শিরোনাম
রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

হোয়াইট হাউসে বুশ পরিবার

সাইফ ইমন ও তানিয়া তুষ্টি

হোয়াইট হাউসে বুশ পরিবার

দুই দফা মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৪১তম প্রেসিডেন্ট হন জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ। একবারই দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরেছিলেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিল ক্লিনটনের কাছে। ২০১১ সালে তাকে আমেরিকার সর্বোচ্চ সম্মান ‘মেডেল অব ফ্রিডম’ এ ভূষিত করা হয়। যদিও ২০০১ সালে তারই ছেলে জর্জ ডব্লিউ বুশ হোয়াইট হাউস জয় করেন এবং ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ওয়াকার বুশের আরেক ছেলে জেব বুশ রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। বুশ পরিবারকে নিয়ে আজকের রকমারি—

 

এক যুদ্ধবাজ প্রেসিডেন্টের নাম বুশ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সময়কার দাপুটে প্রেসিডেন্ট জর্জ হার্বার্ট ওয়াকার (এইচ ডব্লিউ) বুশ। তিনি সিনিয়র বুশ নামেও পরিচিত ছিলেন। দাপুটে এই রাজনীতিক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে অংশ নেন। ১৯৬৪ সালে তিনি রিপাবলিকান পার্টিতে যোগদান করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে জিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪১তম প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নেন। এইচ ডব্লিউ বুশ বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে দক্ষ একজন কূটনীতিক ছিলেন। নিজ দেশের স্বার্থ সংরক্ষণে তিনি ছিলেন কঠোর। আর তাই স্নায়ু যুদ্ধের শেষে তার নেওয়া সিদ্ধান্তের ফলে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে যায়। এছাড়াও অন্য কমিউনিস্ট অর্থনীতির পতন ও স্নায়ু যুদ্ধের চূড়ান্ত সময়ের উত্তাল রাজনীতির সময়ে আমেরিকাকে সঠিক দিশা দেখানোর পুরো কৃতিত্বই তার ছিল। তার দায়িত্ব পালন আমলে ১৯৯০ সালে কুয়েতে ইরাকি সেনার অনুপ্রবেশ আটকাতে প্রায় ৩২টি রাষ্ট্রের সঙ্গে অপারেশন ডেসার্ট স্টর্মের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বুশ। রাজনীতিবিদদের মতে, তার দেখানো পথেই হেঁটেছিলেন তার ছেলে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশ জুনিয়র। ২০০৪ সালে এই রাজনীতিক এশিয়ায় সুনামি ও হাইতি ভূমিকম্পের জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে তাকে আমেরিকার সর্বোচ্চ সম্মান ‘মেডেল অব ফ্রিডম’ এ ভূষিত করা হয়।

 

বুশ পরিবার

হোয়াইট হাউসে বুশ পরিবারের দাপটের গল্প সবারই জানা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী পরিবারের মধ্যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের পরিবার অন্যতম। এ পরিবারের রয়েছে দীর্ঘ পাঁচ প্রজন্ম ধরে অর্থবিত্ত ও ক্ষমতার ইতিহাস। স্যামুয়েল প্রেসকট বুশ ওহাইয়ো স্টিল ও রেলরোডের এক্সিকিউটিভ ছিলেন। তার হাতেই মূলত পরিবারের ভিত্তি রচিত হয়। প্রেসকট বুশের জন্ম হয় ১৮৬৩ সালে এবং মৃত্যু হয় ১৯৪৮ সালে। প্রেসকটের বাবার নাম ছিল জেমস স্মিথ বুশ। জেমস স্মিথ বুশ ইংলিশ ও জার্মান বংশোদদ্ভূত বলে জানা গেছে। তবে মার্কিন মুল্লুকে আধিপত্যের বিস্তার ঘটে ছেলে প্রেসকট বুশের হাতেই। প্রেসকট বুশের পরবর্তী প্রজন্ম ক্রমাগত উন্নতি করে গিয়েছেন। এ পরিবারের সবারই ছিলেন প্রচণ্ড সম্পদ ও ক্ষমতার মোহ। বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা এ পরিবার। স্যামুয়েল প্রেসকট বুশের ছেলে প্রেসকট সেলডন বুশ। তিনি বুশ পরিবারের প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের বাবা। জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের স্ত্রী হওয়ার সুবাদে পরিবারের উল্লেখযোগ্য একটি নামে পরিণত হন বারবারা বুশ। তিনি বুশ পরিবার থেকে প্রথম ফার্স্ট লেডির মর্যাদা পান। এইচ ডব্লিউ বুশ ও বারবারা বুশ পরিবারের ছয় সন্তান। জর্জ ডব্লিউ বুশ, পাওলিন রবিনসন রবিন বুশ, জন এলিস জেব বুশ, নেইল ম্যালন বুশ, মার্ভিন পিয়ার্স বুশ ও ডরোথি ওয়াকার বুশ। জর্জ ডব্লিউ বুশ পরিবার থেকে দ্বিতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট। স্ত্রী লরা বুশ। এই পরিবার থেকে দ্বিতীয় ফার্স্টলেডির মর্যাদা প্রাপ্ত ব্যক্তি। বিভিন্ন সময়ে দুই ফার্স্টলেডিই নানা রকম সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত রেখেছেন। পরিবারটির সবচেয়ে বড় প্রশংসনীয় বিষয় হলো তারা একে অন্যের সহায়তায় প্রায়ই এগিয়ে গিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও এ পরিবারের সদস্যদের পরস্পরের সহায়তা করতে দেখা গেছে।

 

নজির স্থাপন করেছেন চিত্রশিল্পী বুশ

হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর সময় কাটানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা নানা রকম কাজে নিজেকে নিযুক্ত করে থাকেন।  কেউ ফিরে যান নিজের ব্যবসা জগতে, কেউবা জড়িয়ে পড়েন জনকল্যাণমূলক কাজে। কিন্তু নজির স্থাপন করেছেন যক্তরাষ্ট্রের ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। কারণ তার আগ্রহের বিষয় এখন রং আর তুলি। তাই রং-তুলিতেই নিজের শান্তি খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের একটি প্রবন্ধ তাকে প্রভাবিত করেছিল। প্রবন্ধটি  পড়ার পর ছবি আঁকতে উদ্বুদ্ধ হন জুনিয়র বুশ। চার্চিল নিসর্গ চিত্র এঁকে শান্তি পেতেন। চার্চিল আরেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ারকেও ছবি আঁকতে উৎসাহ দেন।

প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিতে বুশের ছবির প্রদর্শনী হয়েছে। প্রদর্শনীর নাম রাখা হয়েছিল, ‘নেতৃত্বের কলাকৌশল : এক প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত কূটনীতি’।

এই সিরিজের ছবিগুলো বিশেষভাবে প্রদর্শনীর জন্যই রাখা হয়েছিল। এর আগে এই ছবিগুলো কোথাও প্রদর্শিত হয়নি। লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘প্রদর্শনীতে ছবি ছাড়াও থাকবে শিল্পকর্ম এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বুশের ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনার কিছু নমুনা যার সাহায্যে কিছু আন্তর্জাতিক সম্পর্কও তৈরি হয়েছে।’ এর আগে বুশের আঁকা কুকুর, বিড়াল, জে লেনোও দেখা গেছে।

 

অসুস্থ শিশুর জন্য মাথা কামিয়েছিলেন

বুশের মেয়েও ছিলেন আক্রান্ত

জর্জ বুশ সিনিয়র মাথা কামিয়েছিলেন বৃদ্ধ বয়সে। এর পেছনে যে রহস্যটা লুকিয়ে রয়েছে সেটা সত্যিই অসাধারণ। মানবিক কারণে চুল ফেলে দিয়েছিলেন বুশ। লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত ২ বছরের শিশু প্যাট্রিকের মাথার চুল পড়ে যায়।

৮৯ বছর বয়সী ছিলেন তখন বুশ সিনিয়র। তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যরা নিজেদের মাথার চুল কামিয়ে ফেলেন শুধু শিশু প্যাট্রিককে সমর্থন যোগাতে। বুশের দেহরক্ষীদের একজনের সন্তান প্যাট্রিক। মাথা কামানো সিনিয়র বুশের কোলে প্যাট্রিক ও সঙ্গে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ২৬ সদস্যের ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। এদিকে পরিবারের অনুরোধে প্যাট্রিকের ডাক নামটি উল্লেখ করা হয়নি। বুশের একজন কন্যা সন্তানও একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিল।

 

 

 

 

গুপ্ত সংঘে বুশ পরিবার

স্কাল অ্যান্ড বোনস

জর্জ হার্বার্ট ওয়াকার বুশ একটি গুপ্তসংঘের সদস্য ছিলেন বলে জানা যায়। স্কাল অ্যান্ড বোনস নামের সেই গুপ্ত সংঘে বুশ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সদস্য ছিলেন বলে জানা যায়। শুধু তাই নয় গুপ্ত সংঘে জর্জ বুশ জুনিয়রও ছিলেন বলে অনেকে অনেক সময় দাবি করেছিলেন। জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একচল্লিশতম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর স্কাল অ্যান্ড বোনসের দ্বিতীয় সদস্য হিসেবে তিনি ওভাল অফিসে প্রবেশ করেছিলেন। বাবার মতো ছেলেও নির্বাচিত হয়েছিল দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জুনিয়র বুশও স্কাল অ্যান্ড বোনসে নাম লিখিয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত আত্মজীবনীতে জর্জ ডব্লিউ বুশ এই গুপ্ত সংঘে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যুদ্ধবাজ বুশ পরিবার

ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব সামলে জনপ্রিয়তা লাভের পর প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ে নেমে বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন ওয়াকার বুশ। তবে ১৯৮০-এর দশকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ুযুদ্ধের ইতি ঘটান বুশ সিনিয়রই। নির্বাচনে জয়লাভের পর বুশ সিনিয়র যুদ্ধবাহ হিসেবে আবির্ভূত হন। মধ্য আমেরিকার দেশ পানামায় সামরিক বাহিনী পাঠিয়ে সেখানকার যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী সামরিক শাসক ম্যানুয়াল নরিয়েগাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন।  ১৯৯০ সালে ইরাকের সাদ্দাম হুসাইন সরকার কুয়েত দখলের চেষ্টা চালালে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন ওয়াকার বুশ। পরের বছর ইরাকে এককভাবেই সামরিক আগ্রাসন চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকি বাহিনী কুয়েত ছেড়ে গেলেও ওয়াকার বুশের নির্দেশে মার্কিন সামরিক বাহিনী বাগদাদের দিকে অগ্রসর হয়। এই যুদ্ধের পর তার জনপ্রিয়তায় ধস নামে। সারাবিশ্বে তার বিরুদ্ধে বৈরী মনোভাব তৈরি হয়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণও বুশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করে। কারণ দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা এড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নাক গলানোর ফল হিসেবে ১৯৯২ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট পার্টির বিল ক্লিনটনের কাছে ওয়াকার বুশ হেরে গিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। যদিও ২০০১ সালে তারই ছেলে জর্জ ডব্লিউ বুশ হোয়াইট হাউস জয় করেন এবং ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ওয়াকার বুশের আরেক ছেলে জেব বুশ রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। জর্জ বুশ ডব্লিউ বুশ ইরাকের বিরুদ্ধে ‘গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র’ তৈরির অভিযোগ তুলে আগ্রাসন চালিয়ে সাদ্দামকে বন্দী করেন। পরে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারা হয়। আফগানিস্তান-ইরাকে হামলা চালিয়ে লাখো বেসামরিক লোক হত্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে সবচেয়ে যুদ্ধবাজ প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিযুক্ত করা হয় হয়। তার সমালোচকদের অভিমত, বুশের নামটি আলোচনায় আসলেই চোখে ভাসে একজন যুদ্ধংদেহী নেতার মূর্তি। আর এই জন্যই জর্জ ডব্লিউ বুশ রয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত মানুষের তালিকায়। পশ্চিমা বিশ্বের বদৌলতেই স্ট্যালিন, মাও সে তুংকে ব্যাপক ঘৃণার কথা বলা হয় অথচ এক জরিপে তাঁদের চেয়েও এগিয়ে রয়েছেন বুশ। বিশ্ব ইতিহাসের নায়ক ও খলনায়ক খুঁজতে করা এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে বছর চারেক আগে। খলনায়কের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছেন জার্মানির অ্যাডলফ হিটলার। এরপর রয়েছেন আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন, তাঁর পরে ইরাকে সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন। এরপরই রয়েছে বুশ জুনিয়রের নাম। বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানুষ হিসেবে তালিকায় বুশের সঙ্গে রয়েছেন সোভিয়েত কমিউনিস্ট নেতা স্টালিন, চীনের বিপ্লবী মার্কসবাদী নেতা মাও সে তুং এবং মার্কসবাদী রুশ কমিউনিস্ট নেতা লেনিনের মতো মানুষ। ডেইলি মেইল আরেও জানায়, আর্জেন্টিনা, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্রসহ ৩৭টি দেশের সাত হাজার শিক্ষার্থীর মতামতের ভিত্তিতে এই গবেষণা করা হয়েছে। যাদের গড় বয়স ২৩ বছর। মতামত গ্রহণের জন্য গবেষকরা ব্যবহার করেছেন ল্যাটেন্ট প্রোফাইল এনালাইসিস পদ্ধতি।

 

মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী আগেই ছিল

ডেথলিস্ট ডটনেট

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সিনিয়র, ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও জিমি কার্টার চলতি বছরে মারা যাবেন বলে একটি ওয়েবসাইট ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। যার মধ্যে বুশ সিনিয়রের মৃত্যু হলো সত্যিই। ডেথলিস্ট ডটনেট নামের ওয়েবসাইটটির প্রতি বছরই বিশ্বের ৫০ জন সেলিব্রেটি মানুষের মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী করে। তাদের মতে, ২০১৭ সালের লিস্টেও উল্লিখিত তিনজন ছিলেন। কিন্তু সে বছর না হলেও চলতি বছর একজনের ক্ষেত্রে সত্যি হয়ে গেল ওয়েবসাইটটির ভবিষ্যদ্বাণী। ওয়েবসাইটটি ২০১৬ সালে বিশ্বখ্যাত ৫০ ব্যক্তির মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। এদের মধ্যে ১২ জন ওই বছর মারা গেছে। এই ১২ জনের মধ্যে বিশ্বখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর নামও ছিল।

 

 

 

অংশগ্রহণ করেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে

বৈমানিক বুশ সিনিয়র

১৯৬৪ সালে রাজনীতিতে প্রবেশের আগে তিনি ছিলেন টেক্সাসের একজন বিখ্যাত তল ব্যবসায়ী। বৈমানিক হিসেবে তিনি অংশ নেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। টেক্সাসে জ্বালানি তেলের ব্যবসা শুরু করে মাত্র ৪০ বছর বয়সে মি. বুশ কোটিপতি বনে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি মার্কিন নৌবাহিনীতে ছিলেন। ১৯৪৪ সালে জাপানিদের গুলিতে তার বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সময়টা ১৯৬৪ সালে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিনিয়র বুশের শাসনামলেই রুশ-মার্কিন স্নায়ু যুদ্ধের অবসান ঘটে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জাতিসংঘে বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবেও যখন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়, তখন জাতিসংঘে মার্কিন প্রতিনিধি ছিলেন এই রাজনীতিক।

 

 

 

 

 

 

 

 

একই ফ্রেমে বন্দী বাবা ছেলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম প্রেসিডেন্ট জর্জ হার্বার্ট ওয়াকার (এইচ ডব্লিউ) বুশ। ছেলে ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ

 

বুশ পরিবারের বর্তমানে সব সদস্য এই ফ্রেমে বন্দী হয়েছেন। ছবিটি পেতে সাহায্য করেছে মার্কিন প্রভাবশালী পত্রিকা বিজনেস ইনসাইডার

 

জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের দাদা স্যামুয়েল প্রেসকট বুশ। তিনিই ধনকুবের  বুশ পরিবারের ভিত্তি স্থাপনকারী। তিনি  ওহাইয়ো স্টিল ও রেলরোডের এক্সিকিউটিভ ছিলেন

 

বাচ্চাদের সঙ্গে প্রায়ই সময় কাটাতে দেখা যায় সবেক ফার্স্ট লেডি বারবারা বুশকে

 

স্ত্রী ও দুই মেয়ের সঙ্গে জর্জ ডব্লিউ বুশ

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর