১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:৩৬
আটক ৫

শেরপুর-২ আসনে বিএনপির নির্বাচনী অফিসে সংঘর্ষে আহত ২৫

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুর-২ আসনে বিএনপির নির্বাচনী অফিসে সংঘর্ষে আহত ২৫

শেরপুর-২ আসনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় দলের অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ভাংচুর হয়েছে বিএনপির নির্বাচনী অফিস। শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।

নকলা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলমসহ ৫ বিএনপি নেতাকে পুলিশ আটক করেছে। ঘটনার জন্য উভয়দল একে-অপরকে দায়ী করেছে। পুলিশের দাবি পরিস্থিতি শান্ত করতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করতে হয়েছে।

নকলার টালকি ইউনিয়নের রামেরকান্দি বাজারে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপি প্রার্থী ফাহিম চৌধুরীর পক্ষে একটি নির্বাচনী অফিস খোলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় হামলা-পাল্টা হামলার জের ধরে অন্যান্য এলাকাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। 

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, স্থানীয়ভাবে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সমর্থকদের উত্তেজনা দেখা দিলে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এদিকে শুক্রবার রাতে শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলা কুড়া ইউনিয়নে ধানের শীষের দুটি নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির দাবি আওয়ামী লীগের লোকজন অফিস ভাংচুর করেছে।

পুলিশের দাবি ভাংচুর নয় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা হয়েছিল। অপরদিকে শেরপুর সদরের পৌর বিএনপি নেতা আব্দুস সাত্তারসহ ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল বলেছেন আওয়ামী লীগের অবস্থা যতই খারাপ হচ্ছে পুলিশ ও সরকারি দল ততই মারমুখী হচ্ছে।

এদিকে, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা যুবলীগ কার্যালয়সহ নৌকা প্রতীকের ৪ প্রচার ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি আওয়ামী লীগের । ১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

যুবলীগের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলমসহ দলীয় নেতাকর্মীরা জানায়, রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে উপজেলা যুবলীগ কার্যালয় ও রাংটিয়া, তিনানী, বনগাঁও এবং ধানশাইল বাজারের ৪টি নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্প লক্ষ্য করে একযোগে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা আতংকগ্রস্ত হয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। ঘটনার পরপরই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপজেলা সদর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ শেষে যুবলীগ কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এই ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ বিএনপিকে দায়ী করছে।

বিএনপি প্রার্থী মাহমুদল হক রুবেলের দাবি পুলিশি আতঙ্কে বিএনপি ঘর থেকে বাইরে বের হতে পারছে না। ঘটনা সাজিয়ে বিএনপির উপর মামলা দিতেই এমনটি বলা হচ্ছে।

ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস  বলেছেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, অপরাধীদের সনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর