বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
দ্য টেলিগ্রাফ-এর চোখে

পর্যটনে বিশ্বের সেরা দেশ

আবদুল কাদের

পর্যটনে বিশ্বের সেরা দেশ

চিলি

দক্ষিণ আমেরিকার বিস্ময় চিলি। ইস্টার আইল্যান্ডের ৮৮৭টির পাথুরে মাথা দেশটিকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে। দক্ষিণ আমেরিকার বিস্ময়গত দিক থেকে আস্তে আস্তে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটনের দেশ হয়ে উঠেছে চিলি। গেল বছর পর্যটন খাতে দেশটি ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। ২৬৫০ মাইল লম্বা ১৫০ মিটারেরও বেশি চওড়া দেশটি প্রাকৃতিক বিস্ময় আর রূপ-বৈচিত্র্য এবং জীব-বৈচিত্র্যে ভরপুর। অন্যদিকে চিলিকে আঙ্গুরের দেশও বলা যায়। পুরো দেশে ৮০০০ হেক্টরেরও বেশি জায়গাজুড়ে রয়েছে আঙ্গুরের বাগান। দেশটি দামি দামি মদ তৈরির জন্য বিখ্যাত। সান্তিয়াগোর লেক ডিস্ট্রিকও এবং সান পেদ্রো ডি অ্যাতাকামা মরূদ্যান শহরটি জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট। ৩৬টি ন্যাশনাল পার্ক ও অসংখ্য প্রাকৃতিক বিস্ময় নিয়ে চিলি ২০২০ সালের মধ্যে পর্যটন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম (জিডিপি’র) দেশ হয়ে উঠবে বলে দেশটির পর্যটন সংস্থা ঘোষণা দেয়।

 

কানাডা

চলতি বছর কানাডাবাসীর উৎসবের বছর। কেননা, এ বছরই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটি গেল পয়লা জুলাই ১৫০তম জন্মদিন উদযাপন করেছে। তাই এ সময়টাও কানাডা ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। কানাডা পর্যটকদের জন্য স্বর্গ। ভ্রমণ খরচ অনেক বেশি বলে ধনকুবেরদের আনাগোনাই এখানে বেশি। কান পাতলেই শোনা যাবে নায়াগ্রার গর্জন; চোখ খুললেই দেখা যাবে বরফশুভ্র পাহাড় ও আঁকা-বাঁকা হ্রদের জলরাশিতে নৌকায় ছুটে চলা। গ্লাস-ইস্পাতের বিশালাকার দালানের টরেন্টো শহুরে পিচঢালা পথে দ্রুত ছুটে চলা— এমন সব অ্যাডভেঞ্চারের জন্যই সুখের দেশ কানাডা বিশ্বপর্যটনে সেরাদেরও সেরা। পশ্চিমে রকি মাউন্টেন, সিটি অব ভ্যানকোভার, ভিক্টোরিয়া, ক্যালেগরি। মধ্য কানাডার নায়াগ্রা জলপ্রপাত, টরেন্টো, ওতোয়া, মন্টেরিয়াল, কিউবেক সিটি এবং গ্রস মর্ন ন্যাশনাল পার্ক পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ। প্রতি বছর দেশটি পর্যটনে গড়ে ৮৮.৫ মার্কিন ডলার আয় করে।

 

ভারত

কথায় আছে, যে ভারতবর্ষ পুরো দেখবে সে পৃথিবীর অর্ধেক দেখবে। শুধু কথায় নয়, কাজেও রয়েছে তার মিল। ভারতের পর্যটন শিল্পের কথা লিখে শেষ করা যাবে না। স্বাধীনতার ৭০ বছরে পৃথিবীর বুকে অন্যতম সেরা পর্যটনরাজ্যে রূপ নিয়েছে ভারত। তাজমহল ও অন্য  মোগল স্থাপত্যগুলো ধরে রেখেছে শত শত বছরের ইতিহাস। গুজরাট, অরুণাচল প্রদেশ, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, রাজস্থান, কেরালা, ধর্মশালা, দার্জিলিং, মেঘালয় ও গোয়ার মতো স্বতঃপ্রণোদিত রাজ্যগুলোর স্বাদ ও সংস্কৃতিতে রয়েছে ভিন্নতা। এমন কি বলিউডের শুটিং স্পটগুলোও খুলেছে পর্যটনের নতুন দ্বার। পাহাড়-পর্বত, সবুজে ঘেরা নানা পাহাড়ি ঝরনা এমন কী হিমাচলের শুভ্রসাদা মেঘের গালিচা পর্যটকদের টানে। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজমের হিসাব অনুযায়ী ২০১৬ সালে দেশটি পর্যটনশিল্প থেকে ২২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে এবং দেশটির জিডিপি’র হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৬ শতাংশ।

 

স্পেন

শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির দেশ স্পেন। কয়েকদিনের বিলাসী ভ্রমণের জন্য স্পেন দারুণ। খলিফার প্রাসাদ, ভূমধ্যসাগরে অস্ত যাওয়া সূর্য, হেলানো পাহাড়ে নানা এক্সপেরিমেন্ট, সান্তেনো ডি কম্পোস্তেলা এবং এল কামিনোর নানা অভিজ্ঞতা যেন পর্যটকদের যারপরনাই আনন্দ দেয়। তাই তো নানা বিড়ম্বনা ও কেলেঙ্কারির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ভ্রমণপ্রিয় মানুষের পছন্দের দেশ স্পেন। গ্রানাডার আলহাম্ব্রা এবং জিনিরালাইফের সবুজ বাগানটি পর্যটকদের মনে আনে প্রশান্তি। এটি ছিল ইউরোপের মধ্যযুগীয় ইসলামিক সাম্রাজ্য। ইউরোপের মুসলিম ইতিহাস হাতড়ে বেড়াতেই প্রতি বছর এখানে কয়েক মিলিয়ন পর্যটকের ভিড় জমে। স্পেনের ১৫টিরও বেশি জনপ্রিয় ঐতিহাসিক পর্যটন স্থান রয়েছে যেখানে সারা বছরই থাকে ভ্রমণপ্রিয় মানুষের আনাগোনা। স্পেন ইউরোপের পঞ্চম বৃহত্তম পর্যটনের দেশ। ভ্রমণে নানা কেলেঙ্কারি কাটিয়ে ২০১৬ সালে পর্যটনে দেশটির প্রবৃদ্ধি ছিল শক্তিশালী।

 

ফ্রান্স

ব্যতিক্রমী ভ্রমণের জন্য ফ্রান্স ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যে পরিপূর্ণ দেশটি। তন্মধ্যে প্যারিস ভালোবাসার শহর নামেই পরিচিত। ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে ফ্রান্সের আরাসও পিছিয়ে নেই। প্রতি বছর বিশ্ব সংস্কৃতির দেশটিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৮৫ মিলিয়ন ভালোবাসাপিপাসুরা ছুটে আসেন। তবে প্যারিসে ঢুকেই পর্যটকরা যে বিষয়টি দেখে অবাক হন সেটি হলো রেলস্টেশন, এয়ারপোর্টে থাকা স্ট্রিট পিয়ানোর সমাহার আর কৃত্রিম স্ট্যাচু অব লিবার্টি। তাছাড়া প্যারিসের প্রতীক ‘আইফেল টাওয়ার’ থেকে একপলক ফেললেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে রূপকথার মোনালিসার ‘ল্যুভর মিউজিয়ামসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক গুরুত্ববাহী স্থান। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজমের হিসাব অনুযায়ী ২০১৬ সালে দেশটি পর্যটন শিল্প থেকে ৭৭.৭ বিলিয়ন ইউরো আয় করেছে।

 

মিয়ানমার

বার্মা নামে পরিচিত দেশটির পরিবর্তন হয়েছে। মিয়ানমার নামেই এখন যার পরিচিতি। নানা সমস্যার মিয়ানমারে কাজের কাজ কেবল হয়েছে একটিই, পর্যটন দেশের খেতাব অর্জন করেছে গোটা বিশ্বে। পর্যটকদের কাছে দেশটি প্রাকৃতিক স্বর্গ বলেই পরিচিত। এখানে আসা পর্যটকরা নানা চ্যালেঞ্জ নিয়েই আসেন। এশিয়ার সৌন্দর্যের জানালাই বলা যায় অভূত সুন্দর এই দেশটিকে। গণতন্ত্রের পথে পা বাড়ানো মিয়ানমারে দিন দিন বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। গোটা দেশ উঁচু-নিচু পাহাড়-পর্বতময়। আর সবুজের গালিচার বাগান মানেই মিয়ানমারের ঐতিহ্য। নির্জন শান্ত নিসর্গ আর কাঠের তৈরি সুপ্রাচীন বৌদ্ধমন্দির। প্রবল ভূমিকম্পে অনেক ধ্বংস হলেও যে কটি আছে সবকটিই ইতিহাসের কথা বলে। সামরিক শাসনের কলঙ্ক ঘুচিয়ে দেশটি এখন পর্যটন বিশ্বের অন্যতম নগরী। প্রতি বছর এক মিলিয়ন পর্যটক বাড়ছে দেশটিতে। ২০১৬ সালে পর্যটকের সংখ্যা ছিল ৫ মিলিয়ন।

 

ডেনমার্ক

সম্ভবত ডেনমার্কের কোপেনহেগেনই হতে যাচ্ছে ২০১৭ অর্থবছরের ইউরোপের সেরা সাংস্কৃতিক শহর। ডেনমার্কের দ্বিতীয় শহর আড়াউস সেরার দৌড়ে পিছিয়ে নেই। ইতিমধ্যে ডেনমার্ক ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের সেরা দশের তালিকায়ও উঠে এসেছে। ইতিহাস এখানকার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে। এক হাজার বছর আগেও ডেনমার্ক এমন গোছালো ছিল না। ড্যানিশ রাজা দেশটিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। কিন্তু একালের ডেনমার্ক ইশপের গল্পকেও হার মানাবে। কল্পনাকে সাজিয়ে দেশটিকে তৈরি করা হয়েছে পর্যটক নগরী হিসেবে। পরিকল্পিত নগরায়ন, নকশা আর প্রাচীন স্থাপত্যের জন্য ডেনমার্কের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। অ্যাডভেঞ্চার, সাইক্লিং, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, নর্ডিক রন্ধন শিল্প, চলচ্চিত্র এবং নাটক তৈরিতে রূপকথার সুখের পায়রা দেশটি বিশ্বসেরা। তাই তো দেশটির ইতিহাসে ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ ৪৭ মিলিয়ন পর্যটকের সমাগম ঘটেছিল।

 

আমেরিকা

স্বপ্নের দেশ আমেরিকা। অনেকেই ভাগ্যবদলে যান এই রাষ্ট্রে। আবার অনেকেই যান ঘুরে বেড়াতে। প্রাচীন আর ঐতিহাসিক শহুরে পিচঢালা পথে নানা বিনোদন আর সংগীতের সুরের মূর্ছনায় পর্যটকদের মাতিয়ে রাখে আমেরিকান পর্যটন শিল্প। ২০০ বছরেরও বেশি সময়ে ইতিহাস আগলে রাখা ওয়াশিংটন ডিসি, ফ্লোরিডার বিখ্যাত ওয়ার্ল্ড ডিজনিল্যান্ড এবং নানা রঙে সাজানো-গোছানো বট-বৃক্ষের মায়ায় প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটে এখানে। বিখ্যাত নিউইয়র্ক সিটি, টাইমস স্কয়ার, গ্রান্ড ক্যানিয়ন উদ্যান, ইয়োলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক, স্ট্যাচু অব লিবার্টি, অরল্যান্ডোর সিওয়ার্ল্ডের ডলফিনের খেলা— কি নেই এখানে! পর্যটকদের কাছে আমেরিকা যেন স্বর্গরাজ্য। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক খাত হিসেবেই পরিচিত এই আমেরিকান ট্যুরিজম। সন্ত্রাসী হামলা এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও পর্যটন খাত থেকে দেশটি ৮৪.১ বিলিয়ন ডলার আয় করে।

 

কলম্বিয়া

এক সময় গৃহযুদ্ধ ও সহিংসতার কারণে বাইরের বিশ্ব থেকে কলম্বিয়া আলাদা ছিল। কেবল কলম্বিয়ান স্ট্যাম্পের সিল লাগলেই দেশটিতে ভ্রমণ করা যেত। বর্তমানে সেই দিনগুলোতে তাকালে মনে হবে কলম্বিয়ার আয়নায় ধুলার আস্তরণ। দেশটিতে কোনো বিশ্ব আশ্চর্য নেই। তবে, ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির কলম্বিয়া গোটা বিশ্বের ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বেশ প্রশংসিত। দেশটির নয়নাভিরাম প্রকৃতি এবং চিকিৎসার জন্য দর্শনার্থীদের আমন্ত্রণের প্রধান হাতিয়ার। দেশটিকে দক্ষিণ আমেরিকার রত্নভাণ্ডার বলা হয়ে থাকে। কলম্বিয়ার নয়নাভিরাম সমুদ্র সৈকত, পর্বতমালা এবং নিবিড় সবুজ অরণ্য আর অতিবৃষ্টি পর্যটকদের কাছে টানে। কার্টেজেনা ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০১৬ সালে কলম্বিয়া পর্যটন থেকে আয় হয় ৫৮৮০ বিলিয়ন ডলার। প্রতি বছর দেশটিতে ২.৯ মিলিয়ন বেশি পর্যটকের আগমন ঘটে।

 

পেরু

পর্যটন শিল্প পেরুর তৃতীয় বৃহত্তম জাতীয় আয়ের উৎস। ঐতিহাসিক স্থান, কৃত্রিম থিম পার্ক, ইকোট্যুরিজম, রোমাঞ্চকর অভিযাত্রা, সমুদ্র দর্শন, ভোজন বিলাসের কারণে দেশটি ভ্রমণকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। ঐতিহাসিক সব দালান ও প্রাচীন অদ্ভুত প্রথা, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য আর শহুরে উদ্ভাবন এবং মহাদেশটির সবচেয়ে উন্নত সংস্কৃতির মিশেলে তৈরি রূপকথার দেশ। গোটা দেশটিতে অ্যাডভেঞ্চারের কমতি নেই। রাফটিং, প্যারাগ্লাইডিং, সাইক্লিনিং, জিপ লাইনের মাধ্যমে পাহাড়ে পাহাড়ে ঘন সবুজ অরণ্যে ভয়ানক প্রাণীদের সঙ্গে দাপিয়ে বেড়ানো, আমাজনের লালা মাকড়সা ও পানির জন্য হাহাকার, ভয়ানক আমাজনের রুদ্রমূর্তি— সব মিলিয়ে বেয়ার গিলসের মতো ভয়কে জয় করা অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়দের জন্য পেরু হলো আদর্শ স্থান।

ডব্লিউটিটিসি’র হিসাবমতে ২০১৫ সালে ৩.৮ মিলিয়ন ভ্রমণপিপাসুর আগমন ঘটে এখানে।

 

ফিনল্যান্ড

রাশিয়া ও সুইডেনের কাছে ৮০০ বছর শাসিত হওয়ার পর ১৯১৭ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। ২০১৭ সালটি স্বাধীনতার শতবর্ষ হওয়াতে আয়োজনটাও বিশাল। ইতিমধ্যে ফিনল্যান্ড ট্যুরিস্ট দেশ হিসেবে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। অসাধারণ ও আশ্চর্য রকমের স্থাপত্যশৈলীর কারণে ওয়ার্ল্ড ডিজাইন ক্যাপিটাল বা ‘বিশ্ব নকশা রাজধানী’র তকমা পায়। ফিনল্যান্ডের বনভূমিতে নানা দেশ থেকে অনেক পর্যটক রোমাঞ্চকর অভিযানের টানে ছুটে আসে। ১১ হাজার হেক্টরের নতুন ন্যাশনাল পার্কটিও ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ফিনল্যান্ড সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে গোটা বিশ্বে বেশ সমাদৃত। বিশেষত আধুনিক স্থাপত্যকলা ও শিল্পকারখানা ডিজাইনে ফিনল্যান্ডের সুনাম আছে। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজমের হিসাব অনুযায়ী ২০১৬ সালেই ৪.৬ মিলিয়নের বেশি পর্যটকের আগমন ঘটে এখানে।

সর্বশেষ খবর