শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

তানিয়া তুষ্টি

হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে মানুষ শরণাপন্ন হয় হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে। আশা থাকে সুচিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়ার। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাড়া করলে সেখানেও দেখা মেলে চরম বিপদের। কপাল খারাপ থাকলে হাসপাতালের বেডে শুয়েও হতে হয় অগ্নিকাণ্ডের শিকার। বিশ্বের উল্লেখযোগ্য এমন কয়েকটি হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে আজকের রকমারি আয়োজন।

 

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক ওহিয়ো

অগ্নিকাণ্ড : ১৯২৯ সাল

মৃত্যু : ১২৩ জন

আমেরিকার ওহিয়ো স্টেটে অবস্থিত একাডেমিক মেডিকেল সেন্টার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক। এটি একটি অলাভজনক দাতব্য প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে ১৯২৯ সালের ১৫ মে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১২৩ জনের বেশি মানুষ মারা যায়। মৃতের মধ্যে হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা জন ফিলিপও ছিলেন। এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে নাইট্রোসেলুলস এক্স-রে ফিল্ম মেশিন থেকে। মেশিনটি অতিমাত্রায় গরম হয়ে যাওয়ায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। বিপর্যয়ের সময় হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক মেশিনেরও অভাব ছিল। যা ছিল, তা ব্যাবহারের অনুপযোগী ছিল। আর তাই বিরাট পরিসরে আগুন ছড়িয়ে যাওয়াটা তখন খুব সহজ হয়ে যায়। একটি ফ্লোর থেকে আরেক ফ্লোরে আগুন, তাপ, ধোঁয়া ও বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে যায়। ফলে রোগীরা দ্রুতই নিস্তেজ হতে থাকে। এই অগ্নিকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিসাধন করে বিষাক্ত নাইট্রোজেন অক্সাইড ও কার্বন। হাসপাতালের স্টোরে রাখা দাহ্যবস্তুগুলোর অবস্থান ছিল খুব কাছাকাছি। এটিও দায়ী ছিল তখনকার অগ্নিকাণ্ডের জন্য। অথচ বর্তমানে ক্লিনিকটিতে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার দিক থেকে ১০ এর মধ্যে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের স্কোর ৮.৭। ৫ বছরের কোর্সে মেডিকেল স্কুল পরিচালনা করা হয়। প্রতি সেশনের ৩২ জন শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ প্রদান ও ফ্রি পড়ানো হয়। ১৭০ একর জায়গার ওপরে হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয় ১৯২১ সালে।

 

মার্সি, শিকাগো

অগ্নিকাণ্ড : ১৯৫০ সাল

মৃত্যু : ৪১ জন

 

১৯৫০ সালে শিকাগো শহরে অবস্থিত মার্সি হাসপাতাল অ্যান্ড মেডিকেল সেন্টারে ঘটে এক ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড। সে ঘটনায় মোট ৪১ জনের প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে একজন পরিচারিকাও ছিল। এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে এক রোগীর কক্ষ থেকে। হাসপাতালের সেন্ট এলিজাবেথ সাইকোপ্যাথ বিল্ডিংয়ের রোগীর মশারিতে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। অগ্নিকাণ্ডটি একদমই অসচেতনভাবে শুরু হয়। তখনকার দিনে অগ্নিকাণ্ড থেকে রেহাই পাওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি কোরিডরের সিলিংয়ে যে বোর্ড ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলো খুব সহজেই অগ্নিদাহ্য ছিল। তবে বর্তমানে এখানে সর্বাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। ২৯২ বেডের এই হাসপাতালটি টিচিং হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। ১৮৫২ সালে স্থাপিত হাসপাতালটি শিকাগোতে প্রথম চার্টার্ড হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত। ১৮৫৯ সালে এটি প্রথম ক্যাথলিক মেডিকেল স্কুলে পরিণত হয়।  শিকাগোর ৩৮তম মেয়র রিচার্ড জোসেফ ড্যালির পরিবার এটি নিজেদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করত।

 

এএমআরআই, কলকাতা

অগ্নিকাণ্ড : ২০১১ সালে

মৃত্যু : ৯২ জন

অগ্নিকাণ্ডের কারণ : দাহ্যপদার্থের মজুদ ও গ্যারেজ পাশাপাশি থাকা।

 

২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর কলকাতার এএমআরআই হাসপাতালে ঘটে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এই মর্মান্তিক ট্র্যাজেডিতে একজন বাংলাদেশিসহ মারা যায় ৯২ জন রোগী। বেসরকারি মালিকানাধীন বহুতলবিশিষ্ট এই হাসপাতালটি দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ায় অবস্থিত। হাসপাতালের বেসমেন্টে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। অথচ হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও ছিল না। এদিকে গ্যারেজটিও ছিল বেজমেন্টে। ফলে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা যায়। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ভিতর দিয়ে ধোঁয়া বিভিন্ন তলায় পৌঁছে যায়।

টানা ১০ ঘণ্টা আগুন জ্বলার পর দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য অবশ্য হাসপাতাল পরিচালনা বোর্ডের সদস্যদের দায়ী করা হয়। মৃত ব্যক্তিরা হাসপাতালের রোগী হিসেবে ভর্তি ছিলেন। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে ৯১ জনের রেকর্ড থাকলেও পরবর্তীতে অনেকে তাদের স্বজনদের নিখোঁজ থাকার অভিযোগ করেন। স্থানীয়  লোকজন হাসপাতালের বেষ্টনীর কাঁটাতার কেটে ভিতরে ঢুকে বহু রোগীকে বাইরে আনতে সক্ষম হন।

আশঙ্কা করা হয়, উদ্ধার তৎপরতা না থাকলে মৃতের সংখ্যা বহুগুণে বেড়ে যেত। ১৯০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে দুর্ঘটনার সময় ভর্তি ছিল ১৬০ জন রোগী। এই হাসপাতালটিতে ২০০৮ সালেও আরেকবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্তু ২০১১ সালের ঘটনাটি বড় আকার ধারণ করায় রাজ্য সরকার হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করে দেয়। নিরাপত্তা রক্ষার নিয়ম মেনে না চলার শাস্তি হিসেবে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে আইনি সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে আইনি সব জটিলতা কাটিয়ে নিজেদের সেবাদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

 

সেন্ট অ্যান্থনি

অগ্নিকাণ্ড : ১৯৪৯ সাল

মৃত্যু : ৭৪ জন

 

আমেরিকার কলারাডো স্টেটের সেন্ট অ্যান্থনি হাসপাতালের লন্ড্রি থেকে ঘটে এক অগ্নিকাণ্ড। দ্রুত তা ছড়িয়েও পড়ে। এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী করা হয় ভবনেই অবস্থিত লন্ড্রি ব্যবস্থাকে। অগ্নিকাণ্ড ঘটার আগে সঠিক ফায়ার অ্যালার্ম ব্যবস্থাও ছিল না। এদিকে আবার খোলা কোরিডর ও সিঁড়ি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়া আটকানোর কোনো ব্যবস্থা সেখানে ছিল না। সব মিলিয়ে ১৯৪৯ সালের এই ঘটনায় হাসপাতালটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৪ জনে। ১৮৯২ সালে স্থাপিত এই হাসপাতালটি শুরুতে সেন্ট অ্যান্থনি সেন্ট্রাল হাসপাতাল নামে পরিচিত ছিল। আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর আগে এমন একটি দুর্ঘটনার শিকার হলেও বর্তমানে সেন্টনি কলারাডোর সেরা তিন ট্রমা সেন্টারের একটিতে পরিণত হয়েছে। এটি এখন কলারাডোর বৃহৎ স্বাস্থ্য নেটওয়ার্কের অংশীদার। ১৯৭২ সাল থেকে এই হাসপাতালটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দিয়ে আসছে। এমনকি এরাই প্রথম প্যারামেডিক একাডেমি চালু করে। ২০১১ সালে হাসপাতালটির আলাদা ক্যাম্পাসের প্রয়োজন পড়ে। সেখানেও রাখা হয়েছে জরুরি বিভাগসহ সাধারণ বিভাগ।

 

সেজং দ. কোরিয়া

অগ্নিকাণ্ড : ২০১৮       সাল

মৃত্যু : ৪১ জন

 

২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে দক্ষিণ  কোরিয়ার মিরাং এলাকার সেজং হাসপাতালে। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪১ জনে। এদের মধ্যে ২৬ জনই ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে ছিলেন। মৃত ব্যক্তির ৩৪ জন ছিলেন নারী। অগ্নিকাণ্ডের সময় দূষিত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ধোঁয়াযুক্ত নিঃশ্বাসের কারণে তাদের মৃত্যু হয়। অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ। সেজং হাসপাতালের পাশেই থাকা একই মালিকানাধীন আরেকটি নার্সিং হোমেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতাল ও নার্সিং হোম মিলিয়ে আহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪৩ জনে। দমকল বাহিনী সূত্রে জানা যায়, সাততলা ভবনের ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালের প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠতলার জেনারেল ওয়ার্ডের লোকজন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার সময় হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিল ১৫ জন রোগী। সাধারণ বেডে ভর্তি ছিল আরও ২০০ জন রোগী।

 

মিশিগান ধর্মশালা

অগ্নিকাণ্ড : ১৯৮৫ সাল

মৃত্যু : ৮ জন

 

মিশিগান ধর্মশালায় রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হতো। সেখানেও ১৯৮৫ সালে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ৮ জনে। একজন রোগীর কক্ষ থেকে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। খুব অল্প সময়ে তা পুরো ভবনে ছড়িয়ে যেতে থাকে। তখনকার দিনে হাসপাতালের রোগীরা বাইরে থেকে প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী আনার অনুমতি পেত। ধারণা করা হয় তাদের আনা প্লাস্টিক, ফোম, বেডিং থেকেই অগ্নিকাণ্ডের শুরু হয়। সে সময় হাসপাতালটির ভেন্টিলেটর, দরজা, জানালা মোটেও ধোঁয়া প্রতিরোধী ছিল না। বরং খুব সহজেই ধোঁয়া প্রবেশ করতে পারত। অতীতের গ্লানি কাটিয়ে বর্তমানে হাসপাতালটি রোগীদের পলিয়েটিভ কেয়ার নামে এক নতুন সেবা প্রদান করে আসছে। এটি স্বাস্থ্যসেবার এক নতুন মডেল যেখানে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের মানসিকভাবে উৎসাহ প্রদান করা হয়। এমনকি রোগীর মানসিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ যতœ ও তাদের প্রিয়জনদেরও সাহায্য করা হয়।

 

মিসৌরি ফ্যাসিলিটি

মিসৌরি ফ্যাসিলিটিতে ১৯৭৪ সালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে ৮ জনের। ভবনটি জ্বালানি তেলে ভরপুর ছিল। তখনকার দিনে স্টাফরা এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডে নিজেদের রক্ষার উপায় সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ছিল। রোগীদের জন্য বরাদ্দ কক্ষগুলো ফোম, ম্যাট্রেস ও বেডিংপত্রে ঠাসা ছিল। অগ্নিকাণ্ডের আগে ফায়ার অ্যালার্ম বাজলেও তারা খুব বেশি গুরুত্ব দেয়নি। ফলে বিপদ আরও বেশি হয়। তখন শুধু দুটি কক্ষ থেকে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে বের হওয়া যেত। হাসপাতালের স্টাফদেরও বের হতে ব্যবহার করতে হতো  রোগীদের কক্ষ। কিন্তু সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালটি এক নম্বরের ট্রমা সেন্টার ও রোগী সেবায় হেলিকপ্টার সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। বহু জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য অন্যান্য হাসপাতালের ডাক্তাররা এখানে রেফার করে থাকেন।

 

হার্টফোর্ড হাসপাতাল

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে অবস্থিত হার্টফোর্ড হাসপাতাল। ১৯৬১ সালের এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৬ জনের প্রাণ যায়। অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী করা হয় হাসপাতালের স্টোর রুমে মজুদকৃত পর্যাপ্ত দাহ্যবস্তুকে। সেখানে অনেক প্লাস্টিক, লাইনোলিয়াম আর ফেব্রিক রাখা ছিল। রোগীরা এসব বস্তুর পোড়া কালো ধোঁয়ায় পতিত হন। দম বন্ধ হয়ে মূলত তাদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ সময় অবশ্য হাসপাতালের তিনটি ভবন অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়। হাসপাতালের ফ্লোরগুলো এমনভাবে করা ছিল যাতে সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ধোঁয়া, তাপ ও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো নির্বাপণের কোনো ব্যবস্থায় ছিল না। তাই তখন ধোঁয়া প্রতিরোধ সম্ভব হয়নি, ঘটেছে প্রাণহানি।

 

ওয়েইফু, তাইওয়ান

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে অবস্থিত ওয়েইফু হাসপাতালে ঘটে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। মর্মান্তিক এই ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও ৩০ জনের মতো। দমকল বাহিনী সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় ১৬ জন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। অগ্নিকাণ্ডে আহতদের মধ্য থেকেই নয়জন মারা যান। ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট ভোরে নয়তলা ভবনের হাসপাতালে সপ্তম তলার একটি কেবিন থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। প্রথমে একটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্ধার করা না গেলেও ধারণা করা হয় বৈদ্যুতিক সংযোগে গোলযোগ থাকতে পারে। ভবনটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলেও তা ছিল বেশ দূরে। যার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে তা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়নি। এর আগেও ২০১২ সালে হাসপাতালটিতে আরেক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তখন ১২ জনের প্রাণহানি ঘটে। আহত হয় ৬০ জনেরও বেশি মানুষ।

সর্বশেষ খবর