১০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৮:৫৫

নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীদের যা করণীয়

অনলাইন ডেস্ক

নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীদের যা করণীয়

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যজোটসহ অন্যান্য দল তাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে।

আজ সোমবার থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামছে বিভিন্ন দলের প্রার্থী ও তাদের কমী-সমর্থকরা।

তবে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য কিছু করণীয় নির্ধারণ করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেগুলো হচ্ছে:- 

পোস্টার রঙ্গিন করা যাবে না। পোস্টারে প্রার্থী ছাড়া দলীয় প্রধানের ফটো ব্যবহার করা যাবে, যা দড়িতে ঝুলিয়ে প্রচার করতে হবে। ৪’শ বর্গফুট এলাকার বেশি বড় কোনো প্যান্ডেল করে প্রচার চালানো যাবে না। তবে কাপড়ের তৈরি ব্যানার করে প্রচার চালানো গেলেও ডিজিটাল ডিসপ্লে ব্যবহার করা যাবে না। জনসাধারণের চলাচলের অসুবিধা হয়, এমন কোনো কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে হবে।

মাইকে প্রচার চালানো যাবে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। পাশাপাশি একই নির্বাচনী এলাকাতে কোনো অবস্থাতেই তিনটির বেশি লাউড স্পিকার নয়। নির্বাচনী এলাকায় প্রতি ইউনিয়ন আর পৌর এলাকার ওয়ার্ড প্রতি নির্বাচনী ক্যাম্প করতে হবে একটি।

মোটর সাইকেলসহ যেকোনো মোটরগাড়িতে করে মিছিল, মশাল মিছিল বা শোভাযাত্রা একদম নিষিদ্ধ। বিদ্যুৎ ব্যবহার করে কোনো প্রকার আলোকসজ্জা করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতীক হিসেবে জীবন্ত কোনো প্রাণী ব্যবহার নিষিদ্ধ।

পোস্টারের সাইজ দৈর্ঘ্যে ৬০ সেন্টিমিটার ও প্রস্থে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যানার কোনোভাবেই তিন মিটারের বেশি হবে না। প্রচারের অংশ হিসেবে যেকোনো প্রকার দেয়াল লিখন, পোস্টানো সাঁটানো দণ্ডনীয় অপরাধ।

প্রচারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয় ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অন্য কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি সম্মানহানীকর কিছু করতে পারবে না। দেওয়া যাবে না কোনো উস্কানিমূলক ব্যক্তব্যও।

প্রচারণায় সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সব সুবিধা ত্যাগ করে প্রচার কাজে অংশ নিতে হবে। কোনো ডাক বাংলা ব্যবহার, সরকারি গাড়ি ব্যবহারসহ প্রটোকলও ছাড়তে হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ আইনে অনুমতি থাকায় নিরাপত্তার কারণে প্রটোকল পাবেন।

সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশনের মেয়ররাও সুবিধাভোগের বাইরে থাকবেন। তবে সরকারি কাজে তারা সরকারি সুবিধা পাবেন। কিন্তু সরকারি কাজে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না।

দলীয় প্রধান ছাড়া অন্য কেউ হেলিকপ্টারও ব্যবহার করতে পারবে না।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর