বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

লালমনিরহাটে সচ্ছল ব্যক্তিদের নাম কাটার হিড়িক

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

অনিয়মে ভরপুর লালমনিরহাটের খাদ্য-বান্ধব কর্মসূচি। হতদরিদ্রদের তালিকা থেকে সচ্ছল ব্যক্তিদের নাম কাটার হিড়িক পড়েছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত জেলার ৪৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়নে নতুন করে তালিকা জমা দিতে পারেনি। ফলে চলতি মাসের চাল বিতরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ওই ইউনিয়ন তিনটিতে। জেলা খাদ্য অফিস সূত্র নিশ্চিত করেছে জেলায় এখন পর্যন্ত ৬৪২ জন সচ্ছল ব্যক্তির নাম হতদরিদ্রদের তালিকা থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এদিকে সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারের হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্য-বান্ধব কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন লালমনিরহাট জেলার ডিলাররা। নিয়ম ব্যতিক্রম ঘটিয়েছেন জেলার আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের ডিলার বাদশা ফরহাদ ও পলাশী ইউনিয়নের জোবেদ আলী। তারা এ তিন দিনের বাইরে নিজ ক্ষমতা বলে বুধবার (২৬ অক্টোবর) হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে চাল বিক্রি করেছেন। ২৬ অক্টোবর সকালে উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের খাদ্য-বান্ধব কর্মসূচির ডিলার বাদশা ফরহাদ বিপ্লবের নির্দিষ্ট পয়েন্ট (জায়গায়) বাদিয়ারটারি চৌরাস্তা সারপুকুরে গিয়ে দেখা গেছে, তার দোকান বন্ধ রয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, খাদ্য বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে না জানিয়ে আকস্মিকভাবে নিজ ক্ষমতা বলে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে সারপুকুর মাঝিপাড়া এলাকায় হতদরিদ্রদের মাঝে বুধবার চাল বিতরণ করছেন। অবশ্য নীতিমালায় বলা আছে সপ্তাহের ৩ দিন এ চাল নির্দিষ্ট পয়েন্টে বিক্রি করা যাবে। কিন্তু ডিলাররা এ নিয়মনীতি না মেনে বুধবার চাল বিতরণ করেই চলেছেন। একই অবস্থা পলাশী ইউনিয়নের সবজি বাজার এলাকার আরেক ডিলার জোবেদ আলীর। ডিলারদের চাল বিক্রির সময় সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তারা জানেন না যে, বুধবার হতদরিদ্রদের মাঝে চাল বিক্রি করা হবে।

সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসাররা বুধবার চাল বিতরণ কর্মসূচি সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে নিশ্চিত করেছেন। জেলা খাদ্য কর্মকর্তা গোলাম মওলা খাদ্য-বান্ধব কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি অসহায়, দলীয় প্রভাবের কারণে শত চেষ্টা করেও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরাতে পারছি না।

সর্বশেষ খবর