বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
কাসান্দ্রা দে পেকল

২৭ বছর বয়সেই নারীর বিশ্বভ্রমণ

তানভীর আহমেদ

২৭ বছর বয়সেই  নারীর বিশ্বভ্রমণ

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের মেয়ে কাসান্দ্রা দে পেকল। স্কুলের শিক্ষার্থী কাসান্দ্রা হুট করেই সিনিয়র প্রজেক্ট পেল। বিষয় ছিল বৈশ্বিক উষ্ণতা বিষয়ক সচেতনতা তৈরি। তখনই ভাবনা এসেছিল পৃথিবীটা ঘুরে দেখার। কিন্তু অত টাকা কই? টাকা রোজগারের জন্য লাইফগার্ডের কাজ করেন। দুই হাজার ডলার জমিয়ে চলে যান বেলজিয়াম। সেই ভ্রমণের শুরু। এরপর সুইজ্যারল্যান্ড, জার্মানিসহ ৮টি দেশে ঘুরে আসেন। ২ বছর তিনি কখনো   ট্রেনে ঘুমিয়েছেন, কখনো স্টেশনের মেঝেতে  থেকেছেন। কখনো পায়ে হেঁটেছেন। এভাবেই তিনি ভ্রমণ করছেন মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়া। ভাবলেন, অ্যাডভেঞ্চারের যখন শখ তখন পৃথিবীটা ঘুরে এলে কেমন হয়। গ্রিন মাউন্টেন কলেজে ট্যুরিজম নিয়ে পড়াশোনার সময় পর্যটক হওয়ার শখ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯ বছর বয়স তখন। পৃথিবীর সব দেশ ঘুরে আসার কথা জানালেন তিনি। এ কথা শুনে অনেকেই আড়ালে আবডালে হেসেছিল। নিজের রোজগারের টাকা দিয়েই বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিতে লাগলেন। ২৪ বছর বয়সে ২৪টি দেশ ঘুরে আসার চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফল হলেন। যখন যে দেশে যান সেখানে গিয়ে কাজ জুটিয়ে নেন। রেস্টুরেন্টের বেয়ারা হয়েছেন, শপিংমলের ফ্লোর মুছেছেন, নার্সারিতে গাছের বীজ বপনের কাজও করেছেন। কিন্তু যে টাকা আয় হয় তাতে বিশ্বভ্রমণ সম্ভব নয়। তাই স্পন্সরের খোঁজ করতে লাগলেন। স্পন্সর

পেতে শারীরিক ও মানসিক দৃঢ়তার পরীক্ষা হিসেবে ‘সেভেনটি পয়েন্ট থ্রি’ দিয়ে তিনি সবাইকে চমকে দিলেন। ‘আইরনম্যান’ খেতাব পেলে অনেকেই এগিয়ে এলো। ধীরে ধীরে স্বপ্নপূরণের দিকে এগিয়ে চললেন। ২৫তম জন্মদিনে হুট করে ঘোষণা দিলেন, দ্রুততম সময়ে পৃথিবীর ১৯৬টি দেশই ঘুরে এসে বিশ্ব রেকর্ড করতে চান। প্রতিযোগিতায় বিড করে স্পন্সর মিলল, ব্যক্তিগত অনুদানও মিলল। ২০১৫ সালের জুলাই। ৩ বছর ৩ মাসের কম সময়ে পৃথিবী ঘুরে আসার অভিযাত্রা শুরু করলেন। এ ভ্রমণের নাম দিলেন ‘এক্সপেডিশন-১৯৬’। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পিস এর শান্তির রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করছেন। ভ্রমণের মাধ্যমেই শান্তির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন। এরই মধ্যে ঘুরে ফেলেছেন ১৮১টি দেশ। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকার সব দেশ ঘোরা শেষ। এশিয়া ও আফ্রিকার সব মিলিয়ে ১৭টি দেশ ঘুরলেই অবিশ্বাস্য এক বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলবেন তিনি। এখন কাসান্দ্রার বয়স মাত্র ২৭। তার অভিযাত্রার পরিকল্পনা বলছে, ৪৫ দিনের মধ্যেই বাকি দেশগুলো ঘুরে আসতে পারবেন তিনি। এ বিশ্বভ্রমণে তাকে মুখোমুখি হতে হয়েছে অবিশ্বাস্য, অদ্ভুত সব পরিস্থিতির। দেখেছেন প্রকৃতি ও সাংস্কৃতিক সৌন্দর্য। এ অভিযাত্রায় তার শিক্ষা— পৃথিবীর সবাই শান্তি চায়।

 

মুখোমুখি

কাসান্দ্রা বারবার মিডিয়ার মুখোমুখি হয়েছেন। আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো তো বটেই, যখন যে দেশে পৌঁছেছেন স্থানীয় মিডিয়ার এক্সক্লুসিভ মুখ ছিলেন তিনি। এসব মিডিয়ায় দেওয়া সাক্ষাৎকারের চুম্বকাংশ—

১৮১টি দেশ ঘুরতে কেমন খরচ হলো?

: প্রায় দুই লাখ ডলার। এ টাকা এসেছে বাণিজ্যিক স্পন্সর ও বিভিন্ন অনুদান থেকে।

কীভাবে ঘুরলেন এত দেশ?

: প্রায় ২৫০টিরও বেশি ফ্লাইট লেগেছে ১৮১টি দেশ ঘুরতে। আর ৪৫ দিনের মতো লাগবে সব দেশ ঘুরে আসতে।

সবচেয়ে ভালো লেগেছে কোন দেশ?

: ভুটান, শান্তির দেশ। এছাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ করেছে সুইজারল্যান্ড। আরব আমিরাতও ভালো লেগেছে।

সবচেয়ে অনবদ্য অভিজ্ঞতা কোনটি?

: প্যাসিফিক অঞ্চলের পেলাও দ্বীপপুঞ্জ পাড়ি! ছোট সেসানা বিমানে দরজার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। মনে হচ্ছিল, এ বুঝি অন্তহীন সৌন্দর্য।

পৃথিবী ঘুরে কী জানলেন?

: দেশে দেশে এত সংস্কৃতি, বর্ণ, ধর্ম ও বিশ্বাসের  মানুষ রয়েছে। এদের এত ভিন্নতা ও বৈচিত্র্যের মধ্যেও মিল হলো সবাই শান্তি চায়। আপনি সবখানেই ভালো মানুষ পাবেন। আপনাকে বলব, এখনই টিকিট কেটে বিমানে ওঠে পড়ুন। আপনি একা ঘুরছেন এ অনিশ্চয়তা নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে। অপরিচিত মানুষকেও বিশ্বাস করতে পারেন। আপনি অনেক মানুষের সঙ্গে থেকে বিশ্বাস জন্মাবে, সুসম্পর্ক গড়ার সুযোগ সবার কাছেই রয়েছে।

 

বিশ্বজয়ের প্রেরণা

‘জীবনে কী করেছেন সেটা ভেবে নয়। তারচেয়ে বরং কী করেননি সেটা ভেবেই আজ থেকে ২০ বছর পর আরও হতাশ হবেন। তাই স্বর্গ ভেবে আঁকড়ে থাকা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ুন। স্বপ্ন দেখুন, আবিষ্কারের আনন্দে বাঁচুন।’ মার্ক টোয়েনের এ উক্তি বুকে জড়িয়ে পৃথিবী ভ্রমণে বেরিয়েছেন ক্যাসি। তার জীবনে সবচেয়ে বড় চাওয়াটাই ছিল— অনুপ্রেরণীয় জীবন গড়া। তাই ঘর ছেড়ে বেরিয়েছেন বিশ্বটাকে দেখার জন্য। বিশ্ববাসীর শিক্ষা, কাজ ও সম্পর্কের মসৃণ মেলবন্ধ কীভাবে এ মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে চলছে সেটা খুঁজে পেতেই তার আগ্রহ। অভিযাত্রার আগে ছোট বুটিক হাউস থেকে খুব সামান্য আয় করতেন ক্যাসি। সেই টাকা নিয়ে বিশ্বভ্রমণ সম্ভব ছিল না। ২০১১ সালে ‘জিও হসপিটালিটি’ নামের এক পরিবেশ রক্ষার সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। মূলত এখান থেকেই তার পৃথিবী যাত্রার বারুদে আগুনের আঁচ লাগে। বিশ্বজুড়ে শান্তি, সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠা ও পরিবেশ রক্ষার লড়াইয়ে মানুষকে সচেতন করাই তার এ অভিযাত্রার মূল লক্ষ্য। নিরাপদ পর্যটনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠাই তার স্লোগান। এছাড়া নারীদের সামর্থ্য প্রমাণের চ্যালেঞ্জও তিনি সানন্দে গ্রহণ করেছেন। সবচেয়ে কম সময়ে পৃথিবীর সব কয়টি দেশ ঘুরে এসে সেই নারীদের কাছেও অনুপ্রেরণীয় হতে চান তিনি।

 

সবুজে বাঁচুক পৃথিবী

সবচেয়ে কম সময়ে পৃথিবীর সব দেশ ঘুরে আসার রেকর্ড গড়াই ক্যাসির একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। তিনি যখন পৃথিবীর ১৯৬টি দেশ ঘুরে আসবেন বলে জানিয়েছিলেন তখনই বলেছেন, তার অভিযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হবে পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে পরিবেশ রক্ষার তাৎপর্য তুলে ধরা। করেছেনও তাই। যেখানেই গেছেন সে দেশের পরিবেশ রক্ষা কর্মী, সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়, পর্যটন মন্ত্রণালয়— সবখানেই বলেছেন, সবুজ পৃথিবী চাই, নিরাপদ পর্যটন স্থায়ী শান্তি চাই। ক্যাসি নিজেও ১৮ বছর বয়স থেকেই ‘ইকো ট্যুরিজম অ্যান্ড সাসটেইনেবল হসপিটালিটি’ নিয়ে কাজ করছেন। পৃথিবীর বহু দেশে তিনি গাছ লাগিয়ে এসেছেন। জলাস্থান থেকে বর্জ্য অপসারণ করেছেন। এছাড়া কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্যও তিনি সোচ্চার। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে সৌরশক্তি ব্যবহারের গুরুত্বও প্রচার করে চলেছেন বিশ্বব্যাপী। দেশে দেশে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনেও ছুটে গেছেন তিনি। এছাড়াও পরিবেশ দূষণের মাত্রা পরীক্ষা করতে তিনি বিশ্বজুড়ে সংগ্রহ করছেন মাটি ও পানির নমুনা। ‘অ্যাডভেঞ্চারারস অ্যান্ড সায়েন্টিটস ফর কনজারভেশন’র হয়ে তিনি এ কাজ করছেন। এ নমুনাগুলো পরীক্ষা করে বিশ্ব পরিবেশ দূষণের মাত্রা ও করণীয় সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তে আসা যাবে বলে আশা করছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।

 

 

এসেছেন বাংলাদেশেও

এশিয়ার ৫০টি দেশের মধ্যে ৪৬টি দেশই ঘুরে গেছেন কাসান্দ্রা। এসেছেন বাংলাদেশেও। তার অভিযাত্রার পরিকল্পনায় বাংলাদেশ ছিল ১২০ নম্বর দেশ। অন্যদিকে ভারত ছিল ১২৬ নাম্বারে। ভারত  ভ্রমণের আগেই তিনি বাংলাদেশ ঘুরে যান। তার অভিযাত্রার পরিকল্পনার ছকটি দেখলে বোঝা যায় দক্ষিন এশিয়ার বাংলাদেশের গুরুত্ব ছিল বেশি। তিনি পরিবেশ সুরক্ষা নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে যে বাড়তি প্রচেষ্টা দিয়েছেন তাতে স্পষ্ট পরিবেশগত বিপর্যয়ে হুমকিতে থাকা দেশগুলোর গুরুত্ব সর্বাধিক। পরিবেশ দূষণ ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নে বাংলাদেশ হুমকিতে রয়েছে বলেই তালিকায় বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল। সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চল তার ভ্রমণে উল্লেখযোগ্য।

 

বাকি রইল ১৭ দেশ

এক্সিপেডিশন ১৯৬। পৃথিবীর ১৯৬টি দেশে পায়ের ছাপ রাখতেই এ তরুণীর যাত্রা। অবিস্মরণীয় এ যাত্রাপথে ইতিমধ্যে ১৮১টি দেশ ঘুরেছেন তিনি। ক্যাসি সব সময়ই চেয়েছেন, তিনি দ্রুততম মানুষ হিসেবে সবকটি দেশ ঘুরে বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন। তিনি বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন, দ্রুততম মানবী হিসেবে। তিনি কোন কোন দেশ ঘুরেছেন সে হিসাব দেওয়ার চেয়ে বরং সহজ আর কোন কোন দেশ ঘোরা বাকি রয়েছে। ওশেনিয়া অঞ্চলের ১৪টি দেশের সবকয়টি, ইউরোপের ৪৪টি দেশের সবকয়টি, উত্তর আমেরিকার ২৩টি দেশের মধ্যে সবকয়টি, দক্ষিণ আমেরিকার ১২টি দেশের মধ্যে সবকয়টি ঘুরে এসেছেন তিনি। এশিয়ার ৫০টি দেশের মধ্যে ৪৬টি ও আফ্রিকার ৫৩টি দেশের মধ্যে ৪০টি দেশে গিয়েছেন। হিসাব মতে, এশিয়ায় চারটি ও আফ্রিকায় ১৩টি দেশে গেলেই তার পৃথিবীর সব দেশে যাওয়ার রেকর্ড হাতের মুঠোয় চলে আসবে। যে ১৭টি দেশে যাওয়া তার বাকি রয়েছে সেগুলো হলো— মালদ্বীপ, পাকিস্তান, সিরিয়া, ইয়েমেন, বুরুন্দি, ক্যামেরুন, চাঁদ, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, এরেট্রিয়া, লাইবেরিয়া, লিবিয়া, নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, সুদান, ইসরায়েল ও প্যালেস্টাইন। উল্লেখ্য, সুদান ও দক্ষিণ সুদান দুটি দেশেই যাওয়া হয়নি তার।

 

 

নারী পারে ও পারবে

নারী কর্মঠ, বলিষ্ঠ ও অনুপ্রেরণীয়— এমনটাই প্রমাণ করতে চান ক্যাসি। নারী চাইলে তার ইচ্ছা পূরণ করতে পারে। সব বাধা পেরিয়ে নিজের জীবনকে অন্যের কাছে অনুপ্রেরণীয় করতে পারে। ক্যাসি একজন দারুণ অ্যাথলেট। তিনি যখন পৃথিবীর সব দেশ ঘুরে আসার জন্য যাত্রা শুরু করেন তখন অনেকেই ভেবেছিল তিনি হয়তো বেশিদিন টিকতে পারবেন না। কিন্তু ১৮১টি দেশ ঘুরে ক্যাসি এখন সবার কাছেই প্রশংসিত। পৃথিবী ভ্রমণে বের হতে ‘সেভেনটি পয়েন্ট থ্রি’ অতিক্রম করতে হয়েছে। মূলত এটি শারীরিক যোগ্যতা প্রমাণের প্রতিযোগিতা। এ কঠিন পর্ব পেরোলে লৌহমানবী খেতাব জোটে। এখানে একজন অভিযাত্রীকে ১.২ মাইল সাঁতার, ৫৬ মাইল সাইকেল চালানো ও ১৩ মাইল পথ দৌড়ে পাড়ি দিতে হয়। ২০১৪ সালেই এই কঠিন পরীক্ষা দিয়ে তিনি সবাইকে চমকে দেন। এরপর তিনি থেমে থাকেননি। ক্যাসি শারীরিক সক্ষমতার চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতেও প্রস্তুতি নিয়েছেন। পৃথিবী ঘুরে আসতে পারলে সে অর্জনও হবে। এবার তিনি ২.৪ মাইল সাঁতার, সাইকেলে ১১২ মাইল পাড়ি ও ২৬.২ মাইল দৌড়ে পুরো পথ শেষ করতে চলেছেন। হিসাবগুলো অঙ্ক দিয়ে লেখা হলেও এর গুরুত্ব কিন্তু অঙ্কের বাইরে। যারা শারীরিক ও মানসিক অক্ষমতার কথা বলে নারীকে পিছিয়ে রাখতে চান তাদের উদ্দেশে ক্যাসির এ কাণ্ড। অনেক পেশাদার অ্যাথলেটও এ পরীক্ষায় হিমশিম খেয়ে যান এবং পথটি পাড়ি দিতে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়। নেই পানি, নেই খাবার। রাতে মেলে না ঘুমানোর জায়গা। ঝড়-বৃষ্টি ও হিংস্র জানোয়ারের আক্রমণ তো আছেই। বহু অভিযাত্রী এ পরীক্ষায় মাঝপথে ফিরতে বাধ্য হন। কিন্তু ক্যাসি তার বিপরীত। শুরুতে অনেকেই তার স্পন্সরে রাজি ছিল না। অবশেষে, নিজেকে লৌহমানবী প্রমাণ করেই তার জুটেছে স্পন্সর। ক্যাসির বিশ্বাস নারী সবল ও সামর্থ্যবান। নারী পারে ও পারবে।

সর্বশেষ খবর