ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ঢাকসু হচ্ছে নেতা তৈরির কারখানা। অতীতে ছাত্রাবস্থায় যারা ডাকসুতে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারাই জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছেন বা রেখেছেন। দীর্ঘদিন পর আজ সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয় সেটাই প্রত্যাশা। নির্বাচন যেন কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নজর দিতে হবে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের যতগুলো ছাত্র সংসদ আছে, এসব ছাত্র সংসদের নেতারাই পরবর্তী সময়ে জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখেন। বিশেষ করে ডাকসুর সাবেক নেতারাই জাতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ পদে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ডাকসু ছাত্র সংসদের নেতারাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কারাগার থেকে মুক্ত করেন। ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে রমনার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয় এবং ওই সভায় তৎকালীন ডাকসুর সহ-সভাপতি হিসেবে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করি।