ওয়াং হান

বয়স : ৩০ বছর মোট সম্পদের পরিমাণ : ১.২ বিলিয়ন ডলার

আলেকজান্দ্রা অ্যান্ডারসন

বয়স : ২২ বছর মোট সম্পদের পরিমাণ : ১.৪ বিলিয়ন ডলার

১৯৯৬ সালে জন্ম নেন আলেকজান্দ্রা।  বর্তমানে তিনি হচ্ছেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বিলিওনিয়ার। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হন। যদিও তিনি তার বাবার কোম্পানির কোনো পদে সম্পৃক্ত নন এখনো। এই তরুণ ধনকুবেরের পছন্দ  ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। এই নিয়েই সারাটা সময় অতিবাহিত করেন তিনি। শুধু যে শখের বশে তিনি ঘৌরদৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তা কিন্তু নয়, কারণ তিনি এই বয়সেই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় নরওয়ের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন! তার বাবা জোহান এইচ অ্যান্ডারসন, যিনি নরওয়ের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্ড এবং অন্যতম বৃহৎ তামাক প্রস্তুতকারী একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। জোহান অ্যান্ডারসন  কোম্পানির ৪২.২ শতাংশ দুই মেয়েকে দেন।

জুলিও মারিও স্যান্টো ডমিংগো তৃতীয়

বয়স : ৩০ বছর মোট সম্পদের পরিমাণ : ১.৭ বিলিয়ন ডলার

যুক্তরাষ্টের নিউইয়র্কের অধিবাসী জুলিও মারিও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ তরুণ বিলিওনিয়ার। জীবন শুরু করেছিলেন ডিস্কো জকি হিসেবে। জুলিও মারিও বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যকলায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।   তবে প্রয়াত দাদা থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের মধ্য দিয়ে বিলিওনিয়ারদের কাতারে নাম লেখান এই ডিস্ক জকি। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিয়ার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কলম্বিয়ান ব্রিওয়েরি ব্যাভারিয়ারের মালিক ছিলেন প্রয়াত ডমিংগো। তার কোম্পানির এক-ষষ্ঠমাংশের মালিকানা তার প্রত্যেক নাতি-নাতনির নামে করে যান। ডমিংগোর অন্য একটি প্রতিষ্ঠান এসএবি মিলারও মালিকানায়ও অংশীদার হওয়ার সুযোগ পান জুলিও মারিও। কিছুদিন আগে একটি খুনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন জুলিও।

গুস্তাভ মাগনার উইটজো

বয়স : ২৫ বছর মোট সম্পদের পরিমাণ : ১.৯ বিলিয়ন ডলার

নরওয়ের ভেরভার অধিবাসী গুস্তাভ মাগনার উইটজো। সুদর্শন এই তরুণ এখন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ একজন বিলিওনিয়ার। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত বিশাল সম্পদের মালিক এখন তিনি। বর্তমানে নরওয়ের শীর্ষর্ ধনকুবেরদেরও একজন গুস্তাভ মাগনার উইটজো। গুস্তাভ উইটজোরও ভাগ্য খুলে যায় তার বাবার কল্যাণে। ২০১৩ সালে তাকে সালমার নামক মৎস্য চাষকারী প্রতিষ্ঠানের ৪৭ শতাংশের মালিকানা হস্তান্তর করেন তার বাবা। উল্লেখ্য যে এটিই বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্যামন মাছ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। তার বাবা গুস্তাভ মাগনার সিনিয়র ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটির কোনো পদে নিজেকে যুক্ত করেননি এই তরুণ বিলিওনিয়ার। তবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছেন।

ক্যাথরিনা অ্যান্ডারসন

বয়স : ২৩ বছর মোট সম্পদের পরিমাণ : ১.৪ বিলিয়ন ডলার

পৃখিবীর সবচেয়ে কম বয়সী বিলিওনিয়ার আলেকজান্দ্রার কথা শুরুতেই বলা হয়েছে। এখন বলছি তার থেকে এক বছরের বড় ক্যাথরিনা অ্যান্ডারসনের কথা। তিনি হচ্ছেন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ধনী ব্যক্তি। বোনের মতোই পৈতৃক সূত্রে সম্পদের মালিক হয়েছেন ক্যাথরিনা। ক্যাথরিনাও তার বাবার কোম্পানির কোনো পদে নিজেকে সম্পৃক্ত করেননি। বর্তমানে অ্যামস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের শিক্ষাজীবন চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০০৭ সালে  জোহান অ্যান্ডারসন তার সম্পদের ৪২.২ শতাংশ দুই মেয়ে আলেকজান্দ্রা ও ক্যাথরিনাকে হস্তান্তর করেন। আলেকজান্দ্রা অ্যান্ডারসন ও ক্যাথেরিনা অ্যান্ডারসন- নরওয়ের অধিবাসী এই দুই বোন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ দুই বিলিওনিয়ার। নরওয়েতে অ্যান্ডারসন পরিবারের প্রভাব প্রতিপত্তি আছে।

প্যাট্রিক কলিসন

বয়স : ৩০ বছর মোট সম্পদের পরিমাণ : ১ বিলিয়ন ডলার

আলেকজান্দ্রা কিংবা গুস্তাভ মাগনার উইটজোর মতো সৌভাগ্য নিয়ে জন্মাননি প্যাট্রিক কলিসন ও তার ভাই জন কলিসন। বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষ তরুণ ধনকুবেরদের মতো প্যাট্রিক কলিসন উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের মালিক নন। কলিসন এবং তার ভাই নিজেদের উদ্যোগে বিলিওনিয়ার হতে পেরেছেন। তবে উত্তরাধিকার সূত্রেই হোক বা নিজ যোগ্যতায় হোক কম বয়সে এত বিপুল সম্পদের মালিকানা তাদের দায়িত্ব বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। প্যাট্রিক তার বড় ভাইয়ের মতো স্ট্রাইপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক। তিনি তার ভাইয়ের মতোই দক্ষ, নম্র এবং কোম্পানির সাফল্যের সমান অংশীদার। বর্তমানে লেনদেন প্রক্রিয়ার সেবাকে বিভিন্ন অনলাইন ব্যবসার জন্য আরও কার্যকরী করতে তিনি নির্বাহী পরিচালকের পদে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।

জন কলিসন

বয়স : ২৮ বছর মোট সম্পদের পরিমাণ : ১.১ বিলিয়ন ডলার

ভাইয়ের সমপরিমাণ সম্পদ নিয়ে জন কলিসনও তরুণ বিলিওনিয়ারদের তালিকায় নাম লেখান। ১৯৯০ সালে আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন জন। অন্য বিলিওনিয়ারদের থেকে জনের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাননি জন। তাকে কষ্ট করতে হয়েছে। নিজের মেধা ও পরিশ্রম খাটিয়ে তিনি বর্তমানে পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ স্ব-প্রতিষ্ঠিত বিলিওনিয়ার। ছাত্রজীবনে তিনি একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি রেকর্ড নম্বর  পেয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন এবং হার্ভার্ডে পড়ার জন্য নির্বাচিতও হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি হার্ভার্ডে পড়তে আসার আগেই জন মিলিওনিয়ার হয়ে গিয়েছিলেন তার অনলাইনে লেনদেন প্রক্রিয়া সহজতর করার  সেবার জন্য। পরবর্তীতে জন হার্ভার্ডে পড়াশোনা  শেষ না করেই তার ভাইকে নিয়ে সিলিকন ভ্যালিতে পাড়ি জমান।

ববি মারফি

বয়স : ৩০ বছর মোট সম্পদের পরিমাণ : ৪.২ বিলিয়ন ডলার

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের ববি মারফি বিশ্বের অন্যতম একজন তরুণ বিলিওনিয়ার। 

স্ন্যাপ ইঙ্ক কোম্পানির সাফল্যগাথার আরেকটি নাম হচ্ছে এই ববি মারফি। স্পিগেলের সঙ্গে  যিনি কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রতিষ্ঠানটিকে মার্কেটপ্লেসে নিয়ে আসতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। সম্পূর্ণ নিজেদের মেধায় এই শীর্ষ ধনীর তালিকায় চলে এসেছেন তারা। সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্পিগেল থেকে বয়সে সামান্য বড় মারফি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত ও কম্পিউটেশনাল বিজ্ঞানে পড়াশোনা  শেষ করেছেন। ফোর্বসের দেওয়া তথ্যমতে মারফির কাছে কোম্পানির ১১ শতাংশের মালিকানা রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় চাকরিরত বাবা ও ফিলিপিনো মায়ের ছেলে মারফি আমেরিকাতেই বেড়ে উঠেছেন।

ইভান স্পিগেল

বয়স : ২৮ বছর মোট সম্পদের পরিমাণ : ৪.১ বিলিয়ন ডলার

যুক্তরাষ্টের ইভান স্পিগেল স্ন্যাপ ইঙ্কের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক। পৈতৃকসূত্রে সম্পদের মালিক হননি ইভান স্পিগেল। নিজের মেধায় গড়ে তুলেছেন স্ন্যাপ ইঙ্ক নামের এই ডিজিটাল ক্যামেরা কোম্পানি এবং এটিই বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ক্যামেরা প্রতিষ্ঠান। এই কোম্পানি জনপ্রিয় মেসেজিং সার্ভিস স্ন্যাপচ্যাটও পরিচালনা করে আসছে সাফল্যের সঙ্গে। এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়। এটি ব্যবহারকারীরা বন্ধুদের সঙ্গে নিজেদের ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করতে পারেন। স্পিগেল ও মারফির হাত ধরে ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করা স্ন্যাপচ্যাট এখন প্রতিদিন প্রায় দশ কোটি মানুষ ব্যবহার করেন। স্পিগেল স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রডাক্ট ডিজাইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন।

লুকাস ওয়াল্টন

বয়স : ৩২ বছর মোট সম্পদের পরিমাণ : ১৫.৯ বিলিয়ন ডলার

যুক্তরাষ্ট্রের উইওমিংয়ে বসবাসকারী লুকাস ওয়াল্টন হচ্ছেন ওয়ালমার্টের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ওয়াল্টনের নাতি এবং ২০০৫ সালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত কোম্পানির প্রয়াত স্বত্বাধিকারী জন ওয়াল্টনের পুত্র। পৈতৃক সূত্রে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হন লুকাস ওয়াল্টন। বাবার মৃত্যুর পর তার সম্পদের বেশিরভাগের দেখাশোনার দায়িত্ব পড়ে লুকাসের ওপর। এই তরুণ ধনকুবেরদের তালিকায় লুকাস ওয়াল্টন নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। কারণ কথিত আছে তার কাছ থেকে কেউ খালি হাতে ফেরেন না। এই ধনকুবেরের ফার্স্ট সোলার এবং আরভেস্ট ব্যাংকেরও মালিকানা রয়েছে। বিশ্বের তরুণ ধনীদের মধ্যে তিনিই সর্বাধিক সম্পদের মালিক। একজন দানশীল ব্যক্তি হিসেবে সারা বিশ্বে তিনি পরিচিত।