বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিশ্বসেরা টিভি চ্যানেলে যত বাজিমাত

সাইফ ইমন

বিশ্বসেরা টিভি চ্যানেলে যত বাজিমাত

বিনোদন জগতে টেলিভিশন অন্যতম জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। এরই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে আছে হাজার হাজার টেলিভিশন চ্যানেল। এসব টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে হাজার রকমের অনুষ্ঠান। কোনটা রিয়েলিটি শো, কোনটা কমেডি সিরিয়াল আবার কোনটাতে লাইভ খেলা দেখাচ্ছে। কেউবা আবার বিশ্বজুড়ে ঘটতে থাকা নানা ঘটনার সংবাদ প্রচারে বসেছে। এরই মধ্যে চলছে জনপ্রিয়তার প্রতিযোগিতা। তাই বৈচিত্র্য আনতে প্রতিনিয়তই তৈরি হচ্ছে অদ্ভুত আর চমকপ্রদ সব অনুষ্ঠান। এসব অনুষ্ঠান নিয়েই আমাদের আজকের রকমারি—  

 

জনপ্রিয় যত চ্যানেল

গোটা বিশ্বে হাজার হাজার টিভি চ্যানেলের মধ্যে বৈচিত্র্যতা আর জনপ্রিয়তায় নিজেদের আলাদা করেছে কিছু টিভি চ্যানেল। যার মধ্যে অন্যতম হলো ইএসপিএন বা এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড স্পোর্টস প্রোগ্রামিং নেটওয়ার্ক। ইউএস মালিকানাধীন এ চ্যানেলটি ডিজনি কোম্পানির সঙ্গে মিলে সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। চ্যানেলটি সবধরনের   খেলা সরাসরি সম্প্রচার করে থাকে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যানেল হচ্ছে বিবিসি নিউজ। এ চ্যানেলে প্রচারিত নিউজকে সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য বলে ধারণা করা হয়। যে কারণে বিশ্বজুড়ে চ্যানেলটির গ্রহণযোগ্যতা বেশি।

জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেলের মধ্যে চলে আসে এইচবিওর নাম। এ চ্যানেলটিতে প্রচারিত বেশ কয়েকটি টিভি সিরিজ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যার মধ্যে গেম অব থ্রোন্স, সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি অন্যতম। আর সিনেমা দেখার জন্য চ্যানেলটি সর্বাধিক জনপ্রিয়। প্রতিদিন ভিন্ন স্বাদের বিভিন্ন রকমের মুভি সম্প্রচার হয়ে থাকে চ্যানেলটিতে। আরও একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল হচ্ছে সিডব্লিউ। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া এ চ্যানেলটি একটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল। দর্শকপ্রিয়তায় আরও একটি চ্যানেল হলো ভি চ্যানেল। স্টার টিভি এবং ফক্স ইন্টারন্যাশনালের যৌথ পরিচালনায় পরিচালিত এ চ্যানেলটি মূলত সংগীতভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল। আরও একটি বিনোদনমূলক জনপ্রিয় চ্যানেল হচ্ছে স্টার ওয়ার্ল্ড। দ্য সিম্পসন্স, ফ্যামিলি গাই ইত্যাদি বিপুল দর্শকনন্দিত অনুষ্ঠানের কারণে চ্যানেলটি বিশ্বজুরে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। খাদ্যবিষয়ক জনপ্রিয় চ্যানেল বিবিসি ফুড। বিবিসি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড দ্বারা পরিচালিত। চ্যানেলটি বিশ্বজুড়ে ভোজন রসিকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এটি রান্নাবিষয়ক বিভিন্ন টিউটোরিয়াল প্রচার করে এবং বিভিন্ন উৎসবভিত্তিক খাদ্যবিষয়ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। ছোট বাচ্চাদের জন্য অনুষ্ঠান বানিয়ে বিখ্যাত হয়েছে আরও একটি চ্যানেল। এটির নাম ডিজনি চ্যানেল। চ্যানেলটি হান্নাহ মন্টা, স্যুট লাইফ, জ্যাক অ্যান্ড কোডি ইত্যাদি জনপ্রিয় শিশু-কিশোরবিষয়ক অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে। সংগীতপিপাসুদের কাছে বিশ্বে জনপ্রিয় একটি চ্যানেল হচ্ছে এমটিভি। এমটিভি নেটওয়ার্কস মিউজিক অ্যান্ড লোগো গ্রুপ মালিকানাধীন এ চ্যানেলটি খোদ আমেরিকাতেই ৯ কোটিরও বেশি গৃহস্থালি বাসা-বাড়িতে দেখে থাকে। কার্টুন নেটওয়ার্কস পৃথিবীজুড়ে শিশুদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যানেল। মূলত ৫ বছরের নিচের বয়সী শিশুদের জন্য চ্যানেলটি তাদের অনুষ্ঠান তৈরি করে থাকে। তাই শিশুদের কাছে চ্যানেলটি জনপ্রিয়তায় শীর্ষে থাকে সবসময়। অনুষ্ঠানে নতুনত্ব এনে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল দর্শক আগ্রহ তৈরি করে।

 

বিশ্বসেরা টেলিভিশন উপস্থাপকরা

জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন অপেরাহ উইনফ্রে। জনপ্রিয় এ মার্কিন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব টক শো উপস্থাপিকা হিসেবে ১৯৮০-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। একই সঙ্গে তিনি একজন মানবহিতৈষী ও গণমাধ্যম ধনকুবের। আন্তর্জাতিকভাবে বিস্তৃত টক শো ‘দ্য অপেরাহ উইনফ্রে শো’ তাকে একাধিক এমি অ্যাওয়ার্ড এনে দিয়েছে। এ শো টেলিভিশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রচারিত বলে গণ্য। তিনি পাঁচবার ফর্বস্ ম্যাগাজিন কর্তৃক বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মহিলা নির্বাচিত হয়েছেন। এরপরই আসে চেলসি জয় হ্যান্ডলারের নাম। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত এ টেলিভিশন উপস্থাপক একাধারে একজন কৌতুক অভিনেত্রী, লেখক এবং প্রযোজক। ২০১২ সালে টাইম ম্যাগাজিনের জরিপে ১০০ প্রভাবশালীর অন্যতম নির্বাচিত হন। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে জনপ্রিয় উপস্থাপক হলেন সান। সংগীত জগতে ক্যারিয়ার শুরু করা এ কণ্ঠশিল্পী মিউজিক সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি রিয়েলিটি শো উপস্থাপনা করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। ডেভিড লেটার ম্যান-এর নাম নিশ্চয়ই অনেকেই শুনেছেন। ১৯৮২ সালে ‘লেট নাইট উইথ ডেভিড লেটার ম্যান’ নামের একটি জনপ্রিয় শো দিয়ে তিনি প্রথম আলোচনায় আসেন। ভারতের জনপ্রিয় টক শো ‘ফ্রাঙ্কলি স্পিকিং উইথ অর্ণব’-এর হোস্ট অর্ণব গোস্বামীও উপস্থাপনায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। নিউজ চ্যানেল টাইমস নাউ-এ নিউজ এডিটর হিসেবে কর্মরত এই উপস্থাপক ‘নিউজ আওয়ার’ নামে আরও একটি লাইভ বিতর্ক অনুষ্ঠান পরিচালনা ও উপস্থাপনা করে থাকেন।

 

দর্শকপ্রিয় যত অনুষ্ঠান

টেলিভিশন অনুষ্ঠানের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠানটির নাম হচ্ছে ‘ফ্রেন্ডস’। এটির জনপ্রিয়তা এতই বেশি যে সর্বকালের ১০০ জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠানের তালিকায় এটি শীর্ষস্থান দখল করে আছে। ছয় বন্ধুর জীবনের টানাপড়েন ও হাস্যরসের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেছে অনুষ্ঠানটি। ২০০৪ সালের ৬ মে এ সিরিজের শেষ পর্বটি দেখার জন্য পুরো বিশ্বে ৫২ মিলিয়ন দর্শক টিভি সেটের সামনে বসে। এর ১০ বছর আগে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি ১৯৯৪ সালে প্রথম সম্প্রচারিত হয়। টানা দশ বছর অনুষ্ঠানটি সমানভাবে জনপ্রিয়তা ধরে রাখে। এইচবিও-তে প্রচারিত আরও একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান হচ্ছে ‘ব্রেকিং বেড’। ২০০৮ সাল থেকে শুরু করে ২০১৩ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি সমানভাবে জনপ্রিয়তা ধরে রাখে। এইচবিও-তে প্রচারিত এ অনুষ্ঠানটি সর্বকালের ১০০ সেরা অনুষ্ঠানের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। বিশ্বে খুব সম্ভবত এমন একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না যে ‘এক্স ফাইল’ অনুষ্ঠানটির নাম  শোনেননি। ১৯৯৩ সালে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানটি ফক্স চ্যানেলে ২০০২ সাল পর্যন্ত সম্প্রচারিত হয়েছে। দুজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিভিন্ন রোমহর্ষক ঘটনার মধ্য দিয়ে সিরিজটি আবর্তিত হয়েছে। এ অনুষ্ঠানটি সর্বকালের ১০০ সেরা অনুষ্ঠানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠানটির নাম ‘গেম অব থ্রোন্স’। বর্তমানে সিরিজটির পঞ্চম সিজন চলছে। অনেকের মতে, এইচবিও চ্যানেলে প্রচারিত এ অনুষ্ঠানটি অন্যতম সেরা জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। এটির প্রতিটি পর্বের জন্য দর্শকরা মুখিয়ে থাকেন। কল্পকাহিনীনির্ভর এ অনুষ্ঠানটি সাম্রাজ্যবাদ, গুপ্তহত্যা, সম্পর্কের নানা টানাপড়েনের মধ্যে এগিয়ে চলছে। এ অনুষ্ঠানটি সর্বকালের ১০০ সেরা অনুষ্ঠানের তালিকায় চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে। ২০০৫ থেকে চলা আরও একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে ‘ইট অলওয়েজ সানি ইন ফিলাডেলফিয়া’। যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে এ অনুষ্ঠানটি। এটিই হচ্ছে অন্যতম সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রচারিত কমেডি শো। জনপ্রিয় একটি টেলিভিশন প্রোগ্রাম হচ্ছে ‘অ্যারো’। ২০১২ সালে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এটি একটি ক্রাইমনির্ভর অনুষ্ঠান। ‘ট্রু ব্লাড’ টেলিভিশন ইতিহাসে অন্যতম একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। রক্তচোষা ভ্যাম্পেয়ার কাহিনীর ওপর নির্মিত এ অনুষ্ঠানটি এইচবিও চ্যানেলে ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রচারিত হয়।

 

প্রাঙ্ক শো

সারাবিশ্বে টেলিভিশন অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রাঙ্কবিষয়ক অনুষ্ঠানগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়। এরকম একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে জাস্ট ফর লাফ গ্যাগস। এ অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের নানা বিদ্রূপাত্মক আচরণ একটি হিডেন ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করে তা প্রচার করা হয়। এরকম আরও একটি জনপ্রিয় প্রাঙ্ক শো হচ্ছে ডা আলি জি শো। এ সিরিজটি আবর্তিত হয়েছে আলি জি নামক একটি চরিত্রকে কেন্দ্র করে। অনুষ্ঠানটি প্রথম প্রচারিত হয় চ্যানেল ফোর-এ তারপর এটি প্রচারিত হয় এইচবিওতে। হিডেন ক্যামেরা ব্যবহার করা হয় এরকম একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে পাঙ্ক’ড। অনুষ্ঠানটি হোস্টিং করে অ্যাস্টন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এ অনুষ্ঠানটিতে ভিকটিম হয় মূলত সেলিব্রেটিরা। এ তালিকায় আছেন হেলি ব্যারি, জাস্টিন টিম্বারলেকস, কেইন ওয়েস্টসহ নামি-দামি সব সেলিব্রেটি। হিডেন ক্যামেরা ব্যবহৃত এরকম আরও একটি শো হচ্ছে স্কেয়ার টেকটিস। এ অনুষ্ঠানে ভিকটিমকে তার বন্ধুদের মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় নিয়ে আসা হয় তারপর ভীতিকর একটি পরিস্থিতি তৈরি করে ভিকটিমকে ভয় দেখানো হয়। দ্য টম গ্রিন মো আরও একটি প্রাঙ্কনির্ভর অনুষ্ঠান। টম গ্রিন-এর উপস্থাপনায় এ অনুষ্ঠানটি শুরুতে কানাডার একটি টেলিভিশনে প্রচারিত হলেও পরবর্তী সময়ে এমটিভি ইউএসে প্রচারিত হয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

 

রিয়েলিটি শো

বর্তমানে রিয়েলিটি টিভি অনুষ্ঠানগুলোর জনপ্রিয়তা প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় দেশে দেশে বিভিন্ন রকমভাবে। অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব শো-তে মানুষজন অংশগ্রহণ করে থাকে। সারভাইবার এমনি একটি পৃথিবী বিখ্যাত রিয়েলিটি শো। এ শোতে অংশগ্রহণকারীদের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নামতে হয়। ২০০২ সালে শুরু হওয়া আরও একটি বিখ্যাত রিয়েলিটি শো হচ্ছে আমেরিকান আইডল। এটি আমেরিকার টেলিভিশন ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় একটি রিয়েলিটি শো। ছেলে-মেয়েদের ডেটিং নিয়ে অদ্ভুত এক রিয়েলিটি শো-এর নাম দ্য ব্যাচেলর। ২০০২ সালে শুরু হওয়া এ রিয়েলিটি শো-টির ইতিমধ্যে বিশটি সিজন শেষ হয়েছে। ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড নিয়ে একটি মজাদার রিয়েলিটি শো হলো প্রজেক্ট রান ওয়ে। এখানে অংশগ্রহণকারীদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাপড় ডিজাইন করে জমা দিতে হয়। প্রাঙ্কবিষয়ক বিখ্যাত একটি রিয়েলিটি শো হচ্ছে ইমপ্রেক্টিক্যাল জোকারস। হিডেন ক্যামেরানির্ভর এ অনুষ্ঠানটি ২০১১ সাল থেকে ট্রু টিভিতে প্রচারিত হয়ে আসছে। ভারতীয় একটি জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো হচ্ছে এমটিভি রোডিস। ২০০৩ সাল থেকে শুরু হওয়া এ শো সমানভাবে জনপ্রিয়তা ধরে রেখে এমটিভি ইন্ডিয়াতে প্রচারিত হয়ে আসছে।

 

কার্টুন ভক্তদের প্রিয়

বিশ্বজুড়ে ছোট ছেলে-মেয়েদের কাছে কার্টুন ব্যাপক জনপ্রিয়। অনেক ক্ষেত্রে বড়দের কাছেও কার্টুন সমানভাবে জনপ্রিয়তা পায়। আর সবদিক থেকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে মিকি মাউস। মিকি মাউস এতই জনপ্রিয় যে এটি হলিউডে ওয়াক অব ফেম-এ স্থান পেয়েছে। অরও একটি জনপ্রিয় কার্টুন হচ্ছে দ্য সিম্পসন্স এবং সিম্পসন্স ২। এটিই সর্বপ্রথম কার্টুন যেটি এডাল্ট কন্টেন্ট সংযুক্ত। অর্থাৎ কার্টুনটি বড়দের কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে। আরও একটি জনপ্রিয় কার্টুন সিরিজ হলো লুনলি টিউনস। বাগস বানি হলো এ সিরিজটির জনপ্রিয় একটি চরিত্র সব বয়সী দর্শকের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়। টম অ্যান্ড জেরি-কে চেনে না বোধহয় এমন একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ কার্টুন সিরিজটি গোটা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ইতিহাসভিত্তিক কার্টুন সিরিজ হলো রোড রানার। এটিও ব্যাপক জনপ্রিয় একটি কার্টুন সিরিজ। আরও একটি জনপ্রিয় কার্টুন সিরিজ হলো স্কুবি ডু। খুব সম্ভবত এখন অনেকেই আছেন যারা এ কার্টুন সিরিজটি দেখে দেখেই বড় হয়েছেন। স্টার ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত জনপ্রিয় একটি কার্টুন শো হচ্ছে ফ্যামিলি গাই। ডক্টর অ্যাভিল হলো এ কার্টুনটির আকর্ষণীয় চরিত্র। দর্শকনন্দিত আরও একটি কার্টুন হলো ড্রাগন বল জে। জাপানিজ এ কার্টুনটি মিলিয়ন মিলিয়ন দর্শক বিশ্বজুড়ে দেখছে। সাউথ পার্ক নামের কার্টুনটিও গোটাবিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যদিও কার্টুনটি বাচ্চাদের জন্য নয়।

 

দেশে দেশে জনপ্রিয় টকশো

সবসময় টেলিভিশন অনুষ্ঠানগুলোর জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকে টকশো। পৃথিবীজুড়েই টকশো-র জনপ্রিয়তা ব্যাপক। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় টকশো হচ্ছে ‘দ্য ইলেন ডিজেনারস শো’। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ইলেন তার চমৎকার উপস্থাপনা ভঙ্গির জন্য ব্যাপকভাবে সমাদৃত। আরও একটি জনপ্রিয় টকশো হলো লেট নাইট উইথ কোনান ও’ব্রেইন। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক কোনান অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একইভাবে দর্শকদের মুগ্ধ করে রাখেন। তার নেওয়া ইন্টারভিউ সবসময়ই দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়ে এসেছে। চমৎকার মজাদার আরও একটি টকশো হচ্ছে কোলবার্ট রিপোর্ট। অনুষ্ঠানটি প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। আরও একটি জনপ্রিয় টকশো হচ্ছে জিম্মি কিম্মেল লাইভ। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক জিম্মি কিম্মেল অদ্ভুত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোক। তিনি চমৎকার দক্ষতায় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করে থাকেন। ডেভিড লেটার ম্যানের লেইট নাইট শো উইথ ডেবিড লেটারম্যানের নাম নিশ্চয়ই অনেকের কাছেই পরিচিত। সদা হাস্যোজ্জ্বল ডেভিড লেটারম্যান এ অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে জয় করে নিয়েছেন বিশ্বজুড়ে কোটি দর্শকের হৃদয়। ক্রেইগ ফার্গুসনের লেইট লেইট উইথ, ক্রেইগ ফার্গুসন আরও একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। অনেকের মতে, এ অনুষ্ঠানটি লেইট নাইট শো উইথ ডেবিড লেটারম্যান অনুষ্ঠান থেকেও বেশি আকর্ষণীয়।

 

নিউজে বাজিমাত

বর্তমানে বিশ্বে প্রতিদিন ঘটে যাচ্ছে নানা ধরনের ঘটনা, খেলাধুলা আর বিনোদন জগতে ঘটে যাচ্ছে অনেক কিছু। আর এসব কিছু জানিয়ে বিশ্বের মানুষের মন জয় করে নিয়েছে বেশ কিছু নিউজ চ্যানেল। সারা বিশ্বের সেরা কিছু নিউজ চ্যানেল তাদের নিষ্ঠা দিয়ে সব সময় সবার আগে মানুষের মাঝে সংবাদ দিচ্ছে। আলজাজিরা হলো একটা আন্তর্জাতিক ২৪ ঘণ্টার ইংরেজি ভাষার নিউজ এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলি বিবরণ শেয়ারকারী টিভি চ্যানেল, যেটার মালিক এবং পরিচালনাকারী হলো আলজাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক। এ টিভি চ্যানেলের আংশিক মালিক হাউস অব থানি এবং এর প্রধান হেড কোয়ার্টার কাতারের দোহা। আলজাজিরা টিভি চ্যানেল ১৫ নভেম্বর ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়, যেটি বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর পরই চলে আসে বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ। এ চ্যানেল বিবিসির আন্তর্জাতিক খবর এবং সাম্প্রতিক বিষয়াবলি নিয়ে প্রচারবিষয়ক টেলিভিশন চ্যানেল। বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজের আছে সব থেকে বেশি দর্শক বিশ্বব্যাপী। এবিসি নিউজ ২৪ একটি অস্ট্রেলিয়ান ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচারিত সংবাদ চ্যানেল, যেটার মালিক এবং পরিচালনা করে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন। সিএনএন ইন্টারন্যাশনাল একটি আন্তর্জাতিক ইংরেজি ভাষার কেবল, স্যাটেলাইট এবং ডিজিটাল টেরিস্ট্রিয়াল টেলিভিশন চ্যানেল। বিশ্বের আরও একটি জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেল হচ্ছে এনডিটিভি। নয়াদিল্লির এ টেলিভিশন চ্যানেল ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত।

সর্বশেষ খবর