বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

অভিনেত্রী থেকে জননেত্রী

অভিনেত্রী থেকে জননেত্রী

মাত্র ১৫ বছর বয়সে মায়ের  জোরাজুরিতে সিনেমায় নামেন তিনি। নিজের প্রথম ছবি নিজেই  দেখতে পাননি। কারণ তা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ছিল। ১৯৬৪ সালে কন্নড় ছবি ‘চিন্নাদা গোম্বে’-তে প্রথম মুখ্যচরিত্রে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৯৬৫ সালে তামিল ছবি ‘ভেন্নিরা আদাই’-তে প্রথম মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন জয়ললিতা।

 

১৯৬১ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সময়ে মোট ১৪০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন জয়ললিতা। তামিল সিনেমার অন্যতম কিংবদন্তি অভিনেত্রী ছিলেন তিনি।

 

১৯৭৩ সালে একসঙ্গে ২৮টি ছবিতে অভিনয় করার পরে পার্টি কর্মীদের চাপে এমজিআর জয়ললিতার সঙ্গে অভিনয় করা বন্ধ করে দিলেন। ১৯৮০ সালে জয়ললিতা নিজেকে সিনেমার জগৎ থেকে সরিয়ে নেন। 

 

১৯৮২ সালে রাজনীতির জগতে প্রবেশ করেন তিনি। এরপর ১৯৮৪ সালে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে সংসদে প্রবেশ করেন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন।

১৯৯১ সালে তামিলনড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হলেন জয়ললিতা। ১৯৯২ সালে পালিত পুত্র সুধাকরণের বিয়েতে প্রচুর টাকা খরচ করে বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। এ ছাড়া অন্যান্য আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে।

 

দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ১৯৯৬ সালে বিধানসভার নির্বাচনে পরাজিত হন।

 

কিন্তু রাজনীতির মাঠে তিনি ছিলেন তামিলনাড়ুবাসীর ‘আম্মা’। তার জনপ্রিয়তা ছিল আকাশছোঁয়া। তারই প্রমাণ দিয়ে ২০০১, ২০০৩ ও ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হন জয়ললিতা।

 

২০১৪ সালে দুর্নীতির মামলায় চার বছরের জেল এবং ১০০ কোটি রুপির জরিমানা হয় তার। এক মাস জেলে কাটিয়ে জামিন পান তিনি। পরে ২০১৫ সালে খালাস পান তিনি। আদালতের নির্দেশে একই দিনে পুনরায় মুখ্যমন্ত্রিত্বে ফেরেন তিনি।

 

২০১৬ সালে ষষ্ঠবারের মতো তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর