শিরোনাম
১০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১০:৪২

ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে বিএনপির এক প্রার্থীর বিপরীতে 'মহাজোটের' তিন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :

ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে বিএনপির এক প্রার্থীর বিপরীতে 'মহাজোটের' তিন

ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল উপজেলার আশিংক) আসনে মহাজোটের প্রার্থী কে হবে তা নিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য (ওয়ার্কাস পার্টির) নেতা মো. ইয়াসিন আলী ও মহাজোটের শরিক দল (জাপার) হাফিজ উদ্দিনের মধ্যে দলে দরকষাকষি চলছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মহাজোটের মনোনয়ন দেওয়া হয় ওয়ার্কাস পার্টির বর্তমান এমপি ইয়াসিন আলীকে। আবার আওয়ামী লীগে সাবেক সংসদ সদস্য এমদাদুল হক দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। 

ফলে মহাজোটের এই আসনে ভাঙন তৈরি হয়েছে। কারণ ইয়াসিন আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতির আগেই আওয়ামী লীগের একটি শক্তিশালী অংশ তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। আওয়ামী লীগের ওই বড় অংশটি স্বতন্ত্র প্রার্থী এমদাদুল হকের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এছাড়া মহাজোটের শরিক দল জাপার প্রার্থী হাফিজ উদ্দিনও দলের নিজস্ব প্রতীক নিয়ে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঝে লড়াই করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। 

অপরদিকে, মহাজোটের কোন্দলকে কাজে লাগাতে মরিয়া বিএনপি'র একক প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। 

দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ থেকে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার দাবি ছিল। গত ৪টি নির্বাচনে তাঁরা দলীয় প্রার্থী পায়নি। ইতিপূর্বে মহাজোটের প্রার্থী জাপা ও ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে তারা। কিন্তু এবার দলীয় প্রার্থীর দাবিতে উঠে পড়ে লাগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এজন্য দাবি আদায়ে তারা সভা-সমাবেশ, আন্দোলনও করে। কিন্তু তাদের দাবি অপূর্ণই থেকে গেছে। ফলে আসনটিতে মহাজোটের একাধিক প্রার্থী থাকায় আসনটি হাতছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

মহাজোটের প্রার্থী নৌকা প্রতীক পাওয়া বর্তমান সাংসদ সদস্য ইয়াসিন আলী বলেন, মহাজোটের সিদ্ধান্ত মতে আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওয়ার্কাস পার্টি ও আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকায় বিজয় নিয়ে আসবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। আওয়ামী লীগের বিপক্ষে যেন কোন নেতাকর্মী কাজ না করেন সেজন্য অনুরোধও করেন এই প্রার্থী।

এদিকে, সুযোগ কাজে লাগাতে এই আসন থেকে তিনবার বিএনপি প্রার্থী হিসেবে হেরে যাওয়া জাহিদুল ইসলাম শেষ বারের মত সুযোগ দেওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। তিনি বলেন, আসনটি দীর্ঘদিন ধরে মহাজোটের দখলে। আমি তিনবার নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছি। আমাকে শেষ বারের মত জনগণ যদি সুযোগ প্রদান করেন তাহলে আসনটিকে উন্নয়নের মডেলে পরিণত করবো। মানুষ এবার পরিবর্তন চায় তাই, ধানের শীষের বিজয় হবে বলে মত দেন তিনি।

জাপার প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন বলেন, জোট থেকে মনোনয়ন দিবে বলে আমি অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু মহাজোটের শরিক দল ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থীকে নৌকা মার্কার প্রতীক দিয়েছে। তাই আমি দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে থাকবো। পূর্বে এই আসনে নির্বাচন করে জয়ী হয়ে উন্নয়ন করেছি। এবারো জনগণ আবার ভোট দিয়ে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এমদাদুল হক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে থাকছেন বলে তিনি জানান। বলেন, এই আসনে নৌকা প্রার্থী না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই এলাকার মানুষের সাথে কথা বলেই এই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আওয়ামী লীগের সমর্থন থাকলে বিজয় নিশ্চিত আমার।

বিডি-প্রতিদিন/১০ ডিসেম্বর, ২০১৮/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর