১৭ নভেম্বর, ২০১৮ ১২:০৫

একরামুল করিম চৌধুরীকে ঘিরেই কর্মীদের উৎসব

নোয়াখালী প্রতিনিধি

একরামুল করিম চৌধুরীকে ঘিরেই কর্মীদের উৎসব

জঙ্গি-সন্ত্রাস দমন ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর বিকল্প নেই। এ আসনে তিনি যতদিন নৌকার মাঝি থাকবেন ততদিন আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত। সরেজমিন ঘুরে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানা যায়।

আসন এলাকাবাসী জানান, একরামুল করিম চৌধুরী গত ১০ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। দলকে সুসংগঠিত করে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি প্রতিনিয়তই ছুটে বেড়ান বিভিন্ন এলাকায়। উন্নয়ন ও দলের স্বার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একরামুল করিম চৌধুরীই একমাত্র যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করে তৃণমূলের সাধারণ মানুষ। এ নির্বাচনে তার কোনো বিকল্প নেই।

একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী-৪ আসন থেকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেন। নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনটি একসময় বিএনপির দুর্গ ছিল। পরবর্তীতে একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এ আসন আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত হয়। সাবেক স্পিকার আবদুল মালেক উকিলের মৃত্যুর পর এ আসনটি হাতছাড়া হয়ে বিএনপির দখলে চলে যায়। দীর্ঘ ২১ বছর পর একরামুল করিম চৌধুরীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আসনটি পুনরুদ্ধার হয়।

গত দুবার সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি এ আসনে টানা ১০ বছরে নোয়াখালী-৪ আসনের রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর একজন সৈনিক হিসেবে শেখ হাসিনার সততা ও আদর্শকে বুকে লালন করে এলাকার সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখে জনসাধারণে সেবা করে যাচ্ছেন। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ও তার নির্বাচনী এলাকায় এসে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উঠান বৈঠক, কর্মী  সমাবেশ ও পথসভার মাধ্যমে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন একরামুল করিম চৌধুরী।

ধর্মপুর ইউনিয়নের ভাটিরটেক চৌমুহনী বাজার ব্যবসায়ী নজির আহাম্মদ ও মিরাজ উদ্দিন জানান, নোয়াখালী-৪ আসনে একরামুল করিম চৌধুরী এলাকার উন্নয়নের রূপকার। তিনিই একমাত্র যোগ্য প্রার্থী। একই বক্তব্য দেন, আরও অনেকে। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সামছুদ্দিন সেলিম বলেন, একরামুল করিম চৌধুরীর যোগ্য নেতৃত্বে নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ বিগত সময়ের চেয়ে আজ অত্যন্ত সুসংগঠিত। আগামী নির্বাচনে তার বিকল্প নেই। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহমুদুর রহমান জাবেদ জানান, একরামুল করিম চৌধুরীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ আজ ঐক্যবদ্ধ। তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করে সাধারণ মানুষের মন জয় করেছেন। নোয়াখালীর প্রবীণ সাংবাদিক আবুল হাসেম বলেন, একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালীতে বিমানবন্দর,  চার লেন সড়ক, নোয়াখালীর দুঃখ নোয়াখালী খাল পুনঃসংস্কার, মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবন নির্মাণসহ অসংখ্য বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছেন। তাই এ আসনে তিনিই একজন যোগ্য প্রার্থী। সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক জানান একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে সদর-সুবর্ণচরের সব নেতা-কর্মী সুসংগঠিত। আগামী নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে নৌকা বিজয় হবে। নোয়াখালী একসময় বিএনপির দুর্গ হিসেবে থাকলেও এখন একরামুল করিম চৌধুরীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত হয়েছে। অশ্বদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম মাহমুদ ও নেয়াজপুর ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম বাহাদুর জানান, একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে সব নেতা-কর্মী সুসংগঠিত। তার কোনো বিকল্প নেই। শ্রমিক নেতা বেলাল জানান, একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে শ্রমিক সংগঠনসহ সবাই ঐক্যবদ্ধ।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর