শিরোনাম
রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভুতুড়ে শহর

ভুতুড়ে শহর

বিজ্ঞানের যুগে ভূতের নাম— এ যেন বড়ই বেমানান কথা। আর কেউ ভূতের অস্তিত্বে বিশ্বাসী, তা তো নিতান্তই হাস্যকর। অথচ বিশ্বের এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে গেলে এখনো গা ছমছম অনুভূতি আসবে দিনদুপুরে। দেখতে পাবেন ব্যাখ্যাতীত কিছুর আনাগোনা। শুনতে পাবেন ভয়ঙ্কর আর্তচিৎকার। খুব সাহসী মানুষটিরও ভয় পেতে এসব উপকরণ যথেষ্ট হবে। প্রযুক্তির নীল আলোতেও সেখানে এখনো রচিত হচ্ছে বহু ভৌতিক গল্প। এমন বহু শহর, গ্রাম এখনো টিকে আছে ভুতুড়ে হিসেবে। যার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আজও মেলেনি। এমনকি সাহসিকতার সঙ্গে এসব ঘটনাকে মিথ্যা প্রমাণ করাও সম্ভব হয়নি। বিশ্বের এমন কিছু শহর নিয়ে আজকের রকমারি আয়োজন। বিস্তারিত জানাচ্ছেন— তানিয়া তুষ্টি

 

বোডি [ক্যালিফোর্নিয়া]

ভাবুন তো, কোনো পাহাড়ঘেরা শহরের ভিতরকার নির্জন খাদ থেকে মাঝে মাঝে উচ্চশব্দের হাসির আওয়াজ আসে, দূর থেকে ভেসে আসে গল্প করার আওয়াজ বা শোনা যায় ফিসফিসানির শব্দ। তাকে কী বলবেন, নিশ্চয় ভুতুড়ে? হ্যাঁ, ক্যালিফোর্নিয়ার বোডি শহরে এমন সব কাণ্ড ঘটার জন্য তাকে ভুতুুড়েই বলা হয়। আমেরিকার মানুষ শহর ঘুরে এসে বলে— শহরটি থেকে গুরুগম্ভীর পিয়ানো বাজানোর শব্দ দূর থেকে ভেসে আসে। মাঝে মাঝে শোনা যায় গানের আওয়াজ। লোকে বলে ওখানে সত্যি সত্যিই ভূতের বাস আছে। একসময় আমেরিকার সবচেয়ে দুর্ধর্ষ বাসিন্দার শহর ছিল এটি। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে এসে এখানে প্রতিদিন প্রকাশ্যে খুন হতো। ১৮৮০ সালে বোডির বাইরে দুই ডাকাত একটি স্টেজ কোচ লুট করে। হাজার হাজার ডলারের সোনাও তারা লুকিয়ে ফেলে। পরে অবশ্য তারা জনগণের হাতে মারা যায়। কিন্তু লুট করা সোনার সন্ধান আর মেলেনি। কেউ বলে সেসব সোনা শহরের ধারেকাছে কোথাও মাটি খুঁড়ে নিচে ডাকাতরা পুঁতে রেখেছিল। বর্তমানে বোডি শহরকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন কল্পকথা। এই শহরে বর্তমানে মানুষজন বাস করে না। ১৮৭০ সালের দিকে শহরে তৈরি করা কাঠের দালানগুলো আজও শুধু ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। ভয় আর কল্পকাহিনী নিয়ে বোডি আজ আমেরিকার এক ভুতুড়ে শহর।

 

রিওলাইট [নেভাদা]

আমেরিকার পূর্ব ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত পৃথিবীর অন্যতম আশ্চর্যজনক স্থান ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে যাবেন আর অদূরেই নেভাদার রিওলাইট শহর থেকে একবার ঘুরে আসবেন না তা কি হয়? ভুতুড়ে এই শহরটিকে নিয়ে বিশ্ববাসীর যে পরিমাণ মাতামাতি তা হয়তো আর কোনো শহরকে ঘিরে হয়নি। এ পর্যন্ত তার ছবিও তোলা হয়েছে অন্য যে কোনো শহর থেকে অনেক বেশি। এর অর্থ দাঁড়ায়, এই শহরের অবশ্যই কিছু না কিছু বিশেষত্ব আছে। বিংশ শতাব্দীতে নেভাদার এই শহরে ১০ হাজার মানুষের বসবাস ছিল। একসময় মাইনাররা শহর ছেড়ে বিদায় নিতে শুরু করে। ফলে ১৯০৭ সালে ভয়ানক আর্থিক সংকট দেখা দেয়। এখানের শ্রমিকরাও সবাই শহর ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। তারপরই সোনার খনি থেকে সোনা উত্তোলনের কাজ শেষ হয়। যাও-বা ছিল তারা মরে যায়। এমনকি জনশূন্যও হয়েছিল। তারপর থেকে এটি সত্যি একটি ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়। স্বাভাবিকভাবেই গা ছমছমে একটি পরিবেশ তৈরি হয়। অনেকেই বলে ফাঁকা গ্রামে নাকি ভূত আস্তানাও গেড়েছে। শহরটি ক্রমে ধ্বংস হতে থাকে। সারা শহর মিলে বর্তমানে দর্শনীয় জিনিস বলতে আছে একটি ট্রেন ডিপো এবং একটি বটল হাউস। শহরের বটল হাউসটি একটি অনন্য নিদর্শন। ১৯০৬ সালে মাইনার টম কোলি পঞ্চাশ হাজার বোতল দিয়ে বোতল বাড়িটি তৈরি করেন। বাড়িটির নির্মাণশৈলী সবাইকে অবাক করে দেয়।

 

ডারগাভস [রাশিয়া]

নানা রহস্যেঘেরা ডারগাভস শহরের অবস্থান দক্ষিণ রাশিয়ার উত্তর ওসেশিয়ায়। গ্রামটিতে রয়েছে বহু পুরনো ১০০টি পাথরের সমাধির এক গোরস্তান। গ্রামবাসী মৃত স্বজনদের কবর দিত, সঙ্গে তাদের ব্যবহারের জামাকাপড় আর পছন্দের জিনিসপত্রও দিত। সেসব জিনিসপত্র দেখে ৪০০ বছর আগে এ গ্রামে থাকা মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা পাওয়া যায়। আর তাই পর্যটক থেকে শুরু করে প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে গবেষণার জন্য ভীষণ আকর্ষণীয় এক জায়গা ডারগাভস। স্থানীয়দের ধারণা, কেউ এখানে একবার প্রবেশ করলে আর কখনো জীবিত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে পারে না। ভুতুড়ে এক শক্তি গ্রামটি বধ করে রেখেছে। তবে কারও মুখে শোনা যায়, আঠারো শতকে ওসেশিয়াজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে প্লেগ। সংক্রামণের ভয়ে আক্রান্তদের পাথরের তৈরি বিশেষ এই ঘরে দরকারি জিনিসপত্রসহ রেখে দেওয়া হতো। ভীষণ কষ্ট আর একাকিত্ব নিয়ে একসময় এখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ত তারা। এখন কেউ গ্রামে ঢুকলে প্রথমেই দেখতে পাবেন সাদা রঙের বাড়ির মতো সারিবাধা সমাধিগুলো। প্রতিটি সমাধির সামনেই রয়েছে একটি করে কুয়ো। ধারণা করা হয়, ওসেশিয়ার লোকেরা নিজেদের মৃত স্বজনদের কবর দেওয়ার পর কুয়োতে মুদ্রা ছুড়ে মারত। যদি সেটা কুয়োর নিচে কোনো পাথরকে আঘাত করত, তবে মনে করা হতো, মৃত ব্যক্তির আত্মা স্বর্গে পৌঁছে গেছে।

 

বাহলা [ওমান]

বহু সত্য-মিথ্যার মিশেলে রচিত আরব্য গল্প-উপন্যাস। অশরীরী কিংবা জিনের ছড়াছড়ি রয়েছে এসব গল্পে। কিন্তু বাস্তবেই তেমনি অভিশপ্ত ঘটনার সাক্ষী হয়ে এখনো টিকে আছে ওমানের বাহলা শহর। কালো জাদু, ভবিষ্যদ্বাণীসহ ইসলামে নিষিদ্ধ সব ধরনের কাজ চলে এখানে। আর তাই বাহলার বাসিন্দাদের তালিকায়ও আছে ডাইনি, জিন ও জাদুকরদের নাম। যারা ইচ্ছা করলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সময় না নিয়েই চলে যেতে পারে। সব মিলিয়ে বাহলা বর্তমানে কেবল কোনো অভিশপ্ত গ্রামই নয়, বরং পৃথিবীর কালো জাদুর কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। রাজধানী থেকে মাত্র ২০০ কিমি দূরত্বের এই শহরে নিকৃষ্টতম এসব কাজ হরহামেশাই চলে। শহরটিকে অশরীরী, দুষ্টু আত্মা বা জিনের বাসস্থান বলা হয়। এর পেছনের ইতিহাস আরও ভয়ঙ্কর। আগে শহরটিতে মুসলিম চেহারার আদলে খারিজি সম্প্রদায়রা বাস করত। প্রকৃত অর্থে এরা কালো জাদুর বিদ্যাচর্চা করত। ইসলামের নিষেধ অমান্য করে খারিজিরা কালো জাদু চর্চার জন্য বাহলা দুর্গটি নির্মাণ করে। তারা এতটাই পারদর্শী ছিল যে, কোনো বাহন ছাড়াই পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে যেতে পারত। মুসলমানদের ওপর তারা বিভিন্ন অত্যাচার করত। তাদের মূল দাবি ছিল সব মুসলিম তাদের অনুসরণ করবে। এতে করে যদি তাদের মৃত্যুও হয় হোক। ইতিহাসে খারিজিরাই প্রথম সন্ত্রাসী, যারা জিহাদের নামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করত।

 

ব্যারো হ্যাক [যুক্তরাষ্ট্র]

১৮৯০ সালে ব্যারো হ্যাক গ্রামটি সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে যায়। অভিশপ্ত এই গ্রাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। বর্তমানে সেখানে কিছু ভাঙা দেয়াল, বিম এবং কয়েকটি কবর ছাড়া কিছুই নেই। গ্রামটি আশপাশের সবার কাছেই ভৌতিক। এ কারণে নামটাও ‘ভুতুড়ে কণ্ঠের গ্রাম’। মাঝে মাঝে এখানে বিকট চিৎকার শোনা যায়। অথচ এমন নির্জন জঙ্গলে কেউ থাকে না। দর্শনার্থীরা এখানে অদ্ভুত সব আর্তনাদ শুনতে পান। অনেকের অভিযোগ, ঘোড়ার খুরের শব্দ, কুকুরের কান্না এমনকি শূকরের ডাক শুনতে পান। অনেকের দাবি, তারা কবরস্থানের কাছে মুণ্ডুও দেখতে পেয়েছেন। অনেকে আবার ছোট বাচ্চার প্রেতাত্মা দেখেন। ১৯৭১ সালে এক প্যারানরমাল বিশেষজ্ঞ পল ইনো ব্যারো হ্যাক কবরস্থানে গোঙানোর শব্দ পান। পরে তিনি আবিষ্কার করেন একটি কাটা মাথা কান্না করছে, যার চোখ দিয়ে অজস্র ধারায় পানি ঝরছে।

 

ভাঙ্গর [ভারত ]

ভারতের সবচেয়ে ভুতুড়ে রাজস্থানের ভাঙ্গর দুর্গ। ১৫৭৩ সালে নির্মিত এই দুর্গ ভুতুড়ে হয়ে উঠেছে নানা কারণে। প্রচলিত আছে, দুর্গের কাছেই ধ্যান করতেন গুরু বালু নাথ। তিনি মধু সিংকে দুর্গ নির্মাণের শর্ত দেন যেন এর ছায়া গুরুর দেহে না পড়ে। কিন্তু ঠিকই দুর্গের ছায়া গুরুর ওপর পড়ে। তখন নিজের ঐশ্বরিক ক্ষমতাবলে দুর্গকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেন গুরু। অপর কাহিনীতে বলা হয়, ভাঙ্গরে সে সময় এক অতিসুন্দরী রাজকুমারী রত্নাবতী বাস করতেন। উপযুক্ত বয়সে দেশ-বিদেশ থেকে একাধিক বিয়ের সম্বন্ধ আসে। সিঙ্ঘিয়া নামে এক তান্ত্রিকও তাকে পেতে চাইতেন। কিন্তু তিনি জানতেন রাজকুমারী কখনই তাকে ভালোবাসবে না। আর তাই রাজকুমারীর তেলের সঙ্গে মিশিয়ে দেন মন্ত্র। রাজকুমারী বুঝতে পেরে তেল মাটিতে ফেলে দেন। তেল মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পাথরে রূপান্তরিত হয়। সেই পাথরের অভিশাপে সিঙ্ঘিয়ার মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যুর আগে সিঙ্ঘিয়াও অভিশাপ দেন যে, ভাঙ্গর ধ্বংস হয়ে যাবে। এখানে আর কারও জন্ম হবে না। বাস্তবে ঘটেও তাই। কিছুদিনের ভিতরেই বিরানভূমিতে পরিণত হয় ভাঙ্গর। রাজকুমারীও মারা যান। এখন পর্যন্ত দিনের বেলায় ফোর্টে প্রবেশ করতে পারলেও সন্ধ্যা ৬টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে দুর্গ ছেড়ে চলে যেতে হবে আপনাকে। কারণ, রাতের বেলায় দুর্গের ভিতর থেকে কান্নার আওয়াজ, চুড়ির আওয়াজ, আলো, হালকা গন্ধ, হাসির মতো নানা ভৌতিক ব্যাপার বছরের পর বছর ধরে দেখে আসছে মানুষ। সেই সঙ্গে প্রচলিত আছে যে, একরাত ভাঙ্গরে থাকলে পরদিন আর কেউ ফিরে আসে না। এখন পর্যন্ত কেউ নিজেকে সাহসী আর দুর্গকে ভূতহীন বলে প্রমাণ করতে পারেনি। এখনো রাতের বেলায় ভাঙ্গর দুর্গের পাশ দিয়ে চলার সময় অদৃশ্য মানুষের দেখা পাওয়া যায়।

 

প্রিপিয়াত [ইউক্রেন]

একটি ভৌতিক শহর হিসেবে পরিচিত উত্তর ইউক্রেনের প্রিপিয়াত। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল দুর্যোগের পর থেকে এলাকাটি একদম ফাঁকা। ১৩ হাজারেরও বেশি অ্যাপার্টমেন্ট, ৩৫টি খেলার মাঠ, ১৫টি প্রাইমারি স্কুল, ১০টি জিম, ১টি হাসপাতাল, ১টি রেলস্টেশন এবং ১৬৭টি বাস থাকলেও নেই কোনো মানুষ! আজও গৃহস্থালির জিনিসপত্র, শিশুদের খেলনা পড়ে রয়েছে সেখানে। সেখানকার অধিবাসীরা নিজেদের জিনিস নেওয়ারও অনুমতি পায়নি তখন। এমন একটি শহরকে ভূতের শহর বলে মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। শহরটি এখন পরিত্যক্ত। প্রিপিয়াতকে শহর হিসেবে ঘোষণা করা হয় ১৯৭৯ সালে। শহরটি তৈরি হয়েছিল মূলত চেরনোবিল আণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মীদের থাকার জন্য। কিন্তু ২৬ এপ্রিল, ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল আণবিক চুল্লিতে দুর্ঘটনার পর শহরটি মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার মাত্র ২ দিনের মধ্যে সবাই শহর ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়।

 

আল জাজিরা আল হামরা  [আরব আমিরাত]

‘আল জাজিরা আল হামরা’ উত্তর আরব আমিরাতের পরিত্যক্ত গ্রাম। আরবরা এর নাম দেয় লাল দ্বীপ। ১৪০০ শতাব্দীতে গ্রামটি তৈরি হয়। ১৮৩১ সালে এর পুনর্নির্মাণও হয়। জানা গেছে, গ্রামটিতে ৩০০-এর বেশি ঘর ও ১৩টি মসজিদ নিয়ে ৪১০০ লোক বসবাস করত। এখানকার স্থানীয়রা মাছ এবং মুক্তার ব্যবসায় সমৃদ্ধশালী ছিল।

 

ধনাঢ্য গ্রাম

১৯৬০ সালে গ্রামটি বেশ সমৃদ্ধশালী ও ধনাঢ্য ছিল। তখনো বিলাসী বাড়িঘর ছিল এখানে। উপকূলীয় গ্রামটিতে তখন ফারসি অভিবাসী, পর্তুগিজ ব্যবসায়ী এবং ব্রিটিশ কর্মকর্তারা দাপিয়ে বেড়াতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই দৃশ্যপট পাল্টাতে থাকে।

 

অশরীরী আত্মা

১৯৬৮ সালের পর হঠাৎ করেই মানুষশূন্য হতে থাকে গ্রামটি। যারা থেকে যায় তারাও খুব ভয়ে দিন কাটায়। কারণ, এখানে অশরীরী আত্মার আনাগোনা বেড়ে যায়। নানা রকম ভৌতিক কর্মকাণ্ডে প্রতিদিন জমতে থাকে নানা গল্প।

 

বিচিত্র হাতের ছাপ

‘আল জাজিরা আল হামরা’ প্যারানরমাল অ্যাকটিভিটিসের জন্য জনপ্রিয়। একবার কিছু পর্যটক ঘুরতে আসেন। প্রাচীন দুর্গের ছবি তুলতে গেলে তাদের সঙ্গেও ঘটতে থাকে অস্বাভাবিক ঘটনা। স্থানীয়দের ধারণা, এখানে অভিশপ্ত আত্মা রয়েছে। তারা প্রায়ই বিচিত্র হাতের ছাপ দেখতে পান। তাদের ধারণা, এটি আগত দর্শনার্থীদের জন্য সতর্ক সংকেত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর