মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

অনিশ্চিত ডিএনসিসির ২২ ইউলুপ

রফিকুল ইসলাম রনি

অনিশ্চিত ডিএনসিসির ২২ ইউলুপ

রাজধানীর যানজট নিরসনে বেশ কিছু উড়াল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সরু রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে। কিন্তু স্বস্তি মিলছে না যেন কিছুতেই। কোথাও কোথাও ভোর থেকে রাত অবধি নিস্তার মিলছে না যানজটের কবল থেকে। এবার যানজট নিরসনে রাজধানীর সড়ক ব্যবস্থায় সংযোজন হয়েছে ইউলুপ। আর তা সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিয়ে আসছে স্বস্তি। রাজধানীতে হাতিরঝিল প্রকল্পের আওতায় রামপুরা ব্রিজ ট্রাফিক সিগন্যালে নির্মিত ইউলুপটি খুলে দেওয়ার পর সেখানকার যানজট কমে এসেছে। থেমে থাকা গাড়ির ভিড় নেই আগের মতো। ঠিক এমনভাবে ঢাকার যানজট কমাতে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে রাজধানীর সাতরাস্তা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কে ছোট-বড় মিলে ২২টি ইউলুপ স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হক। কথা ছিল তিন মাসের মধ্যে তা শেষ করা হবে। কিন্তু সে উদ্যোগ আর এগোয়নি। কারণ, মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং জমি অধিগ্রহণ, মামলা মোকদ্দমার কারণে ২২টি ইউলুপ প্রকল্প নাকচ করে দিয়েছে ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। যেসব রাস্তায় ইউলুপ স্থাপন করার কথা ছিল, সে রাস্তায় মেট্রোরেল (মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট, সংক্ষেপে এমআরটি) ও বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। কাজেই ইউলুপ নির্মাণ করা হলে তা হবে সাংঘর্ষিক। সে বিবেচনায় ইউলুপ প্রকল্পটি নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গাজীপুরের তেলিপাড়া, আটপাড়া, ইস্টার্ন বাইপাস পূর্ব ও পশ্চিম, মিল্লাত মাদ্রাসা, মাতসা ব্রিজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পিপল সিরামিকস্, আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম, আবদুল্লাহপুর ইন্টারসেকশন, হাউজবিল্ডিং (মাস্কট প্লাজা), রাজলক্ষ্মী, উত্তর জসীমউদদীন রোড, র‌্যাব-১, ফ্লাইং একাডেমি (কাওলা), আর্মি গলফ ক্লাব, বনানী ফ্লাইওভারের নিচে, বনানী-কাকলী রেলস্টেশন, চেয়ারম্যানবাড়ি, মহাখালী ফ্লাইওভার, মহাখালী আন্তঃনগর বাস টার্মিনাল, কোহিনূর কেমিক্যালস ও সাতরাস্তা ইন্টারসেকশন এলাকায় এই ২২টি ইউলুপ স্থাপনের কথা ছিল।

যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বিআরটির প্রায় সাড়ে ১৫ কিলোমিটার হবে বিদ্যমান রাস্তার ওপরেই। এ ছাড়া চার দশমিক পাঁচ কিলোমিটার হবে উপর দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো করে। সব মিলিয়ে প্রায় পুরোটাই হবে বিদ্যমান রাস্তা ব্যবহার করে।

ফলে, একই সড়কে ইউলুপ নির্মাণ করলে বিআরটি ও এমআরটির সঙ্গে তা সাংঘর্ষিক হবে। ডিএনসিসির পক্ষ থেকে পাঠানো ইউলুপ প্রকল্পের সারসংক্ষেপ পাওয়ার পর পরিকল্পনা কমিশন সেটি ডিটিসিএ’র কাছে পাঠায়। ডিটিসিএ প্রকল্প পর্যালোচনার পর তা নাকচ করে দেয়। তাদের বিবেচনায়, এমআরটি ও বিআরটির সঙ্গে ইউলুপ প্রকল্প সাংঘর্ষিক। ফলে, বিমানবন্দর সড়কে ইউলুপ নির্মাণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সর্বশেষ খবর