শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিলাসবহুল গাড়ি

সাইফ ইমন

বিলাসবহুল গাড়ি

৪৩ কোটি টাকার সুপার ফাস্টার

দাম ৪৩ কোটি টাকার ড্রিম কার। নাম বুগাত্তি ডিভো। ফ্রেঞ্চ রেসিং ড্রাইভার অ্যালবার্তো ডিভোকে স্মরণে রেখেই গাড়িটির নামকরণ করা হয়েছে ডিভো। সারা বিশ্বের জন্য মাত্র ৪০টি গাড়ি তৈরি করা হয়েছে। বাজারে আসতে না আসতেই প্রায় সবকটি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ফরাসি গাড়ি নির্মাতা বুগাত্তির গাড়িটিতে রয়েছে দেড় হাজার হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন। বুগাত্তিতে ঘণ্টায় প্রায় ৪২০ কিমি পর্যন্ত গতি তোলা সম্ভব। ডিভোতে শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় গতি তুলতে সময় লাগে মাত্র ২.৪ সেকেন্ড। বুগাত্তি ডিভোর পেছনে রয়েছে এক দশমিক আট মিটার হাইড্রোলিক উইং। ৪৫৬ কিলোগ্রাম ডাউনফোর্স তৈরি করে ডিভো যা চিরোনের থেকেও ৮৯ কিলোগ্রাম বেশি।

বেশি ডাউনফোর্স মানেই ল্যাটারাল গ্রিপও একটু  বেশি। রয়েছে ১.৬ জিএস অব ল্যাটারাল গিপ।

 

সুইপটেইলের পর দামি গাড়ি এইচপি বারকেতা

কিছু কিছু গাড়ি যা পৃথিবীর মাত্র এক শতাংশ মানুষের জন্য তৈরি করা হয়। অর্থাৎ সবার কাছে এই গাড়িগুলো বিক্রিও করে না নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এই গাড়িগুলোর কোনো কোনোটির দাম ১০০ কোটি টাকারও বেশি। রোলস-রয়েস ‘সুইপটেইল’ ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ি ছিল। এই গাড়িটির দাম ১৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম ১১০ কোটি টাকা। সম্প্রতি সুইপটেইলকে পেছনে ফেলে দামি গাড়ির খেতাব পায় ইতালীয় গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি পাগানির জোন্ডা এইচপি বারকেতা। গাড়িটির মূল্য ১৭.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর দাম ১৪৬ কোটি টাকার বেশি। ভারতীয় মুদ্রায় গাড়িটির দাম ৬৭ কোটি রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮০  কোটি টাকারও বেশি একটি গাড়ির নাম ল্যাম্বরগিনি ভেনেনো। এটি সুপার স্পোর্টস কার। ২০১৩ সালে এই গাড়িটি বাজারে আসে। গাড়িটি মাত্র ২.৯ সেকেন্ডের মধ্যে ৬০ মাইল প্রতি ঘণ্টা গতি তোলা যায়।। এদিকে মার্সিডিজ বেঞ্জ মেব্যাচ এক্সেলেরো একটি হাই পারফরম্যান্স স্পোর্টস কার। ২০০৫ সালে এই গাড়িটি প্রথম বাজারে আসে। গাড়িটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য ৬৭ কোটি টাকারও বেশি।

 

কোটি কোটি টাকার সোনার গাড়ি

সোনার গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নিশান। প্রতিষ্ঠানটি সোনা দিয়ে সম্পূর্ণ মোড়ানো একটি গাড়ি তৈরি করেছে সম্প্রতি। অদ্ভুত ডিজাইনের এই গাড়িটির নামও খুবই অদ্ভুত- ‘গডজিলা’। সোনা দিয়ে মোড়ানো এই গাড়ির দামও কিন্তু কম অদ্ভুত নয়, শুনলে চমকে উঠতে বাধ্য হবেন। মাত্র ১০ লাখ টাকা খরচ করে আপনিও ঘুরে বেড়াতে পারবেন সোনার গাড়িতে। তবে এটিই প্রথম সোনার গাড়ি নয়, ১৯৮৮ সালে লিঙ্কন শহরের লিমোউসিন সড়কে দেখা গিয়েছিল প্রথম সোনার গাড়ি। সোনার প্রলেপের ওপর নির্মিত গাড়িটিকেই পৃথিবীর প্রথম সোনায় মোড়া গাড়ি বলে ধারণা করা হয়। গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল সেই সোনার তৈরি গাড়ি। গাড়ির প্রতিটি অংশ ছিল সোনার কয়েনে আচ্ছাদিত। আর এর ব্রেক তৈরি করা হয় নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কেন বারকিট দিয়ে।

বর্তমানে গাড়িটি মেক্সিকোতে আছে। রিপ্লির সংগ্রহের অংশ হিসেবে জাদুঘরে সংরক্ষিত করা হয়েছে।

মজার ব্যাপার হলো মাত্র গত বছরই আবারও সোনার গাড়ি দেখা যায়। তবে এবার আর লিঙ্কন শহরে নয়, খোদ লন্ডনেই দেখা গেছে সোনার গাড়ি। শুনলে চমকে উঠবেন যে তাও একটি নয় দুটি নয় মোট পাঁচটি সোনার গাড়ি ঘুরতে দেখা গেছে শহরের রাজপথজুড়ে। সব গাড়িই সোনা দিয়ে মোড়ানো। এমনকি গাড়িগুলোর স্টিয়ারিংও সোনার তৈরি। এই দৃশ্য দেখে তো সবার চোখ কপালে! পুরো লন্ডন শহরে তখন একটাই প্রশ্নÑ কে এই সোনার গাড়িগুলোর মালিক! অবশেষে জানা যায় এই গাড়িগুলোর মালিক ২৩ বছর বয়সী এক সৌদি যুবক। যুবকের নাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহ। তিনি জানান, গাড়িগুলো কেনার পর তা মডিফাই করে সোনার প্রলেপ দেওয়া হয়। এসব গাড়ির মধ্যে রয়েছে ৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা মূল্যের অফ রোডার মার্সিডিস জি ৬৩, ২ কোটি টাকার বেন্টলি ফ্লাইং স্পার, ৪ কোটি টাকার একটি রোলস রয়েলস ও চার কোটি টাকা মূল্যের ল্যাম্বোরগিনি।

 

গাড়িতেই বেডরুম, ফায়ারপ্লেস, সিনেমা হল

বিশ্বের সর্বাধিক বিলাসবহুল গাড়িটি দুই তলাবিশিষ্ট। নাম ইলেমেন্ট পালাজ্জো। এর রয়েছে সর্বাধুনিক আকর্ষণীয় কিছু  বৈশিষ্ট্য। গাড়িটির দাম ৩ মিলিয়ন ডলার। এর ভিতর আপনি নিশ্চিন্তে টেলিভিশন দেখতে দেখতে রাত-যাপনও করতে পারবেন। কারণ গাড়িটিতে রয়েছে বিশাল আকৃতির একটি বেডরুম ও ৪০ ইঞ্চি এইচডি টিভি। উপরের তলায় রয়েছে বাথরুম। যেখানে আপনি গোসলও সেরে নিতে পারবেন। অবকাশ যাপনের জন্য এর ছাদে আছে একটি চত্বর। চারদিকে ঝকঝকে পরিবেশ। বাহারি রঙে সজ্জিত এর ভিতরের পরিবেশ। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, এর ভিতরে রয়েছে ফায়ারপ্লেস অর্থাৎ আগুন ধরানোর জায়গা। শীতের মৌসুমে এই ফায়ারপ্লেসের মাধ্যমে শরীর গরম করে নিতে পারবেন। এ ছাড়া গাড়িটির ছাদে রয়েছে ৪০ ফুটের একটি ককটেলবার। আর গাড়িটির নিচতলা সাজানো হয়েছে মূল্যবান সব পাথর দিয়ে। এর ভিতরে রান্না করার জন্য রয়েছে একটি সম্পূর্ণ রান্না ঘর। যেখানে আপনি যে কোনো রান্নাই সেরে ফেলতে পারবেন। মূল কথা, গাড়িটির ভিতরে ঢুকলেই পাল্টে যাবে ধারণা। বিলাসবহুল এ গাড়িটির নকশা করেছেন লুইগি কোলানি। তিনি একজন জার্মানি ডিজাইনার। গাড়িটি নিয়ে আপনি যেখানেই যান না কেন সব সময়ই পাবেন ইন্টারনেটসহ প্রযুক্তির সব সুযোগ-সুবিধা। মজার ব্যাপার হলো, গাড়িটির ডেক প্রায় ৪৩০ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত করা যায়। ফলে আপনি ইচ্ছা হলেই সেখানে শুয়ে সান বাথ নিতে পারবেন। আর দোতলায় ওঠার জন্য গাড়ির ভিতরে রয়েছে একটি আকর্ষণীয় চলন্ত সিঁড়ি। এ ছাড়াও বেডরুমকে যখন-তখন সিনেমা হল হিসেবে ব্যবহার করা যায় অনায়াসেই। পরিবেশ পুরোটাই ডিজাইন করা হয়েছে এমনভাবে যে ভিতরে যে কেউ প্রবেশ করলে ভাবতে বাধ্য হবে সে কোনো প্রাসাদের ভিতরে প্রবেশ করেছে।

 

রোবট গাড়ি

রোবট গাড়ির নাম শুনলেই মনে পড়ে যায় হলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা ‘ট্রান্সফরমার’ মুভিটির কথা। মুভিতে দেখা যায় দ্রুত বেগে ছুটে চলা বিএমডব্লিউ হঠাৎ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে রোবটের আকৃতি নেয়। কিন্তু বাস্তবে কি এটা সম্ভব! হ্যাঁ এই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছে তুরস্কের গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা লেটভিশন। গাড়িটির নাম রাখা হয়েছে লেট্রন্স। সম্পূর্ণ রিমোট কন্ট্রোলে চালিত এই গাড়ির অংশগুলো উলট পালট হয়ে রোবটের আকার নিতে পারবে। বিজমাত, আরগন, ওলফ্রাম মডেলের গাড়ি তৈরি করেছে সংস্থাটি।

 

দ্রুতগতির গাড়ি

১৮৮৮ কেজি ওজনের বুগাট্টি ভেয়রন সুপার স্পোর্টকেই পৃথিবীর অন্যতম দ্রুততম গাড়ি বলে মানা হয়। ২০১০ সালে যখন প্রথম বাজারে আসে তখন এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী লিগ্যাল স্ট্রিট কার। এই গাড়িটি সমতল রাস্তায় মাত্র ২.৪ সেকেন্ডের স্পিডে ৬০ মাইলে ছুটতে পারে। পৃথিবীর দ্রুততম এই গাড়ি প্রতি ঘণ্টায় ২৬৭ মাইল অতিক্রম করতে পারে। এর ৮ লিটার ডব্লিউ-১৬ ইঞ্জিনটির কার্যক্ষমতা ১২০০ হর্সপাওয়ার। গাড়িটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৯ কোটি টাকা। দ্রুততম বিষয়ের দিক দিয়ে রেকর্ড করে এগিয়ে রয়েছে আরও একটি গাড়ি। ঘণ্টায় ১২২৮ কিলোমিটার চলতে সক্ষম এই গাড়িটির নাম থ্রাস্ট-এসএসসি। নামে গাড়ি হলেও দেখতে অনেকটা জেটের মতোই এটা। এর ইঞ্জিন এতটাই শক্তিশালী যে ঠিকঠাক যানের সঙ্গে লাগিয়ে দিতে পারলে ৩,২০০ কিলোমিটারে এক রেঞ্জে ১০০ মানুষকে টানা বহন করতে সক্ষম।

হেন্নেস্যে ভেনম জিটি পৃথিবীর অন্যতম দ্রুততম গাড়ি। গাড়িটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪৩৫ কিলোমিটার। গাড়িটি ০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতি তুলতে সময় নেয় মাত্র ২.৫ সেকেন্ড। গাড়িটির এই দানবীয় গতির কারণ এর ১২৪৪ হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন।

 

ব্যয়বহুল গাড়ি

প্রতিবছরই বাজারে শ্রেষ্ঠত্বের জায়গা নিয়ে লড়াইয়ে নামে নামিদামি গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলো। গাড়ির ব্র্যান্ড ভ্যালু, মডেল, সুযোগ-সুবিধা ও আরাম আয়েশের ওপর নির্ভর করে দাম নির্ধারিত হয়। এসব দিক বিবেচনা করে বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়িগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ল্যাম্বোরগিনি ভেনেনো। মূল্য ৪৫ লাখ ডলার।

গাড়িটি মাত্র ২.৮ সেকেন্ডে ০ থেকে ঘণ্টায় ৬০ মাইল গতিতে ছুটতে পারে। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২২১ মাইল। বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে, প্রতিবছর মাত্র তিনটি ল্যাম্বোরগিনি ভেনেনো বাজারে ছাড়া হয়। ব্যয়বহুল গাড়ির তালিকায় এরপরই আসে ৭৫০ হর্সপাওয়ারের একটি ৬-টুইন টার্বো ইঞ্জিনসমৃদ্ধ লাইকান হাইপার স্পোর্ট। গাড়িটির দাম ৩৪ লাখ ডলার। মাত্র ২.৮ সেকেন্ডে ০ থেকে ঘণ্টায় ৬০ মাইল গতি তুলতে সক্ষম গাড়িটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৫৪ মাইল। বিশ্বের অন্যতম দ্রুতগতির গাড়ি বুগাটি ভেয়রন সুপার স্পোর্টসও আছে বিশ্বের ব্যয়বহুল গাড়ির তালিকায়। মাত্র আড়াই সেকেন্ডে ঘণ্টায় ৬০ মাইল গতিবেগ তুলতে সক্ষম এ গাড়ির দাম ২৪ লাখ ডলার। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৬৭ মাইল বেগে ছুটতে পারে এটি। তাই বুগাটি ভেয়রনের সঙ্গে একটু বুঝেশুনে পাল্লায় নামা উচিত।

বিশ্বের ব্যয়বহুল গাড়ির তালিকায় আরও কিছু গাড়ি রয়েছে যেমন পাগানি জোন্ডা সিংক রোডস্টার (১৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার), জেনোভো এসটি ওয়ান (১২ লাখ ৫০ হাজার ডলার), কোয়েনিগসেগ আগেরা আর (১৬ লাখ ডলার), হেনেসে ভেনম জিটি স্পাইডার (১১ লাখ ডলার) ইত্যাদি।

 

বিদ্যুতে চলে যে গাড়ি

বৈদ্যুতিক গাড়ির নাম শুনলেই ধারণা করা যায় যে এটি বিদ্যুৎচালিত গাড়ি যা পরিবেশবান্ধব। এ গাড়িগুলো ব্যাটারিতে মজুদ করা শক্তি ব্যবহার করে চলে। বৈদ্যুতিক গাড়ির শুরুটা হয়েছিল ১৯ শতকের দিকে। এ গাড়িগুলোর অসুবিধা হলো ব্যাটারিতে যতক্ষণ চার্জ থাকবে ততক্ষণই এটি চলতে পারবে। কিন্তু ২০ শতকের গোড়ার দিকে ইঞ্জিনচালিত গাড়ির ব্যাপক প্রসারের ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রচলন কমতে শুরু করে। মূলত ব্যাটারির অপ্রতুলতার কারণেই বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোর ব্যবহার কমে যায়। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে জ্বালানি সংকট প্রকট হয়ে ওঠে। এর ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রয়োজনীয়তা নতুন করে অনুভূত হয়।

তখন থেকেই বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রচলন আবার শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে তৈরি হয় টেসলা মোটরস রোডস্টার এবং নিশান লিফের মতো আকর্ষণীয় মডেলের সম্পূর্ণ বিদ্যুৎনির্ভর গাড়ি। এরপর থেকেই বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো আবার জনপ্রিয় হতে শুরু করে। এগুলো মূলত রিচার্জেবল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে চলে। আবার হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল গাড়িগুলোও বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে চলে। তবে পার্থক্যটা হলো ফুয়েল সেলের সাহায্যে মজুদ জ্বালানি থেকে রূপান্তরিত জ্বালানি আলাদা করা যায়। কিন্তু এগুলো ব্যাটারির শক্তি ব্যবহার করার পরিবর্তে একটি জ্বালানি কোষের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এ ক্ষেত্রে সাধারণত বাতাসের অক্সিজেন এবং গাড়িতে মজুদ হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহৃত হয়। তবে ব্যাটারি ও ফুয়েল সেলের মধ্যে পার্থক্য কম। ফুয়েল সেল গাড়ির সহায়ক হিসেবে বেশ কয়েক ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করা যায়। এসব ক্ষেত্রে জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেনের ব্যবহার বেশি। হুন্দাই টাকসন এবং টয়োটা মিরাই গাড়িগুলো ফুয়েল সেলের সাহায্যে চলে। বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো কোনো ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার না করায় সাধারণ ইঞ্জিনচালিত গাড়ির ভালো বিকল্প হিসেবে প্রশংসিত। তাই ব্যাটারিচালিত ও ফুয়েল সেলনির্ভর বৈদ্যুতিক গাড়ি দ্রুতই সমৃদ্ধ হচ্ছে।

 

পৃথিবীর বিরল  মহামূল্যবান গাড়ি

কিছু গাড়ি খুব সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায় কিনতে আবার কিছু গাড়ি কিনতে গুনতে হয় কয়েক মিলিয়ন। যেমন Ferrari 250 GTO গাড়িটি। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে তৈরি হওয়া এই গাড়িটি মাত্র ৩৯টি বানিয়েছে ফেরারি কোম্পানি। পোর্শে ৯৫৬- ফেরারি ২৫০ জিটিওর মতো এটিও একটি বিরল রেসিং গাড়ি।  Ferrari LaFerrari ২০১৩ সালে বানানো বিরল একটি গাড়ি। গাড়িটিও মাত্র ৪৯৯টি বানানো হয়েছিল। ১৯৯০-এর দশকে তৈরি McLaren F1  গাড়িটি মাত্র ১০৬টি বানানো হয়েছিল। যেহেতু এসব গাড়ির সংখ্যা খুবই কম তাই গাড়ি সংগ্রহকারীদের আলাদা একটা আকর্ষণ রয়েছে সবসময়।

 

 

 

যে গাড়ি পানি দিয়ে চলে

তেল ছাড়া চলবে গাড়ি। তাও আবার পানি দিয়ে! এমনই এক গাড়ি আবিষ্কার করে বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাইজ মুহাম্মদ মাকরানি। তার উদ্ভাবিত গাড়িটি চলবে পানি ও ক্যালসিয়াম কার্বাইডের মিশ্রণে। ক্যালসিয়াম কার্বাইড ও পানি একসঙ্গে মেশানো হলে অ্যাসিটিলিন গ্যাস উৎপন্ন হয়। যা দিয়েই চলে এই অভিনব গাড়িটি। এতে জ্বালানি খরচ যেমন কমবে তেমন পরিবেশবান্ধবও।

মাত্র টুয়েলভ পাস রাইজ মাকরানি যে অসাধ্য সাধন করেছেন তাতে অনেক মানুষ যে উপকৃত হবেন তা বলাই বাহুল্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর