মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় নগরীর নিম্নাঞ্চল

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় নগরীর নিম্নাঞ্চল

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাজশাহী নগরীর ডিঙ্গাডোবা এলাকায় বর্ষার শুরু থেকেই জলমগ্ন হয়ে আছে

কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে রাজশাহী নগরীর নিম্নাঞ্চল। বিশেষ করে নগরীর ডিঙ্গাডোবা ঘোষমহালের অনেকগুলো পরিবার বর্ষার শুরু থেকে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া নগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া বাকির মোড় থেকে প্যারামেডিকেল রোডের পিডিবি প্রশিক্ষণ সেন্টারের সামনের সড়কটি কাদাপানিতে একাকার হয়ে থাকায় চলাচলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে আছেন এলাকাবাসী।

সিটি করপোরেশন এসব বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় দুর্ভোগের মাত্রা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না তারা।

নগরীর ডিঙ্গাডোবা এলাকার বাসিন্দা রাজশাহী জজকোর্টের অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম জানান, কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিপাতেই তাদের পানিবন্দী হতে হয়। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর তারা এভাবে দুর্ভোগ মোকাবিলা করেন। চলতি বছরে এ এলাকায় নতুন করে কিছু বাড়ি নির্মাণ শুরু হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের স্থানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে অবস্থা আরও চরম আকার ধারণ করেছে। এলাকাবাসী দ্রুত এ সমস্যা নিরসনে সিটি করপোরেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

নগরীর নিম্নাঞ্চল ডিঙ্গাডোবা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে চারদিকে জলমগ্ন। বালুর বস্তা ফেলে কোনো রকমে যাতায়াতের রাস্তা করেছেন এলাকাবাসী। তার ওপর দিয়েই পায়ে হেঁটে চলতে হচ্ছে তাদের। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ বিষয়ে বারবার স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার মেলেনি।

এদিকে নগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া বাকির মোড় থেকে প্যারামেডিকেল রোডের পিডিবি প্রশিক্ষণ সেন্টারের সামনে সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে মানুষের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা ও বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত বিপ্লব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা বিরাজ করলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় তা সমাধান হচ্ছে না। সিটি করপোরেশন থেকে রাস্তাটি প্রতিবছর মেরামত করা হলেও রাস্তাটি উঁচু এবং সংযুক্ত ড্রেন প্রশস্ত না হওয়ায় সমস্যা দূর হচ্ছে না। এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু বলেন, ইতিমধ্যে রাস্তাটি উঁচু ও ড্রেন প্রশস্ত করার জন্য প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে। সার্ভে কাজও হয়ে গেছে। বাজেট অনুযায়ী টাকা আসলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। এদিকে নগরীর অভিজাত এলাকাগুলোতেও নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই মুহূর্তে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে নগরীর উপশহর এলাকায় বৃষ্টি হলেও মুহূর্তে হাঁটুপানি পাড়ি দিতে হয় নাগরিকদের।

সর্বশেষ খবর