেশ   জনসংখ্যা          বৃদ্ধি(%)

১. চীন ১৩৭.৬০ কোটি      ০.৫

২. ভারত    ১৩১.১১ কোটি      ১.৩

৩. যুক্তরাষ্ট্র   ৩২.১৮ কোটি       ০.৮

৪. ইন্দোনেশিয়া ২৫.৭৬ কোটি       ১.৩

৫. ব্রাজিল    ২০.৭৮ কোটি       ০.৯

৬. পাকিস্তান  ১৮.৮৯      ২.১

৭. নাইজেরিয়া ১৮.২২ কোটি       ২.৭

৮. বাংলাদেশ ১৬.১০ কোটি       ১.২

৯. রাশিয়া    ১৪.৩৫ কোটি       ০.০

১০. মেক্সিকো ১২.৭০ কোটি       ১.৪

 

আলোচিত তালিকা

বিশ্বের শীর্ষ ১০০ চিন্তাবিদ

ওয়াশিংটনভিত্তিক সাময়িকী ফরেন পলিসি ২০১৫ সালের বিশ্বের শীর্ষ ১০০ চিন্তাবিদের তালিকা প্রকাশ করে চলতি মাসের ২ তারিখ। এবারের তালিকাটি হলো সপ্তম। ২০০৯ সাল থেকে এ তালিকা করে সাময়িকীটি। ‘ডিসিশন মেকার্স’ ক্যাটাগরিতে ১৩ জনের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিসিশন মেকার্স তালিকায় উল্লেখযোগ্য যারা রয়েছেন—

নাম        পরিচিত

অ্যাঞ্জেলা মার্কেল জামার্ন চ্যান্সেলর

ম্যারগট ভলস্ট্রম সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইয়ানিস ভারুফাকিস    গ্রিসের সাবেক অর্থমন্ত্রী

আলী আকবর সালেহি   AFOI--এর প্রধান

ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট

মোহাম্মদ বিন সালমান  সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

আমিনা গারিব ফাকিম  মরিশাসের প্রেসিডেন্ট

 

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি

৪ নভেম্বর ২০১৫ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী সাময়িকী ফোর্বস ২০১৫ সালের বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ৭৩ জন ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করে। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ও ক্ষমতাবানদের নিয়ে এ তালিকা প্রকাশ করে থাকে।

০১. ভ্লাদিমির পুতিন  রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট

০২. অ্যাঞ্জেলা মার্কেল  জার্মানির চ্যান্সেলর

০৩. বারাক ওবামা   যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট

০৪. পোপ ফ্রান্সিস   রোমান ক্যাথলিক চার্চ

০৫. শি জিনপিং     চীনের প্রেসিডেন্ট

 

বিশ্বের ক্ষমতাধর নারী

০১. অ্যাঞ্জেলা মার্কেল  চ্যান্সেলর, জার্মানি

০২. হিলারি ক্লিনটন   সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

০৩. মেলিন্ডা গেটস   বিল গেটসের স্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্র

০৪. জ্যানেট এলেন   সভাপতি, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক

০৫. ম্যারি বারবা    সিইও, জেনারেল মটরস, যুক্তরাষ্ট্র

সর্বশেষ খবর