বুধবার, ১০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভারতের ধনকুবের

সাইফ ইমন

ভারতের ধনকুবের

ধনকুবেরদের নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। তাদের ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা, রয়েছে অট্টালিকা—বিলাসবহুল জীবন তাদের। এত টাকা দিয়ে কী করেন তারা? কীভাবেই বা এত টাকার মালিক হয়েছেন তা সবাই জানতে চায়। কিংবা কে কত টাকার মালিক তা নিয়েও রয়েছে আগ্রহ। ভারতের শীর্ষ ধনীদের নিয়ে লিখেছেন— সাইফ ইমন

 

মুকেশ আম্বানি [২২.৭ বিলিয়ন]

বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত রিলায়েন্স গ্রুপের মালিক মুকেশ আম্বানি ভারতের শীর্ষ ধনী এবং বিশ্বের ধনকুবেরদের একজন। তার সমুদয় সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ২২.৭ বিলিয়ন ডলার। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মূলে রয়েছেন মুকেশ আম্বানির বাবা ধিরুভাই আম্বানি। বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনের জরিপ বলছে, কয়েক বছর যাবৎ ভারতের শীর্ষ ধনীর তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মুকেশ আম্বানি। শুধু ভারতেরই শীর্ষ ধনী নন, এশিয়ার শীর্ষ ধনীদের তালিকায়ও তিনি রয়েছেন সবার শীর্ষে। তার মালিকানাধীন ‘রিলায়েন্স’ ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কোম্পানি। এ ছাড়া ভারতের জামনগরে অবস্থিত পৃথিবীর তৃণমূল পর্যায়ে থাকা সর্ববৃহৎ পেট্রোলিয়াম পরিশোধনাগারটির পরিচালনার দায়িত্বেও আছেন এই ধনকুবের। তিনি তার নামের পাশে আরও একটি ‘শীর্ষ’ অবস্থানের অধিকারী হয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ির মালিকও ভারতের এই ধনকুবের। তার বিখ্যাত বাড়িটি নির্মাণে সাত বছরেরও বেশি সময় লাগে এবং এতে খরচ হয় প্রায় ১০০ কোটি ডলার। মুকেশ আম্বানির পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছয়।

 

দিলীপ সাংভি [১৬.৯ বিলিয়ন]

সান ফার্মা গোষ্ঠীর দিলীপ সাংভি ফোর্বসের বিচারে ভারতীয় তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। দিলীপ সাংভির মোট সম্পদের পরিমাণ ১৬.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বের ৪৪তম বিলিওনিয়ার। তার সান ফার্মাসিউটিক্যালস জাপানের র‌্যানব্যাক্সি কিনে নেওয়ার পর বিশ্বের অন্যতম প্রধান ফার্মা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

ভারতের সবচেয়ে নামকরা দামি ওষুধ কোম্পানিও এখন সান ফার্মা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য ৩০.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ সাফল্য ক্যান্সারের ওষুধ গ্লিভেক। ওষুধটি এনেছে তার মালিকানাধীন নোভার্টিস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ওষুধটি বাজারজাতকরণের উপযুক্ত বলে সার্টিফিকেট প্রদান করে। সাংভির ওষুধ ব্যবসার পাশাপাশি তিনি অন্যান্য ব্যবসায় যুক্ত রয়েছেন। শক্তি উৎপাদন কোম্পানি সুজোলনের ২৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক তিনি। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বহু সম্মাননা লাভ করেছেন। ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী লাভ করে তিনি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছেন।

 

হিন্দুজা ব্রাদার্স [১৫.২ বিলিয়ন]

হিন্দুজা ভারতের অন্যতম শীর্ষ গ্রুপ প্রতিষ্ঠান। শ্রী চাঁদ এবং গোপী চাঁদ ভ্রাতৃদ্বয় হিন্দুজা গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান। কোম্পানিটির ব্যবসা ছড়িয়ে আছে বিশ্বের ৩৭টি দেশে। ট্রাক, লুব্রিকেন্টস থেকে শুরু করে ব্যাংকিং এবং এমনকি স্বাস্থ্যসেবা খাতেও ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে হিন্দুজা গ্রুপ। মুম্বাইয়ে তাদের বাবার টেক্সটাইল আড়তদারির ব্যবসা ছিল। পিতৃসূত্রে পাওয়া ব্যবসায়ী অভিজ্ঞতাই ছিল মূল পুঁজি। এরপর মেধা ও পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে যান বহুদূর। মুম্বাই থেকে তেহরান সবখানেই ছড়িয়ে দেন হিন্দুজা ব্যবসা। একে একে বেশ কয়েকটি সাফল্য ধরা দিতে থাকলেও থেমে যাননি। গত শতকে ব্রিটিশ কোম্পানি অশোক লেল্যান্ড এবং তেল কোম্পানি শেভরনের কাছ থেকে গালফ অয়েলের মালিকানা কিনে নেয় হিন্দুজা গ্রুপ। নব্বইয়ের দশকে ভারত এবং সুইজারল্যান্ডে ব্যাংকিং ব্যবসা শুরু করেন। বিশ্ব দরবারে হয়ে ওঠেন বিজনেস আইকন। হিন্দুজা ভ্রাতৃদ্বয়ের লন্ডনের বাড়িটি বাকিংহাম প্রাসাদের কাছে সেন্ট জেমস পার্কের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। বাড়িটির দাম ৩০ কোটি পাউন্ড। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৫.২ বিলিয়ন ডলার।

 

আজিম প্রেমজি [১৫ বিলিয়ন]

ভারতের প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তির তালিকায় শীর্ষে থাকা আজিম প্রেমজি ভারতীয় বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি পরামর্শক ও সফটওয়্যার সেবাদাতা কোম্পানি উইপ্রোর চেয়ারম্যান। প্রেমজির মূল ব্যবসা সফটওয়্যার কেন্দ্রিক। তিনি পৃথিবীতে প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকার ১৩তম অবস্থানে রয়েছেন। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত একটানা ভারতের সেরা ধনী ছিলেন তিনি। মোট সম্পদের পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন ডলার। অথচ তিনি অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনে বিশ্বাস করেন। বিমান ভ্রমণ করেন ইকোনমি ক্লাসে। ফাইভ স্টার হোটেলের বদলে বেছে নেন মাঝারি মানের হোটেল কিংবা কোম্পানির গেস্ট হাউস। দীর্ঘদিন একটি ফোর্ড গাড়ি ব্যবহার করেছেন। বর্তমানে তার একটি টয়োটা করোলা মডেলের গাড়ি রয়েছে। নিজের ছেলের বিয়েতে কাগজের প্লেট ব্যবহার করেছেন, যেমনটা সাধারণ ভারতীয়রা করে থাকে। অসাধারণ এ মানুষটি লেখাপড়া করেছেন মুম্বাইয়ের সেন্ট মেরি স্কুলে। এরপর তড়িৎ প্রকৌশলে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন।

 

পালোনজি মিস্ত্রি [৩.৯ বিলিয়ন]

পালোনজি গোষ্ঠীর পালোনজি মিস্ত্রির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩.৯ বিলিয়ন ডলার। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৯ সালে। অর্থাৎ ৮৯ বছরে পা দিয়েছেন এই ভারতীয় ধনকুবের। পালোনজি মিস্ত্রি সাপুরজি পালোনজি গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন। তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে সাপুরজি পালোনজি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, ফোর্বস টেক্সটাইল, ইউরেকা ফোর্বস লিমিটেড ইত্যাদি। তিনি ছিলেন এসোসিয়েটেড সিমেন্ট কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান। ২০০৩ সালে পালোনজি তার ভারতীয় নাগরিকত্ব ছেড়ে দেন। কারণ তার আয়ারল্যান্ডের নাগরিকত্বও ছিল। আর ভারতে দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখার কোনো নিয়ম নেই। এই ধনকুবের কনস্ট্রাকশন ব্যবসার ইতিহাসে নতুন পথ উন্মোচন করে। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বছর আয় বেড়েই আসছে। তার ছেলে সাইরাস বর্তমানে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান হিসেবে পার করেছেন ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত। এই প্রথিতযসা ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্বকে নিয়ে একটি বই প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে। বইটি রচনা করেন মনোজ নামব্যুরো। পালোনজি ২০১৬-এর জানুয়ারিতে পদ্মশ্রী লাভ করেন কনস্ট্রাকশনের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য।

 

লক্ষ্মী মিত্তাল [১২.৫ বিলিয়ন]

পুরো নাম লক্ষ্মী নারায়ণ মিত্তাল। ভারতীয় একজন ইস্পাত ব্যবসায়ী হিসেবে বিশ্ব দরবারে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। তিনি বিশ্বের বৃহত্তম ইস্পাত প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আর্সেলর মিত্তালের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। জুলাই ২০১০ পর্যন্ত হিসাব মতে মিত্তাল ইউরোপের প্রথম এবং বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ ধনী এবং তার ব্যক্তিগত সম্পদের মূল্যমান ১২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস নারায়ণ মিত্তালকে ২০০৬ সালের পারসন অফ দ্য ইয়ার ঘোষণা করেছিল। ২০০৭ সালের মে মাসে টাইম ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান দেয়। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বপ্রবাসী ভারতীয় উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য। তিনি গোল্ডম্যান স্যাকস, ইএডিএস ও আইসিআইসিআই ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান। এ ছাড়াও তিনি কাজাকিস্তানের বৈদেশিক বিনিয়োগ কাউন্সিল, দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ কাউন্সিল, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কাউন্সিল এবং আন্তর্জাতিক লৌহ ও ইস্পাত ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিষদের একজন সদস্য।

 

গোদরেজ পরিবার [১২.৪ বিলিয়ন]

গোদরেজ পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ ১২.৪ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় ধনকুবেরদের অন্যতম এই গোদরেজ পরিবার তাদের আদি গোদরেজ ও তার সংস্থার মাধ্যমে। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৯৭ সালে। আর্দেশির গোদরেজ ও পিরোজসাহ গোদরেজ এর প্রতিষ্ঠাতা। তাদের ব্যবসায়িক দক্ষতায় তিলে তিলে ফুলে-ফেেঁপ বড় হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানিটির সুনাম ছড়িয়ে আছে গোটা ভারত তো বটেই এমনকি বিশ্বজুড়ে। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন আদি গোদরেজ। তিনিও অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। তার নিয়ন্ত্রণেই আছে বহুবিধ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে অন্যতম হলো রিয়েল স্টেট ব্যবসা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফর্নিচার, নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এবং কৃষি পণ্য ব্যবসা ইত্যাদি। এই গ্রুপের হ্যাডকোয়ার্টার ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাই শহরে। আদি গোদরেজের রয়েছে আরও এক ভাই ও কাজিন যারা তার সঙ্গে এই গোদরেজ গ্রুপের অংশীদার। আর্দেশির গোদরেজের কোনো ছেলে মেয়ে ছিল না। ফলে তিনি মারা যাওয়ার পর তার ভাই এবং ব্যবসায়িক পার্টনার পিরোজসাহ গোদরেজ সম্পূর্ণ কোম্পানির মালিক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।

 

শিব নাদার [১১.৪ বিলিয়ন]

সফটওয়্যার কোম্পানি এইচসিএলের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান। তার মোট সম্পদের পরিমাণ  ১১.৪ বিলিয়ন ডলার। শিব নাদার বিশ্বের প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ ধনীদের তালিকার ১৪তম অবস্থানে রয়েছেন। শিব নাদার জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৫ সালে। কুম্বকোনাম টাউন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে পাস করার পর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন কোয়েম্বাটুর পিএসজি কলেজ অফ টেকনোলজি থেকে। কর্মজীবনের শুরুতে পুনের ওয়ালচাঁদ গ্রুপে কাজ করেছিলেন। পরবর্তীতে চাকরি ছেড়ে স্বাধীন ব্যবসা শুরু করেন। কয়েকজন বন্ধু ও সহযোগী নিয়ে গড়ে তোলেন ‘মাইক্রোকম্প’ নামের একটি কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি টেলিডিজিটাল ক্যালকুলেটর তৈরি করতে শুরু করলেও কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এর ব্যবসা শুরু করেন। এরপর তিনি ইনফরমেশন টেকনোলজিতেও কাজ শুরু করেন। মানবদরদি শিব নাদার আইআইটি খড়গপুরের বোর্ড অফ গভর্নরসের চেয়ারম্যানের পদে যোগ দেন ২০১৩ সালে। এখন তিনি এই পদেই বহাল আছেন।

 

কুমার বিড়লা [৮.৮ বিলিয়ন]

পুরো নাম কুমার মঙ্গলম বিড়লা। কুমার বিড়লা জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬৭ সালে রাজস্থানে। আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর কর্ণধার কুমার মঙ্গলম বিড়লা রয়েছেন ভারতীয়দের মধ্যে নবম স্থানে। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৮.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫ সালে তিনি ভারতীয়দের মধ্যে ফোর্বসের তালিকায় দশম স্থানে ছিলেন। তিনি অ্যাকাউন্টিংয়ে বি.কম ডিগ্রি অর্জন করে মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে লন্ডন বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ করেন। কুমার বিড়লার বাবা আদিত্য বিড়লা চেয়ারম্যান এবং সিইও ছিলেন আদিত্য বিড়লা গ্রুপের। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৯৯৫ সালে। তখন কুমার বিড়লার বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর। তখন থেকেই আদিত্য বিড়লা গ্রুপের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন কুমার বিড়লা। তখন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাকে ভরসা করতে না পারলেও পরবর্তী সময়ে কুমার বিড়লা দুই বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিকে ৪০ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত করেন। সেই সঙ্গে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। দেশের বাইরে ছড়িয়েছেন তার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান।

 

সাইরাস পুনাওয়ালা [৮.৬ বিলিয়ন]

সাইরাস পুনাওয়ালা ভারতের সবচেয়ে স্টাইলিশ ধনকুবের। ভারতীয় স্টাইলের দরিয়া সাইরাস পুনাওয়ালার সম্পদের পরিমাণ ৮.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বয়স নেহায়েত কম নয়, ৭৫-এর কোঠায়। ৫০ বছর আগে তিনি সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া তৈরি করেন। তিনি ভারতের শীর্ষ ধনকুবেরের মধ্যে অন্যতম। ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পুনাওয়ালা স্ট্যাড ফার্ম নামে পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া কয়েকটি ঘোড়ার খামার। বংশ পরম্পরায় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা পরিবারটির ঐতিহ্য। সাইরাস পুনাওয়ালা মহারাষ্ট্র কলেজ অব কমার্স থেকে ১৯৬৬ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সময় তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসুস্থ শিশুদের সাহায্যে ভ্রমণ করেন। বিভিন্ন অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। বর্তমানে পুনাওয়ালা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং একই সঙ্গে তিনি বেশ কয়েকটি বায়োটেক কোম্পানির মালিক। সেরাম ইনস্টিটিউট তার মধ্যে অন্যতম। এটি ভারতের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর