শিরোনাম
১৪ নভেম্বর, ২০১৮ ০৯:৫৫

আওয়ামী লীগে তাপস বিএনপির অসীম না রবি

বাদল নূর

আওয়ামী লীগে তাপস বিএনপির অসীম না রবি

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ওই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়তে প্রস্তুত বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি। এই দুজনের কে ধানের শীষ প্রতীক পাবেন তা নিয়ে এলাকার নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণির ছেলে। তিনি ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দুবার ঢাকা-১০ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় এই নেতা এলাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ডের নাগরিক সমস্যা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, পরিবেশ সংরক্ষণ, আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন রবিউল আলম রবি। তিনি রাজধানীতে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে অত্যন্ত সক্রিয়। অন্যদিকে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম লন্ডন প্রবাসী। ঢাকা-১০ আসন রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট অন্তর্গত ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

ঢাকা-১০ আসনের উন্নয়ন প্রসঙ্গে ফজলে নূর তাপস বলেন, আমরা সন্ত্রাস এবং মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছি। এই আসনকে সম্পূর্ণভাবে মাদকমুক্ত করতে চাই। তিনি বলেন, ঢাকা-১০ আসনকে আমরা শিক্ষার এবং শান্তির নীড় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০২১ অনুযায়ী প্রতিটি ঘরে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে চাই। আমাদের এলাকার শান্তি ও নিরাপত্তার চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ইতিমধ্যে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প সাভারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

হাজারীবাগবাসীর সুবিধার জন্য ট্যানারি মালিক, গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়সহ আমরা একটি পরিকল্পনা নিচ্ছি যাতে হাজারীবাগবাসী একটি আধুনিক নগরায়ণের সুবিধা পায়। ধানমন্ডিতে যানজটের সমস্যা রয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, ঢাকা-১০ আসনে আমার বেড়ে ওঠা। এই এলাকায় আমার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। এলাকার জনগণ আমাকে আপনজন হিসেবে নিয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি তাদের সঙ্গে থেকে দায়িত্ব পালন করতে। এই এলাকার জনগণের প্রতি আমার আহ্বান, তারা যেভাবে আমাকে গ্রহণ করেছে, ভালোবেসেছে, আমার ওপর আস্থা রেখেছে, উন্নয়ন কাজে সহায়তা করেছে সেটা যেন অটুট থাকে। আমি প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করি না। ঢাকা-১০ আসনে মারামারি হানাহানির প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। আমরা প্রতিযোগিতামূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই।

২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদ। তার মৃত্যুতে সেখানে বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম ও  ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তরুণ নেতা শেখ মো. রবিউল আলম রবি নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়ান। দুজনই নিজেদের মতো করে মনোনয়ন পাওয়ার  চেষ্টা করেছেন। 

মনোনয়নপ্রত্যাশী শেখ রবিউল আলম বলেন, ধানমন্ডিতে আমি নেতা-কর্মীদের পাশে রয়েছি। তাদের দুঃসময়ে পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করছি। আশা করছি, দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। অন্যদিকে লন্ডন থেকে মোবাইল ফোনে ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম বলেন, হামলা-মামলার মুখোমুখি হয়ে আমি দেশ ছেড়েছি। আশা করছি, ধানের শীষ প্রতীক পাব। বিএনপির হাইকমান্ড আমাকে দলীয় প্রতীক দিলে এ আসনটি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।

বিডি প্রতিদিন/১৪ নভেম্বর ২০১৮/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর