শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভালো মন্দে আওয়ামী লীগের দুই কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভালো মন্দে আওয়ামী লীগের দুই কমিটি

ভালো-মন্দে কেটেছে আওয়ামী লীগের পর পর দুই কমিটির মেয়াদ। গত দুই মেয়াদে একই কমিটির সময়ে টানা দুবার ক্ষমতায় আসাসহ দলটি সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হলেও কিছু বিতর্কিত ঘটনায় সমালোচনা আছে। দল ও সরকারের সাফল্যে কিছুটা ছেদ পড়েছে অযাচিত কিছু কর্মকাণ্ডে। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনায় ব্যর্থতার তুলনায় সফলতার পাল্লা ভারী বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গত দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে তৃণমূলের সর্বস্তরের কমিটির সম্মেলন হয়েছে। কেন্দ্রীয় সম্মেলনও হয়েছে যথাসময়ে।  সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোও সম্মেলন করে নতুন কমিটি গঠন করেছে। যে কারণে গত ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা মোকাবিলায় মাঠে সরব ভূমিকায় ছিল দলটি।

এ ছাড়া দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারে দৃশ্যমান উন্নয়ন লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ ফোরলেন রাস্তা নির্মাণের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভার নির্মাণ হয়েছে। কয়েকটির নির্মাণ কাজ চলছে। নিজ অর্থায়নে  পদ্মা সেতু  নির্মাণ কাজ হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক দূরদর্শিতায় বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। যে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতু থেকে অর্থায়ন ফিরিয়ে নিয়েছিল, সেই বিশ্বব্যাংকই এখন বাংলাদেশে দুই বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগসহ বেশ কয়েকটি খাতে উন্নয়ন হয়েছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন. উন্নয়নের পাশাপাশি বেশকিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সমালোচনাও কম হয়নি আওয়ামী লীগের। দুই মেয়াদে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে দুর্নীতির মাত্রা বেড়েছে। বিগত স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিশেষ করে সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ফলে এসব নির্বাচনে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে খুনোখুনি হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ ছিল বেসামাল। অভিজিৎ হত্যা থেকে শুরু করে খাদিজা বেগম পর্যন্ত খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় হয়েছে। এতে কেবল ছাত্রলীগের ভাবমূর্তিই ক্ষুণ্ন হয়নি, আওয়ামী লীগও প্রশ্নের মুখে পড়ে। এ ছাড়া বিভিন্ন সেক্টরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিও গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়। এসব ঘটনায় দল ও সরকার সমালোচনার মুখে পড়ে।

সর্বশেষ খবর