শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভালোবাসার সাতকাহন

ভালোবাসার সাতকাহন

যেভাবে ভ্যালেন্টাইনস ডে

কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের ধারণা, রোমান সেন্ট ভ্যালেন্টাইন খ্রিস্টধর্ম ত্যাগ না করায় তাকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা থেকেই এর উত্পত্তি। ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি তার আত্মত্যাগের ওই দিনটি ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে পালিত হয়। কিছু বিশেষজ্ঞ অবশ্য বলে থাকেন, সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কারাগারে বন্দী থাকার সময় কারারক্ষীর মেয়েকে তার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেন, যাতে লেখা ছিল ‘লাভ ফ্রম ইউর ভ্যালেন্টাইন’। ভালোবাসার এমন স্মৃতিকে জড়িয়েই পরবর্তী সময়ে ভ্যালেন্টাইনস ডের প্রচলন হয়।

অপর একটি ধারণা, রোমান সম্রাট ক্লডিয়াসের সময় সেন্ট ভ্যালেন্টাইন গির্জার ধর্মযাজক ছিলেন। ক্লডিয়াস তার সঙ্গে বিরোধের জন্য প্রথমে তাকে কারাবন্দী করেন। পরে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে পোপ জেলাসিয়াস সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের সম্মানে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি নির্ধারিত করেন এবং পরবর্তীতে তার নামানুসারে পালিত হতে থাকে এই অনুষ্ঠান। ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন শুরু হয় রোমান সাম্রাজ্যের সময় থেকে। প্রাচীন রোমে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল রোমান দেব-দেবীদের রানী জুনোর সম্মানে পবিত্র দিন। রোমানরা তাকে নারী ও বিবাহের দেবী বলে বিশ্বাস করত। দিনটি অনুসরণ করে পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি পালিত হতো লুপারকেলিয়া উৎসবের বিশেষ ভোজ। সে সময় তরুণ এবং তরুণীদের জীবন-যাপন ব্যবস্থা ছিল সম্পূর্ণ পৃথক। কিন্তু তরুণদের জন্য ‘দৃষ্টি আকর্ষণ’ নামে একটি ভিন্নধর্মী প্রথা ছিল ‘লটারি’। লুপারকেলিয়া উৎসবের সন্ধ্যায় কাগজের টুকরায় তরুণীদের নাম লিখে একটি পাত্রে জমা করা হতো। সেখান থেকে এক-একজন তরুণ একটি করে কাগজের টুকরা তুলত এবং কাগজের টুকরায় যে তরুণীর নাম লেখা থাকত ওই উৎসবের সময় পর্যন্ত সে তাকে তার সঙ্গী হিসেবে পেত।  কখনো কখনো ওই দুজনের জুটি পুরো বছর ধরে টিকে থাকত। সম্রাট ক্লডিয়াসের শাসনামলে রোম কয়েকটি জনবিরোধী এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। হিংস্র প্রকৃতির ক্লডিয়াস সে সময় তার সেনাবাহিনীতে যথেষ্ট সংখ্যক সৈন্য ভর্তি না হওয়া নিয়ে খুব কঠিন সময় পার করছিলেন। রোমান পুরুষদের তাদের পরিবার ও ভালোবাসা ত্যাগ করে যুদ্ধে না যাওয়াকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করছিলেন তিনি। ফলে ক্লডিয়াস সমগ্র রোমে সব ধরনের বিয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সে সময় সেন্ট ভ্যালেন্টাইন রোমের একজন ধর্মযাজক ছিলেন। তিনি এবং সেন্ট ম্যারিয়াস খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী তরুণ-তরুণীদের গোপনে বিয়ে এবং বিবাহিত যুগলদের সহযোগিতা দিতেন। এ কারণে রোমের  ম্যাজিস্ট্রেট তাকে গ্রেফতার করে কারাবন্দী করেন। ভ্যালেন্টাইন বন্দী থাকা অবস্থায় অনেক তরুণ তাকে দেখতে যেত এবং কারাগারের জানালা দিয়ে তার উদ্দেশে লেখা চিরকুট-ফুল দিয়ে তাদের ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করত। হাত নেড়ে তাকে জানাত, তারা ‘যুদ্ধ নয়, ভালোবাসায় বিশ্বাসী’। এদের মধ্যে একজন ছিল কারারক্ষীর মেয়ে। তার বাবা তাকে ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এবং তার সঙ্গে কথা বলতে সুযোগ করে দিতেন। মেয়েটি তাকে তার প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, ক্লডিয়াসের নির্দেশ অমান্য করে তরুণ-তরুণীদের গোপনে বিয়ে দেওয়া এবং ভালোবাসায় তার সমর্থনের কথা জানায়। একসময় তারা একে অপরের বন্ধু হয়ে যায়। ভ্যালেন্টাইনের শিরোশ্ছেদ করে হত্যার দিনে তিনি মেয়েটিকে তার বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস নিয়ে একটি চিরকুট লিখে রেখে যান। এতে তিনি লিখেছিলেন, ‘লাভ ফ্রম ইউর ভ্যালেন্টাইন’। বিচারকের নির্দেশ অনুসারে সেদিনই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের এই আত্মত্যাগের দিনটি ছিল ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি। সত্যিকার অর্থেই প্রাচীন রোম ছিল নানা প্রথা ও কুসংস্কারের অন্ধকারে নিমজ্জিত একটি দেশ। এসব প্রথার মধ্যে লুপারকেলিয়া ছিল একটি। এটি অনুষ্ঠিত হতো ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ। ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে পোপ জেলাসিয়াস সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের সম্মানে লুপারকেলিয়া অনুষ্ঠানের দিন ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের পরিবর্তে ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত করেন। পরে এটি সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারে ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ নামে দ্রুত পরিচিতি লাভ করে। —রকমারি প্রতিবেদক

 

বলুন ভালোবাসি

বাংলা- আমি তোমাকে ভালোবাসি

ইংরেজি- আই লাভ ইউ

অসমিয়া- মুই তোমাকে ভালো পাও

জুলু- মেনা তান্দা উইনা

তুর্কি- সেনি সেভিউর ম

তামিল- নান উন্নাই কাদালিকিরেন

সহেলি- নাকু পেন্দা....(নাম)

রাশিয়ান-য়া তেবয়া লিউব্লিউ

পোলিশ- কোচাম গিয়ে

মালয়- সায়া চিন্তা কামু

লাতিন- তে আমো

কোরিয়ান- তাঙশিনুল সারাঙ হা ইয়ো

কানাডা- নান্নু নিনান্নু প্রীতিসুথিন

ইতালিয়ান- তি আমো

আইরিশ- তাইম ইনগ্রা লিত

ইরানি- মাহ্ন দুস্তাহ্ত দোহ্রাহম

হিব্রু- আনি ওহেব ওটচে (মেয়েকে ছেলে), আনি ওহেব ওটচা (ছেলেকে মেয়ে)

গুজরাটি- হুঁ তানে পেয়ার কার ছু

গ্রিক- সাইয়াগাপো

জার্মান- ইক লিয়েবে দিক

ফ্রেঞ্চ- ইয়ে তাইমে

ফিলিপিনো- ইনবিগ কিটা

ফারসি- দুস্তাত দারাম

ডাচ- ইক হু ভ্যান ইউ

চেক- মিলুই তে

বার্মিজ- চিত পা দে

 

বইয়ে বইয়ে ভালোবাসা

সাহিত্যের জন্মলগ্ন থেকেই ভালোবাসার সঙ্গে এর সংশ্লিষ্টতা। পৃথিবীর প্রায় সব ভাষার সাহিত্যকর্মের অন্যতম অনুষঙ্গ ভালোবাসা। তাই ভালোবাসা-বিষয়ক বইয়ের তালিকা প্রস্তুত করা কেবল কঠিনই নয়, রীতিমতো অসম্ভব। এরপরও ভ্যালেন্টাইনস ডেতে পাঠকের জন্য কিছু ভালোবাসার বইয়ের কথা জানাচ্ছেন— সাইফ ইমন

 

প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস : উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৮১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি। জেন অস্টেনের এই উপন্যাসটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় রোমান্টিক উপন্যাস। প্রেমের সঙ্গে ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব্বই এই উপন্যাসের উপজীব্য। বিশ্বব্যাপী উপন্যাসটির আনুমানিক দুই কোটি কপি বিক্রি হয়েছে।

ওয়াইল্ডউড ড্যান্সিং :

এটি অ্যাডাল্ট-ফ্যান্টাসি ধাঁচের প্রেমের উপন্যাস। লেখক জুলিয়েট মারলিয়ার। ভালোবাসা ও প্রেম সংজ্ঞায়িত করে অমরগাথা রচিত হয়েছে উপন্যাসের প্রতিটি পাতায়। 

 

অ্যানা অ্যান্ড দ্য ফ্রেন্স কিস : বইটি এককথায় অসাধারণ। অ্যানা অ্যান্ড দ্য ফ্রেন্স কিস বইটি উপরের দিকেই আছে বিশ্বসেরা প্রেমের উপন্যাসের তালিকায়। এ উপন্যাসের লেখক স্টিফেন পার্কিংস। ফরাসি প্রেমের অমরগাথা রচিত হয়েছে এ বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠায়। পাঠক একবার পড়তে শুরু করলে না শেষ করে উঠতেই পারবে না। লেখক স্টিফেন্স পার্কিংস তার জাদুকরী লেখনীর সবটুকু জাদু ঢেলে দিয়েছেন বইটিতে। 

 

ইফ আই স্টে :

এই অসামান্য বইটির লেখক গেইল ফরম্যান। বইটিতে আধুনিক লিভটুগেদার ভালোবাসাসহ মানবিক নানা ধরনের পর্যবেক্ষণ আছে। বইয়ের পরতে পরতে ভালোবাসা আর প্রেমে টইটুম্বুর।

 

আন্না কারেনিনা :

বিখ্যাত রুশ লেখক লিও টলস্টয়ের উপন্যাস এটি। বইটির প্রধান চরিত্র আন্না তার ভালোবাসার সফল পরিণতি খুঁজে। সমাজ সংসার বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তখন আন্নার ভালোবাসা দমনের এক অসামান্য মনস্তাত্ত্বিক বর্ণনা পাওয়া যায় এই উপন্যাসে।

 

জেন আয়ার :

এটি ব্রিটিশ লেখক চার্লট ব্রোন্টের জনপ্রিয় রোমান্টিক উপন্যাস। জেন আয়ার এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। যার ভালোবাসার মানুষকে গ্রহণ করার দ্বন্দ্ব্বকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে উপন্যাসটি।

 

রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট :

রোমিও এবং জুলিয়েটের প্রেমের আখ্যান গোটাবিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রেমকাহিনী। বিখ্যাত লেখক উইলিয়াম শেক্সপিয়রের কালজয়ী রচনা এই রোমিও-জুলিয়েট। এই যুগলের ভালোবাসার জন্য মৃত্যুবরণ পৃথিবীর মানুষকে ভীষণ নাড়া দিয়ে যায়।

 

লাইলি ও মজনু :

মধ্যযুগের ইরানি কবি নিজামীর মহাকাব্য লায়লি-মজনু। আরব মিথ অবলম্বনে লেখক তার কাব্য রচনা করেন। এই উপন্যাসে দেখা যায় মজনু আঘাতপ্রাপ্ত হলে লাইলিও আহত হতো। এমনই ছিল তাদের সেই স্বর্গীয় প্রেম। স্বর্গে গিয়েও ভালোবাসার মানুষের জন্য আকুতি এই কাহিনীকে অমর করে রেখেছে।

 

দেবদাস :

মাত্র ১৭ বছর বয়সে এই উপন্যাস লিখেছিলেন শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এখানে ভালোবাসার এক করুণ, সরল, সর্বজয়ী ও আবেগী চিত্রগাথা রচিত হয়েছে। বাঙালির প্রেমের প্রতীকে পরিণত হয়েছে এই দেবদাস ও পার্বতী। ত্রিভুজ প্রেমের এক অসাধারণ বৈচিত্র্যময় সমন্বয় আমরা খুঁজে পাই উপন্যাসটিতে।

 

শেষের কবিতা : 

‘শেষের কবিতা’ রবীন্দ্রনাথের অসাধারণ লেখাগুলোর মধ্যে একটি। উপন্যাস হলেও এই রচনার নাম রেখেছেন ‘শেষের কবিতা’। উপন্যাসটির শেষ হয়েছে তাত্পর্যপূর্ণ একটি কবিতা দিয়ে। এই উপন্যাসের একটি বিশেষত্ব হচ্ছে এটি কখনো পুরনো হয় না।

পাঠক যতবার উপন্যাসটি পড়বেন ততবারই নতুন করে কিছু না কিছু খুঁজে পাবেন। এ উপন্যাস শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠককে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে।

 

প্রেমের বচনামৃত ‘‘

যখন আপনি কাউকে ভালোবাসেন তখন আপনার জমিয়ে রাখা ইচ্ছাগুলো বেরিয়ে আসতে থাকে।      

—এলিজাবেথ বাওয়েন

যে নারীকে আমি ভালোবাসি তার সাহায্য-সমর্থন ছাড়া আমি যেমনটি চাই তেমনি নৃপতিরূপে আমার দায়িত্বের গুরুভার বহন এবং আমার কর্তব্য পালন আমার সাধ্যের অতীত বলে আমার মনে হয়েছে।

—অষ্টম এডওয়ার্ড

ভালোবাসা হচ্ছে জীবনের বন্ধু।

—জেমস হাওয়েল

প্রেম প্রকৃতির দ্বিতীয় সূর্য ।   

—জর্জ চ্যাপম্যান

যাকে ভালোবাস তাকে চোখের আড়াল কর না।

—বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

বন্ধুত্ব অনেক সময় ভালোবাসায় পর্যবসিত হয়, কিন্তু বন্ধুত্বের মধ্যে কখনো ভালোবাসা থাকে না।

—চার্লস কনটন

ভালোবাসার জন্য স্বার্থ ত্যাগে কোনো ন্যায়-অন্যায় বোধ থাকে না।—টেনিসন

ভালোবাসি আমরা কোনো কারণ ছাড়াই, কারণ ছাড়াই ঘৃণা করি।—জাঁ ফ্রাঁসোয়া রেনার

একমাত্র প্রেমই বিয়েকে পবিত্র করতে পারে। আর একমাত্র অকৃত্রিম বিয়ে হচ্ছে সেটাই, যেটা প্রেমের দ্বারা পবিত্রকৃত—লিও টলস্টয়

ভালোবাসা হচ্ছে এক ধরনের মায়া যেখানে পুরুষ এক নারীকে অন্য নারী থেকে আলাদা করে দেখে আর নারী এক পুরুষকে অন্য পুরুষ থেকে আলাদা করে দেখে।

—লুইস ম্যাকেন

প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ছেলেরা ভালোবাসার অভিনয় করতে করতে যে কখন সত্যি সত্যি ভালোবেসে ফেলে তারা তা নিজেও জানে না। মেয়েরা সত্যিকার ভালোবাসতে বাসতে যে কখন অভিনয় শুরু করে তারা তা নিজেও জানে না।

—সমরেশ মজুমদার

প্রেম হচ্ছে স্বার্থসিদ্ধির চরম অভিব্যক্তি।

—হল রুক জ্যাকসন

প্রেমের পরশে প্রত্যেকেই কবি হয়ে ওঠে —প্লেটো

প্রেম নারীর লজ্জাশীলতাকে গ্রাস করে, পুরুষের বাড়ায়।—জ্যা পল বিশার

প্রেমে পড়লে বোকা বুদ্ধিমান হয়ে ওঠে, বুদ্ধিমান বোকা হয়ে যায়।—স্কুট হাসসুন

প্রেম লুকানো পথ চেনে।—জার্মান প্রবাদ

কেউ ভালোবাসা পেলে এমনকি সুখ ছাড়াও সে বাঁচতে পারে।—দস্তয়েভস্কি

কোনো কিছুকে ভালোবাসা হলো সেটি বেঁচে থাক তা চাওয়া।—কনফুসিয়াস

ভালোবাসা যখন অবদমিত হয় তার জায়গা দখল করে ঘৃণা।—হ্যাভনক এলিস

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর