শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
আজ কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ-এর মৃত্যুবার্ষিকী

জাদুকর হুমায়ূন

তানভীর আহমেদ

জাদুকর হুমায়ূন

হুমায়ূন আহমেদ। বাংলা সাহিত্যের কলম জাদুকর হিসেবে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ব্যক্তিজীবনে জাদু নিয়ে তার আগ্রহের কমতি ছিল না। তার লেখা বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস, নাটক ও চলচ্চিত্রে জাদুর উপস্থিতি প্রমাণ করে তিনি কতটা জাদুমুগ্ধ ছিলেন। অতিবাস্তব চরিত্রায়ণ ও উপস্থাপনার মুনশিয়ানার পাশাপাশি জাদুর প্রতি তার আগ্রহ পাঠক ও সাধারণ ভক্তদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে আছে আজও। জাদুর প্রতি তার প্রথম ভালোলাগা শুরু শৈশবেই। স্থান সিলেটের মীরা বাজার। দুরন্ত শৈশবে ঘুরে বেড়াতেন এখানেই। সময় পেলেই মীরা বাজারে ছুটে যেতেন। সঙ্গী কেউ ছিল না। একা একা ঘুরে বেড়াতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। একদিন দিলশাদ সিনেমা হলে টাঙানো পোস্টার দেখতে গিয়ে ভিড় লক্ষ্য করেন তিনি। সিনেমা হলের সামনে একজন জাদুকর ম্যাজিক দেখাচ্ছিলেন। অদ্ভুত সব জাদু তাকে মুগ্ধ করে। জাদুটা ছিল অনেকটা এরকম— কাঠের একটি তক্তার সঙ্গে গা লাগিয়ে এক বালিকা দাঁড়িয়ে আছে। তার থেকে দশ-বারো ফুট দূরত্বে চোখ বাঁধা অবস্থায় দাঁড়িয়ে জাদুকর বালিকাটির দিকে ছুরি ছুড়ে মারছেন। কিন্তু একটি ছুরিও বালিকার গায়ে লাগছে না। জাদুর এই অদ্ভুত রোমাঞ্চে হুমায়ূন আহমেদ জাদুর প্রেমে পড়ে যান। কিন্তু তার জাদুবিদ্যায় হাতেখড়ি ঘটে ১৯৬৫ সালে। তখন তিনি সবেমাত্র ঢাকা কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হয়েছেন। এবার ঢাকার পথে ঘুরতে গিয়ে একদিন দেখা পেয়ে গেলেন এক হকার ম্যাজিশিয়ানের। তিনি দাঁড়িয়ে থেকে উত্সুক মানুষদের সঙ্গে জাদুকরের মনভোলানো জাদু দেখতে থাকলেন। জাদু শেষ হলে সবাই যার যার পথে চলে গেলেও দাঁড়িয়ে রইলেন হুমায়ূন। তিনি তখনই হকার ম্যাজিশিয়ানের কাছে জাদু শেখার ইচ্ছার কথা জানান। জাদুকরও কিছু টাকার বিনিময়ে কয়েকটি জাদুর কৌশল তাকে শেখান। জাদুমুগ্ধতা যেন আরও বেড়ে গেল তার। যেকটা জাদুর কৌশল শিখেছেন সেকটা বারবার অনুশীলন করে চললেন। হুমায়ূন আহমেদের জাদুগুরু সেই হকার ম্যাজিশিয়ান বেশিরভাগই জাদু দেখাতেন চানখাঁরপুলের এক  বস্তিতে।  চানখাঁরপুলের সেই বস্তিতে হুমায়ূন আহমেদ ছুটে যেতেন তার জাদুগুরুর কাছে। শুধু অবাক বিস্ময়ে জাদু দেখতেনই না পাশাপাশি তিনি আরও জাদুর কৌশল রপ্ত করতে শুরু করেন। এমনও হয়েছে টিফিন না খেয়ে টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে তিনি হকার ম্যাজিশিয়ানের কাছ থেকে ছোট ছোট ম্যাজিকের সরঞ্জাম কিনতেন। জাদুবিদ্যায় তার হাতেখড়ি হওয়ার পর জাদুর প্রতি তার ভালোবাসা বেড়েই চলল। জাদুর নতুন সব কৌশল আয়ত্ত করার প্রতি তিনি আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন। নতুন নতুন জাদুর কৌশল সম্পর্কে জানার জন্য তিনি জাদু বিষয়ে বিভিন্ন বই সংগ্রহ করতে শুরু করেন। দেশে তো বটেই বিদেশ ভ্রমণে গেলেও তিনি জাদুর সামগ্রী বিক্রি করে এমন দোকান বা জার্নালের খোঁজ নিতেন। তার সংগ্রহে জাদু সম্পর্কিত বহু বই ছিল। জাদুবিদ্যায় প্লানচেট দিয়ে আত্মা আনার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। কথিত আছে, হুমায়ূন আহমেদ তার সংগ্রহে থাকা প্লানচেট দিয়ে মৃত আত্মার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। প্লানচেট ব্যবহার করে তিনি বেশ বিপদেও পড়েছিলেন বলে জানা যায়। হুমায়ূন আহমেদ জাদু কৌশল রপ্ত করার জন্য প্রায়শই জাদু প্রদর্শন করতেন। নিকটজনদের তিনি বিভিন্ন সময় জাদু দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি কলেজ ও ইউনিভার্সিটির লম্বা ছুটি কাটাতে যখন পরিবারের সদস্যদের কাছে আসতেন তখন তার সঙ্গী ছিল জাদু দেখানোর সহজ-সরল সরঞ্জামগুলো। এ ছাড়া কৌশলী জাদু দেখিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিস্মিত করতেন। লেখালেখির পাশাপাশি যখন হুমায়ূন আহমেদ নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাণের দিকে ঝুঁকে গেলেন, তখনো তার জাদুপ্রীতি এতটুকু কমেনি। তিনি তার নাটক ও চলচ্চিত্র ইউনিটের লোকজনের সামনে, বন্ধু মহলে ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সামনে শখের বশে জাদু দেখিয়ে আনন্দ পেতেন। জাদু দেখিয়ে মানুষকে চমকে দেওয়াটাকে বেশ উপভোগ করতেন তিনি। স্বনামধন্য লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক আড্ডায় জাদু দেখিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎই আড্ডার এক পর্যায়ে হুমায়ূন আহমেদ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে বলেন, অ্যাশ-ট্রে থেকে একটু ছাই তুলে নিতে। তারপর তুলে নেওয়া ছাই অন্য হাতের পিঠে ঘষে ঘষে মিলিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। তার কথামতো তাই করলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। কিছুক্ষণ পর তার সেই হাত উল্টে দেখতে বললেন কলম জাদুকর। হাত উল্টে দেখতেই সেখানে উপস্থিত সবাই বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেল। কারণ হাতের পিঠের ছাই হাত ভেদ করে তালুতে চলে গেছে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রীতিমতো ভিরমি খেলেন তার জাদুতে। 

হুমায়ূন আহমেদ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার খুব কাছের মানুষদের এভাবে জাদু দেখিয়ে বিস্মিত করতে পছন্দ করতেন। সবাই মিলে বসে আড্ডা দেওয়ার এক পর্যায়ে তিনি হুট করেই জাদু দেখিয়ে বসতেন। মুহূর্তে সবাইকে হতবাক করে দিয়ে তিনি সিদ্ধহস্ত। ইন্টারন্যাশনাল ব্রাদারহুড অব ম্যাজিশিয়ান্স বিশ্বজুড়ে জাদুশিল্পীদের সর্ববৃহৎ জাদু সংগঠন। হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন এই আন্তর্জাতিক জাদু সংগঠনের একজন সম্মানিত সদস্য। কলম জাদুকরের জাদুমুগ্ধতা ছিল অকৃত্রিম, অনন্য।

 

‘আমি আসলে আনন্দের জন্য বাঁচি’

২৫ মে ২০১২। নুহাশ পল্লী। তখন ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। সেসময় তার সঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর। জীবনের নানা গল্প তিনি শুনিয়েছিলেন। হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন শিক্ষক, নাট্যকার, নির্মাতা, গীতিকার। ছবিও এঁকেছেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তিনি নিজেকে কী হিসেবে দেখতে ভালোবাসেন। তিনি বলেছিলেন তার এত পরিচয় ভালো লাগে না। তার ভাষায়—

‘আমি একজন লেখক। নিজেকে আমি ‘ফিকশন রাইটার’ বলতেই পছন্দ করি। ফিল্মমেকিং অন্যরকম একটা বিষয়। নিজেকে কখনোই ফিল্মমেকার বলি না। ছোটবেলা থেকে ছবি দেখার ব্যাপারে খুব আগ্রহ ছিল। লেখালেখি, ছবি দেখা পুরোটাই পেয়েছি বাবার কাছ থেকে। কোনো বাবা এমন রসিক আর সংস্কৃতিমনা হতে পারেন— সেটা আমার বাবাকে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন হতো। তো যা বলছিলাম, ছোটবেলা থেকেই ছবি দেখতাম। বড় হওয়ার পর মনে হতো এত সুন্দর ছবি দেখি অথচ আমাদের এখানে ভালো ছবি বানানো হচ্ছে না। আরেকটা আক্ষেপ ছিল। সেটি হচ্ছে— আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবির অভাব। নিজে মুক্তিযুদ্ধ না করলেও পতাকার জন্য বাবাকে হারিয়েছি। তাই একটা দায়বোধ ছিল।

ভাবতাম এতবড় একটা মুক্তিযুদ্ধ হলো অথচ সেটা নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো ছবি নেই। এই আফসোস থেকে মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটা ছবি বানালাম ‘আগুনের পরশমণি’। এই ছবিটি নির্মাণ করতে সব খরচ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তারপর থেকে চালিয়ে যাচ্ছি ছবি বানানো। এর বাইরে যখন যেটা ইচ্ছা করে সেটাই করার চেষ্টা করি। আমি আসলে আনন্দের জন্য বাঁচি।’

 

হুমায়ূন বচন...

♦ যে জিনিস চোখের সামনে থাকে তাকে আমরা ভুলে যাই। যে ভালবাসা সব সময় আমাদের ঘিরে রাখে তার কথা আমাদের মনে থাকে না... মনে থাকে হঠাৎ আসা ভালবাসার কথা।

♦ ছেলে এবং মেয়ে বন্ধু হতে পারে, কিন্তু তারা অবশ্যই একে অপরের প্রেমে পড়বে।

♦ পৃথিবীর সব মেয়ের ভেতর অলৌকিক একটা ক্ষমতা থাকে। কোন পুরুষ তার প্রেমে পড়লে মেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা বুঝতে পারে। এই ক্ষমতা পুরুষদের নেই। তাদের কানের কাছে মুখ নিয়ে কোন মেয়ে যদি বলে, ‘শোন আমার প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। আমি মরে যাচ্ছি।’ তারপরেও পুরুষ মানুষ বোঝে না। সে ভাবে মেয়েটা বোধহয় এপেন্ডিসাইটিসের ব্যথায় মরে যাচ্ছে!

♦ মানব জাতির স্বভাব হচ্ছে সে সত্যের চেয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিরাপদ মনে করে...

♦ গভীর প্রেম মানুষকে পুতুল বানিয়ে দেয়। প্রেমিক প্রেমিকার হাতের পুতুল হন কিংবা প্রেমিকা হয় প্রেমিকের পুতুল। দুজন এক সঙ্গে কখনো পুতুল হয় না। কে পুতুল হবে আর কে হবে সূত্রধর তা নির্ভর করে মানসিক ক্ষমতার ওপর। মানসিক ক্ষমতা যার বেশি তার হাতেই পুতুলের সুতা।

♦ জীবনে কখনো কাউকে বিশ্বাস করতে যেও না। কারণ, যাকেই তুমি বিশ্বাস করবে সেই তোমাকে ঠকাবে। সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, তোমাকে শুধু এমন একজনকে খুঁজে নিতে হবে যার দেওয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে...

♦ জীবনটা আসলেই অনেক সুন্দর! এত বেশি সুন্দর যে, মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে।

♦ অনুশোচনার হাঁড়ি নিয়ে বসলেও অতীতকে বদলানো যাবে না

♦ মিথ্যা বলা মানে আত্মার ক্ষয়। জন্মের সময় মানুষ বিশাল এক আত্মা নিয়ে পৃথিবীতে আসে। মিথ্যা বলতে যখন শুরু করে তখন আত্মার ক্ষয় হতে থাকে। বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, আত্মার পুরোটাই ক্ষয় হয়ে গেছে।

♦ হারিয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে আসলে সে আর আগের মতো থাকে না। কেমন জানি অচেনা অজানা হয়ে যায়। সবই হয়তো ঠিক থাকে- কিন্তু কি যেন নাই। কি যেন নাই...

♦ ভালবাসাবাসির ব্যাপারটা হাততালির মতো। দুটি হাত লাগে। এক হাতে তালি বাজে না। অর্থাৎ একজনের ভালবাসায় হয় না...

 

বিস্ময় জাগানো যত চরিত্র...

হুমায়ূন আহমেদের চরিত্র রূপায়ণ সবসময়ই বিস্ময় জাগিয়েছে। তার চরিত্রগুলো পাঠক মহলে ব্যাপক আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয়েছে। তেমন কয়েকটি চরিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, হিমু, মিসির আলী, রূপা, শুভ্র ও বাকের ভাই। হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্রগুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা চরিত্রের একটি হচ্ছে হিমু। খালি পায়ে পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবি পরে উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘুড়ে বেড়ায় হিমু। উদ্ভট সব কাজই তার মূল কর্মকাণ্ড। যুক্তির ধার-ধারেন না। অন্যদিকে রয়েছে মিসির আলী। তিনি মোটা ফ্রেমের ভারী চশমা পরিহিত লোকটি কিছুতেই বিশ্বাস করেন না অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা। যত রহস্যময় ঘটনাই ঘটুক যুক্তি দিয়ে তার সমাধান খুঁজে নেন। এই যুক্তিবাদী মানুষটির নাম ‘মিসির আলী’। হিমুর ঠিক বিপরীত। হিমু যেমন যুক্তি মানে না, মিসির আলী আবার যুক্তির বাইরে হাঁটেন না। হুমায়ূন আহমেদের তৈরি করা চরিত্রগুলোর মধ্যে ‘মিসির আলী’ই তার সবচেয়ে প্রিয়। ‘হিমু’কে যদি অগোছালো আর যুক্তিতর্ক বিরোধী চরিত্রের প্রতীক বলা হয়; মিসির আলী হচ্ছে সম্পূর্ণ তার বিপরীত। মানুষের মন, আচরণ, স্বপ্ন এবং সংকট যুক্তির আলোকে ব্যাখ্যা করাই হলো মিসির আলীর একমাত্র কাজ। ‘শুভ্র’ চরিত্রটি তার নামের অর্থের মতোই শুদ্ধতম এক মানবের প্রতিচ্ছবি হয়ে ফুটেছে। হুমায়ূন আহমেদের চরিত্রগুলোর মধ্যে শুভ্র অন্যতম। নিজেকে পৃথিবীর যাবতীয় জটিলতা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন। দৈনন্দিন সমস্যা নিয়ে ভাবতে চান না শুভ্র। নাটকের চরিত্র হিসেবে সবচেয়ে জনপ্রিয় বাকের ভাই। কোনো গল্প, উপন্যাস কিংবা নাটকের চরিত্র যে বাস্তবজীবনে এভাবে দৃশ্যমান হয় তা বোধ হয় আগে কেউ দেখেনি। হুমায়ূন আহমেদই সেই বিস্ময়কর ইতিহাস সৃষ্টি করেন ‘বাকের ভাই’ চরিত্রের মাধ্যমে। হুমায়ূন আহমেদের ‘কোথাও কেউ নেই’ উপন্যাস অবলম্বনে নিমির্ত হয় নাটক। এ নাটকে ‘বাকের ভাই’র চরিত্রে অভিনয় করেন আসাদুজ্জামান নূর। হুমায়ূন আহমেদের আরেকটি সৃষ্টি ‘রূপা’। হিমু’র মতো এক বাউন্ডেলেকে ভালোবাসে এই অসম্ভব রূপবতী  মেয়েটি। সবসময় অপেক্ষা করে হিমুর পথের দিকে তাকিয়ে। হিমুর জন্য পরিণতিহীন এক প্রেম নিয়ে রূপা দাঁড়িয়ে থাকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর