রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

২০৩০ সালে ‘জনসংখ্যা বোমা’

২০৩০ সালে ‘জনসংখ্যা বোমা’

 

বিশ্ব এগোচ্ছে সংকটময় পরিস্থিতিতে। জনসংখ্যা বাড়ছে বিপজ্জনকহারে। সমীক্ষা বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্য ১০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। বিগত কয়েক দশকের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার এমনটাই জানান দিচ্ছে। এমন সমীক্ষাটি করেছে গ্লোবাল সিটিস ইনস্টিটিউট প্রোজেক্টস। ১৩.৭৬ মিলিয়ন মানুষের বসবাসের শহর টোকিও ইতিমধ্যে বিশ্বের জনবহুল শহরতলির খেতাব অর্জন করেছে। ১৯৫০ সালে বিশ্বের জনবহুল শহরের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা নিউইয়র্ক সিটি

৮.৫ মিলিয়ন মানুষ নিয়ে নেমে এসেছে দশম স্থানে। দ্রুত এ তালিকার পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে হতে যাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহরগুলো নিয়ে লিখেছেন —আবদুল কাদের

 

টোকিও [জাপান]

১৯৫০ সালে নিউইয়র্ক সিটি, ২০১৭-তে সেই তালিকা দখল করেছে টোকিও। গেল ৬৭ বছরে বেশ পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ জনবহুল শহরের তালিকার শীর্ষে জাপানের এই রাজধানী। ১৯ শতকের শুরুতে শহরটির জনসংখ্যা ছিল মাত্র ২০ লাখ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রেক্ষাপট পাল্টে শহরটির জনসংখ্যা ৭০ লাখ ছাড়ায়। ১৯৯০ সালে সংখ্যাটি ছিল প্রায় এক কোটির কাছাকাছি। ধীরগতিতে হলেও শহরটির ২৩ ওয়ার্ডে ৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষের বসবাস। ৮৪৫ বর্গমাইলের শহরটিতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১০ হাজারের বেশি মানুষ বসবাস করছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ তা বিপদসীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে। সংখ্যাটি হতে পারে ৩ কোটি ৭৮ লাখেরও বেশি। অর্থাৎ ২০৩০ সাল নাগাদ শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করবে। শহরটির আকাশচুম্বী দালানসমূহকে বিশ্বের স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন বলাই যায়। কিন্তু ভবিষ্যতে কীভাবে এত মানুষের ঠাঁই হবে তাই এখন দেখার বিষয়।

 

দিল্লি [ভারত]

তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মুঘল আমলের শাহজাহানবাদ। যা বর্তমানে ভারতের রাজধানী দিল্লি নামে পরিচিত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া শহরগুলোর একটি। ১৯ শতকের শুরু, তখনো দিল্লি ভারতের রাজধানী হয়ে ওঠেনি। সে সময় দিল্লির জনসংখ্যা ছিল মাত্র চার লাখ। ভাবতে পারেন! মাত্র ১১৬ বছর পর এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি। হ্যাঁ, বর্তমানে রাজধানী দিল্লিতে এখন ২৮ মিলিয়নের বেশি মানুষের বসবাস। শুধু তাই নয়! ২০৩০ সাল নাগাদ এ স্থানটি ধরে রাখতে পারে ভারতের এই রাজধানী শহরটি। ভবিষ্যতে ৫৭৩ বর্গমাইল আয়তনের শহরটির আনুমানিক জনসংখ্যা হতে পারে ৩ কোটি ৬১ লাখেরও বেশি। বিজনেস ইনসাইডারের বরাতে এমনটাই দাবি গ্লোবাল সিটিস ইনস্টিটিউট প্রজেক্টসের।

 

সাংহাই [চীন]

দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সমৃদ্ধ শহর সাংহাই। ১৯৫০ সালেও বিশ্বের জনবহুল শহরের তালিকায় শহরটি ছিল ১০ নম্বরে। সে সময় শহরটিতে ছিল মাত্র ৪৩ লাখ মানুষের বসবাস। ৬৬ বছর পর, জনসংখ্যার দিক থেকে শহরটি পেয়েছে বিশ্বে তৃতীয় স্থানের তকমা। বেশ কিছুকাল আগে ফিরে তাকাই! ১৯৯০ সালেই শহরটির মোট জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৭৮ লাখ ২৩ হাজার। তবে ২০১৭ সালে সেই পটভূমি পাল্টে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪২ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি। সাংহাইয়ে জনসংখ্যার ৮৯.৩ ভাগ শহুরে পরিবেশে এবং বাকি ১০.৭ ভাগ গ্রামীণ পরিবেশে বসবাস করে। তবে আন্তর্জাতিক মাধ্যম বিসনেস ইনসাইডার ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে চীনের এই ব্যবসায়িক শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহরে পরিণত হবে। তারা বলছেন, ভবিষ্যতে এই শহরটিতে ৩ কোটি ৮ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করবে।

 

মুম্বাই [ভারত]

একই তালিকায় রয়েছে ভারতের আরেকটি শহর। নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই! মুম্বাই, বলিউডের পর্দা কাঁপানো অন্যতম বাণিজ্যিক শহর এটি। ২০১৬ সালে ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের বসবাসযোগ্য শহর হিসেবে দাবি করলেও চলতি বছরেই সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৩৫ লাখ। ২০০০ সাল পর্যন্ত মুম্বাইয়ে জন্যসংখ্যার লাগাম টানা ছিল। সে লাগাম ছুটেছে ২০০১ সালেই। এর পর থেকে আজ অবধি খুব দ্রুতহারে বাড়তে থাকে এখানকার জনসংখ্যা। যদিও ভৌগোলিক দিক থেকে মুম্বাই ভারতের সবচেয়ে বড় শহর। তাই জনসংখ্যা নিয়ে মুম্বাইবাসীকে না ভাবলেও চলবে। তার ওপর ভারতের মোট আয়করের ৩৩ শতাংশই আসে মুম্বাই থেকে। মুম্বাইয়ের মাথাপিছু আয় ভারতের গড় মাথাপিছু আয়ের তিন গুণ। ভবিষ্যতে শহরটিতে ২ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ বসবাস করবে। সেই ধারা থেকে বলাই যায়, আগামী ২০৩০ সালে ভারতের মুম্বাই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহরতলির মধ্যে চতুর্থ স্থানে অবস্থান করবে।

 

বেইজিং [চীন]

চীন এমনিতেই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। তার ওপর বিশ্বের বৃহৎ শহরের তালিকায় পেয়েছে ১১তম স্থান। তাই বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার তালিকায় এ শহরটি থাকবে না, তা কি হয়! হ্যাঁ, চীনের সেই শহরটি রাজধানী বেইজিং। চীনের সবচেয়ে বড় শহর। কিন্তু ১৯৫০ সালেও চীনের এই রাজধানী শহরে বসবাসকারী জনসংখ্যা ছিল একেবারেই কম। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, মাত্র ১৬ লাখ ৭১ হাজার মানুষ এখানে বসবাস করত। তবে, পুরনো বেইজিং এবং বর্তমান বেইজিংয়ের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। যুগে যুগে শহরটির আধুনিকায়নের পাশাপাশি বেড়েছে জনসংখ্যাও। বর্তমানে এই শহরতলিতে ২ কোটি ২০ লাখ ৬৩ হাজার মানুষের বসবাস। জাতিসংঘের নগরায়ণ প্রস্পেক্টাস থেকে তথ্যটির সত্যতা মেলে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ সাল নাগাদ শহরটির জনসংখ্যা হতে পারে  ২ কোটি ৩০ লাখ। অন্য আরেকটি সূত্রে দেখা যায়, ২০৫০ সালে এই সংখ্যাটি ৫ কোটি ছাড়াতে পারে। তবে যত যাই হোক! বিসনেস ইনসাইডার জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বেউজিংয়ের মোট জনসংখ্যা হবে  ২ কোটি ৭৭ লাখেরও বেশি।

 

ঢাকা [বাংলাদেশ]

এমনিতেই ছোট্ট শহর ঢাকা। শুধু তাই নয়, সঙ্গে দ্রুত বাড়ছে নগরীতে জনসংখ্যার চাপ। ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী ৩০০ বর্গ কিলোমিটারের নগরী ঢাকায় বসবাসকারীর সংখ্যা ছিল  এক কোটি ৮০ লাখেরও বেশি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ছোট্ট এই শহরটিতে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ২৩ হাজার ২৩৪ জন মানুষ বসবাস করে। বিশাল এই জনসংখ্যা অনুযায়ী ঢাকার আয়তন একেবারেই কম। ইতিমধ্যে জনসংখ্যার বাড়তি চাপ নগরবাসী অনুভব করতে শুরু করেছে। তীব্র যানজট আর জলাবদ্ধতা শহরবাসীকে প্রায়শ নাকাল করে ফেলে। মূলত স্থান সঙ্কুলান এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণই এজন্য দায়ী। এখানকার গড়পরতা আবহাওয়া ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নগরায়ণের বাড়তি চাপ আরও বাড়বে বলে ভবিষ্যদ্বাণীও দেন অনেক বিশেষজ্ঞ। কেউ বলেন, ২০২০ সাল নাগাদ এখানকার জন্যসংখ্যা ২ কোটি ১০ লাখ ছাড়াবে। আবার কেউ বলেন, ২০৩০ সালে ঢাকা শহর জনরোষে ঢাকা পড়বে। ২ কোটি ৭৪ লাখ মানুষের বসবাসের নগরী হতে পারে এই ঢাকা। আরেকটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ ঢাকা হবে বিশ্বের তৃতীয় জনসংখ্যাবহুল শহর। ওই সংখ্যা দাঁড়াবে ৩ কোটি ৫২ লাখ। ভবিষ্যতের ঢাকা কী পারবে এই বিশাল জনসংখ্যার ভার নিতে?  

 

করাচি [পাকিস্তান]

মুসলিম বিশ্বের অন্যতম জনবহুল শহর করাচি। শুধু তাই নয়, বিশ্বের ৭তম মহারগরীও এটি। পাকিস্তানের রাজধানী না হয়েও বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে পরিচিত। প্রতি মাসেই পাকিস্তানের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে ৪৫ হাজার কর্মী ভাগ্য বদলাতে এখানে আসেন। তাই তো করাচির অর্থনীতিও প্রতি বছর শতকরা ৫ ভাগ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে জনসংখ্যাও। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল, এই কয়েক বছরের পরিসংখ্যান দেখলেই মিলবে শহুরে জনপদে জনসংখ্যার দৃশ্যপট। গেল বছর এক কোটি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করত এই শহরতলিতে। চলতি বছরে এই সংখ্যা দারুণভাবে বেড়েছে। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে এখানে  ৬ হাজার লোকের বসবাস। যদিও অনেকের দাবি, করাচিতে ২ কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস। তবে, এর সত্যতা যেমনই হোক—২০৩০ সালের মধ্যে করাচির শহুরে জনপদে লোকসংখ্যা হবে কমপক্ষে ২ কোটি ৪৮ লাখ বা তারও বেশি। আর এটিই হবে পাকিস্তানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা।

 

কায়রো [মিসর]

রাজধানী কায়রো, প্রাচীন মিসরের শহর। বৃহত্তম মহানগরী হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে তো বটে, সারা বিশ্বে কায়রোর অবস্থান ১৫তম। শহরটি আরব বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন শহর এবং বৃহত্তম চলচ্চিত্রের জন্য বিখ্যাত। খুব বেশি দিন নয়, মাত্র কয়েক দশক ধরে কায়রোয় জনসংখ্যা বেড়েছে, বাড়ছে শ্রমশক্তি। এখানে মৃত্যু হারের চেয়ে জন্মহারই বেশি। যদিও কায়রো বিগত শতকগুলোতে নানা পুষ্টিহীনতা, বায়ু-দূষণ এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে আসছে। ১৯২৭ সালেও শহরটিতে মাত্র ১০ লাখ লোকের বসবাস ছিল। বর্তমানে, সেই সংখ্যাটি ১ কোটি ৬১ লাখ ২০ হাজারকেও ছাড়িয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ এখানে বসবাস করবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাপ সামলাতে কায়রোকে আরও বড় করে তোলা হয়েছে এবং কায়রোকে মেগা সিটি হিসেবে তৃতীয় বিশ্বের অন্যতম আইকন বলা-ই যায়।

 

লাগোস [নাইজেরিয়া]

১৯১৪ সালে নাইজেরিয়ার রাজধানী শহর ছিল লাগোস। নাইজেরিয়ার প্রদেশও বলা যায় শহরটিকে। মূলত এটি একটি বন্দর শহর। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির শহরগুলোর মধ্যে লাগোস একটি। রাজধানী না হয়েও এখন জনসংখ্যার ভারে নূয়ে পড়েছে শহরটি। অলি-গলি, পাড়া-মহল্লা সবখানেই মানুষের মেলা। এই তো, ১৯৭০ সালেও বন্দর শহরটিতে জনসংখ্যা ছিল মাত্র ১ কোটি ৪০ লাখ। মাত্র ৪৭ বছরের ব্যবধানে দ্রুত পরিবর্তন ঘটে। বর্তমানে এই শহরটি জনসংখ্যা ২ কোটি ১০ লাখেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে শহরটিতে বসবাসকারী মানুষের পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারে। এবং এটি বিশ্বের তৃতীয় জনবহুল শহর হয়ে উঠতে পারে।

জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে লাগোস উন্নত বিশ্বের লন্ডন এবং নিউইয়র্ক সিটিকেও পেছনে ফেলে দিয়েছে। যদিও শহর দুটির জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ঘণ্টায় ৯-১০ জন। বিসনেস ইনসাইডার বলছে, ২০৩০ সালে লাগোসের মোট জনসংখ্যা ২ কোটি ৪২ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। জনস্রোতের ভবিষ্যদ্বাণী যেমনই হোক, শহরটি বাণিজ্যিক দিক থেকে ছাড়িয়ে গেছে গোটা আফ্রিকা মহাদেশের সবগুলো শহরকে।       

 

মেক্সিকো সিটি [মেক্সিকো]

মেক্সিকো সিটি, বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্প্যানিশভাষীদের শহর এটি। জনবহুল শহরও বটে। সম্প্রতি এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে শহরটিতে দেখা গেছে মৃত্যুর মিছিল। মাত্র ৩২ বছর আগে, ১৯৮৫ সালেও আরেকটি ভয়াবহ ভূমিকম্প কাঁপিয়ে তুলেছিল শহরটিকে। ভূমিকম্পপ্রবণ শহর হওয়া সত্ত্বেও শহরটি সব সময়ই লোকে লোকারণ্য। এক সমীক্ষায় দেখা যায়, মেক্সিকোর মোট জনসংখ্যার  ২০ শতাংশের বাস এই শহরতলিতে। অর্থাৎ  ১ কোটি ২২ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করেন এখানে। ১৪৮৫ বর্গ কিলোমিটারের শহরটি উত্তর আমেরিকার অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ শহর।

এখানে বসবাসরতদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ আমেরিকান, ৩১ শতাংশ ইউরোপিয়ান এবং ৩ শতাংশ আফ্রিকান। এখানে যেভাবে মানুষ বাড়ছে ২০২০ সালের মধ্যে ২ কোটি ছাড়াতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর বিসনেস ইনসাইডারের করা ভবিষ্যদ্বাণীতে দেখা যায়, মেক্সিকো সিটিতে ২০৩০ সালের মধ্যে ২ কোটি ৩১ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করবে।

 

সর্বশেষ খবর