শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিশ্বজুড়ে বাংলাটাউন

নিজ দেশের গণ্ডিতেই বাঙালি তার পরিচয় ধরে রাখেনি, বিশ্বজুড়ে রয়েছে স্বদর্প উপস্থিতি। সেসব দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জ্ঞান-বিজ্ঞানের নতুন দ্বার উন্মোচন ও সংস্কৃতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখাসহ অন্যান্য খাতেও তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। শুধু তাই নয়, সেখানে গড়ে তুলেছে নিজেদের কমিউনিটি। এমনকি কিছু অঞ্চলে চলে বাঙালির নিজস্ব জীবনব্যবস্থা ও রীতিনীতি। গড়ে ওঠে বাজার ও লেন। নামকরণ করা হয় বাংলাটাউন। বিস্তারিত লিখেছেন— তানিয়া তুষ্টি

বিশ্বজুড়ে বাংলাটাউন

বিশ্বব্যাপী বাঙালি

দক্ষিণ কোরিয়া

মোটামুটি একটি শক্ত অর্থনৈতিক কাঠামোয় দাঁড়িয়ে আছে দক্ষিণ কোরিয়া। সে দেশে কর্মক্ষেত্রের যেমন নানাবিধ সুযোগ রয়েছে, তেমনি বসবাসের জন্যও উপযোগী। আয়তনে ছোট হলেও এই দেশেও কমপক্ষে ১৩ হাজার বাঙালি কর্মী পাওয়া যাবে। এটি গেল দাফতরিক হিসাব। এর বাইরেও আছে আরও অনেক বাঙালি। প্রতি বছর স্টুডেন্ট ভিসাতেও অনেক বাঙালি দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। এদের কেউ কেউ বাংলাদেশ থেকে আসেনই স্থায়ী অভিবাসী হওয়ার উদ্দেশে। অনেকে আছেন সে দেশের অস্থায়ী নাগরিক হিসেবে। কিছু বছর থেকে আয় উপার্জন করে আবার দেশে ফিরে যান। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বেশিরভাগ বাঙালির বসবাস। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অল্প সংখ্যক বাঙালির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাবে।

জাপান

প্রযুক্তির দিক থেকে সারা বিশ্বের অনুকরণীয় এবং নির্ভরতার দেশ জাপান। সে দেশে কর্মক্ষেত্রের অবাধ সুযোগ রয়েছে। মেধাবীদের স্থান সেখানে সবার আগে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম হলেও জাপানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি রয়েছে। ২০০৫ সালে জাপান মন্ত্রণালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী ১১ হাজার ৫৫ জন বাংলাদেশি সেখানে বিদেশি হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে। জাপানে অভিবাসন গ্রহণ করার কারণ হিসেবেও দেখানো হয়েছে সে দেশে কাজের সুযোগকে। জাপানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ানের মানুষ সেখানে ভূমিকা রেখে চলেছে। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই মূলত বাঙালিদের টিকে থাকতে হয়। জাপানও সে দেশে লেখাপড়া জানা লোক অথবা ছাত্রদের বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আর সে কারণেই আমাদের দেশ থেকে বেশিরভাগ ছাত্র তাদের ভাষাশিক্ষা স্কুলে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে অভিবাসন গ্রহণের সুযোগ পেয়ে থাকেন। কারণ এ ধরনের শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ থাকে। পড়াকালীন সময়ে ছাত্ররা নিজেদের যোগাযোগ বাড়াতে থাকে। এক কথায় জাপানেই তাদের ভিত্তি গড়ে নিতে শুরু করে। এরপর তারা পূর্ণকালীন কাজে ঢুকে যান। জাপান তাদের দেশে এই ধরনের অভিবাসনের সুযোগ দিতে শুরু করে ১৯৮৮ সাল থেকে। কিন্তু এক বছর পরেই বিভিন্ন কারণে তা বাদ হয়ে যায়। ১৯৮০-৯০ সালে আবার কমপক্ষে ৫ হাজার ছাত্রকে তারা স্টুডেন্ট ভিসায় গ্রহণ করে। ২০০৭ সালের জরিপে দেখা যায়, জাপানে যারা অবৈধভাবে ছিল তারা বিভিন্ন ধরনের কালোবাজারিতে লিপ্ত আছে। এমনকি রাতারাতি নিজেদের অর্থের পরিমাণও বাড়িয়ে নিয়েছে। মূল মজুরির তুলনায় প্রায় ১৫০ শতাংশ বেশিও আয় তাদের। এদের বসবাসও জাপানের প্রধান শহরগুলোতে। বিশেষ করে টোকিওতে অনেক বাঙালি পাবেন। সারাজীবনের জন্য তারা স্থায়ীভাবে না থাকলেও চলমান এই অভিবাসীদের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতির চর্চা আছে। বাংলাদেশ থেকে যারা জাপানে অভিবাসী হয়ে আসেন তারা বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত শ্রেণির। এদেশে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার সুযোগ থাকায় অশিক্ষিত যুবকরাও সে সুযোগ নিয়ে থাকে। খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া যুবকের মাত্র ৩০ শতাংশের মতো উচ্চশিক্ষিত। এরা জাপানে গিয়ে গড়ে ৭ বছরের মতো অবস্থান করে।

ইতালি

ইতালিতে একটি বড় সংখ্যক বাঙালি অভিবাসী রয়েছে। ২০১৩ সালের হিসাব মতে এখানে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১১ জন বাঙালি স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তাদের জীবন ধারণের যাবতীয় কাজকর্মও এখানে সম্পাদন হচ্ছে। সাংস্কৃতিক জীবনাচরণ, পড়াশোনা ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপে তারা নিজেদের যুক্ত রেখেছেন এদেশে বসেও। এদিক থেকে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা বলতে ইতালির লাজিও, লম্বার্ডিসহ রোম মিলান এবং ভেনিসের কিছু এলাকাকে নির্দেশ করা যায়। ১৯৮৯ সালে প্রথম বাঙালিরা ইতালিতে স্থায়ীভাবে আবাস গড়তে শুরু করে। এর মাত্র দশ বছরের মাথায় রোমে দ্বিগুণ পরিমাণ বাঙালির বসবাস শুরু হয়। এর সংখ্যা দিনে দিনে উল্লেখযোগ্যহারে বাড়তে থাকে। এতো গেল হিসেবের আওতা। নথিভুক্তির বাইরে আছে আরও ১ লাখের মতো বাঙালি। তারা ছোট বড় সব ধরনের ব্যবসা ও চাকরি করে থাকেন। 

অস্ট্রেলিয়া

অভিবাসনের জন্য অস্ট্রেলিয়া অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো। বিলাসবহুল জীবনব্যবস্থা এবং নিজের ক্যারিয়ার গুছিয়ে নিতে অস্ট্রেলিয়ার তুলনা হয় না। বিশেষ করে এখানকার শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত মানসম্মত। আমাদের দেশ থেকে অনেকে অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চ ডিগ্রি লাভের আশায় এসে থাকেন। পরবর্তীতে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাঙালির সংখ্যা কিছুটা কম। ২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী ৫৩ হাজারের মতো হবে। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়ালেস এবং ভিক্টোরিয়ায় এসব বাঙালির উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা যায়। এ ছাড়াও সিডনি এবং মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালির দেখা পাবেন উল্লেখ যোগ্য পরিমাণে। এখানে তারা  নিজেদের মতো করে জীবনব্যবস্থা পরিচালিত করতে পারেন।

সুইডেন

সুইডেনের ব্রাক নামের একটি জায়গা সুউচ্চ গাছ আর নানা ধরনের ফলের জন্য বিখ্যাত। সেখানে কাজ করার জন্য বড় একটি সুইডিস কোম্পানি অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ শ্রমিক নিয়োগ দেয়। বাঙালি শ্রমিকরা সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সেখানে তারা বাংলাদেশি সংস্কৃতিতে নিজেদের জীবনাচার পালন করে থাকে। তাই কোম্পানির কাছেও এই অঞ্চল বাংলাদেশ নামেই অভিহিত।

 

ব্রিক লেন, লন্ডন

লন্ডনের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত টাওয়ার হ্যামলেটের একটি রাস্তার নাম ব্রিক  লেন। লন্ডনে বসবাসকারী ২ লাখ ৮৩ হাজার বাংলাদেশির বেশিরভাগই এখানে বসবাস করে বলে অনেকের কাছে এটি বাংলাটাউন হিসেবে পরিচিত। রাস্তাটির আগের নাম ছিল হোয়াইট চ্যাপেল স্ট্রিট। ১৫ শতকে এখানে ইট ও টাইলস তৈরি করার পর জমা রাখা হতো বলে পরে নাম হয় ব্রিক লেন। ১৭ শতকে শহরের বাইরে ফল ও সবজি বিক্রি করার জন্য ব্রিক লেন বাজার শুরু হয়। এখানে আইরিশ, ইহুদিরা আসতে থাকে অভিবাসিত হয়ে। পরে এই শতাব্দীতে ব্রিক লেনে বাংলাদেশি সিলেটিদের বেশি মাত্রায় আগমন শুরু হয়। ২০১০ সালের ৬ জুন থেকে ব্রিক লেন কৃষকদের বাজার হিসেবে প্রতি রবিবার খোলা থাকে। ব্রিক লেনে কিছু কারি হাউস থাকলেও তারা অ্যালকোহল বিক্রি করে না। কারণ বেশির ভাগ দোকানের মালিকানা মুসলমান নাগরিকের। সম্প্রতি এখানে শিল্পচর্চার জন্য প্রদর্শনী কেন্দ্র, চারুকলা ও ফ্যাশন বিষয়ে কোর্স চালু হয়েছে। সিলেটি বাংলাদেশিরা এখানকার দক্ষিণ এশিয়ান নাগরিকদের মধ্যে মাত্র ১০ ভাগ হলেও তারা ৯০ ভাগ ভারতীয় রেস্টুরেন্টের মালিক। ১৯৯০ সাল থেকে এখানে কিছু ভালো নাইট ক্লাব গড়ে ওঠে। এ ছাড়া কিছু গানের মিউজিক ভিডিওর শুটিংও হয়েছে যেমন দ্য কিলারসের অল দিস থিংস দ্যাট আই হ্যাভ ডান ও জাস্ট জ্যাক্স ব্যান্ডের গ্লোরি ডে।

 

ডেট্রয়েট, আমেরিকা

বাঙালি নিজের পরিচয় তুলে ধরেছে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে। এমনকি বিশ্বের নামি দামি দেশে গড়ে উঠছে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েটে বাঙালি আধিক্যে গড়ে উঠেছে বাংলাটাউন। ‘মিশিগান রাজ্যের ডেট্রয়েট’ এবং ‘হ্যামট্র্যাক’ শহরে গেলে চমকে যেতে পারেন যে কেউ। শহরজুড়ে চলছে বাংলাদেশি রিকশা! সেখানে বসবাসরত বাঙালিসহ অন্য দেশের পর্যটকরা উৎসাহ নিয়ে সেই রিকশায় চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। এখানে ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন বাঙালি রেস্তোরাঁ এবং সুপারশপ। মিশিগান রাজ্যজুড়ে এখন প্রায় ৪০ হাজার এবং ডেট্রয়েট-হ্যামট্র্যাকে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি আমেরিকানের বসবাস। এককথায় শহরের অধিকাংশ অধিবাসী এখন বাঙালি আর সেখানকার রাজনৈতিক নেতৃত্বও দিচ্ছে বাঙালি। হ্যামট্র্যাক শহর একসময় পরিচিত ছিল পোলিশ (পোল্যান্ডের নাগরিক) অভিবাসীদের আবাসস্থল হিসেবে। যদিও সেখানে পোলিশ জনগণের সংখ্যা এখন অনেক কমে গেছে। বাংলাদেশি অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রের সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে মার্কিন-বাংলাদেশি পাবলিক এফেয়ার কমিটি। তারা বাঙালিদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে থাকে আর্থিক ও সামাজিক জীবনে ভালো কিছু করতে। অনেকের মতে এটাই সেখানকার প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সিটি কাউন্সিল।

 

 পেনাং, মালয়েশিয়া

বাংলাদেশি মালয়েশিয়ান বলতে বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী মালয়েশিয়ার অভিবাসী অথবা মালয়েশিয়াতে বাঙালি মা বাবার ঘরে জন্মানো সন্তানকে বোঝানো হয়েছে। মালয়েশিয়ার বৈদেশিক জনবল বাড়াতে এসব বাঙালির ভূমিকা অনেক। মালয়েশিয়া গড়ে তোলার ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে বিদেশি নাগরিক। এর মধ্যে বাঙালিই আছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। তাদের মধ্যে অনেকেই নানা ধরনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত আছে। উপনিবেশিক যুগ থেকেই বাংলায় কথা বলা মানুষের উপস্থিতি ছিল এখানে। পরবর্তীতে দেশভাগ হওয়ার পর তাদের আদি নিবাস পাওয়া গেছে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। সে হিসেবে এখানকার অভিবাসনপ্রাপ্ত বেশিরভাগ বাঙালিকে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান বলা যায়। শুরুর দিকে তারা বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ শুরু করে। অনেকে ব্যবসায়ী, পুলিশ, শ্রমিক এবং কলোনির পুলিশ হিসেবেও কাজ করছেন। ১৮ শতক থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত আসা মোট বাঙালির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজারের মতো। ১৮০৩ সালে পেনাং এ বাঙালিরা একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৯৮৬ সালে বৃক্ষরোপণের কাজে ৫০০ জনের একটি গ্রুপকে মালয়েশিয়ায় অভিবাসন দেওয়া হয়। এরপর ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে মানবশক্তি আমদানিতে মালয়েশিয়া চুক্তিবদ্ধ হয়। অফিসিয়াল রেকর্ড বলে সেখানে এখন প্রায় চার লাখ বাঙালি আছে।

 

কানাডা

বাংলাদেশি কানাডিয়ান বলতে শুধু সেসব মানুষকে বোঝায় যারা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক অথবা কানাডায় বাঙালি মা বাবার ঘরে জন্ম। ১৯৭১ সালের আগে কানাডায় মাত্র ১৫০ বাঙালি পরিবার বসবাস করছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে কানাডার সরকার তাদের নীতি পরিবর্তন করে। ’৮০-এর দশকে এসে মূলত বাঙালিদের অভিবাসন শুরু হয়। এই সময় টরেন্টোতেই প্রায় হাজার বাঙালি পরিবার স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে সরকার আরও বাঙালিকে নাগরিকত্ব দেয়। মন্ট্রিলে তখন ১ হাজারের মতো পরিবার বসবাস করতে শুরু করে। এরপর যখন কানাডায় অভিবাসন আরও সহজ হয়ে যায় তখন অনেক বেশি সংখ্যক শিক্ষিত বাঙালি এখানে চলে আসেন। ২০১৫ সাল পর্যন্ত নতুন আরও এক হাজারের বেশি পরিবারকে কানাডা নাগরিকত্ব দিয়েছে। ২০১৭ সালের রেকর্ড বলছে, পুরো কানাডায় ৩ লাখ ৫৪ হাজার বাংলাদেশি মানুষ সেখানে বসবাস করছে। এদের বেশিরভাগ কানাডার ওনতারিও, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, কিউবেক এবং আলবার্তায়। তবে প্রধান শহর যেমন টরেন্টো, ভ্যানকুভার, মন্ট্রিল, এডমনটন, ওত্তাও, এবং ক্যালগ্যারিতে বাঙালির দেখা বেশি পাওয়া যায়। সে হিসাবে পূর্ব কানাডীয় অঞ্চলকে ছোট বাংলাদেশ বললেও ভুল হবে না। কারণ এখানকার জীবনাচরণ, রীতিনীতি সবই বাংলাদেশের।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর