১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:৩৩

'পোস্টার' শূন্য সিলেটের রাস্তা-ঘাট

সিলেট ব্যুরো

'পোস্টার' শূন্য সিলেটের রাস্তা-ঘাট

তখন ছিল বৃষ্টির মৌসুম। নির্বাচনী প্রচারণায়ও হঠাৎ বৃষ্টি বাগড়া দিচ্ছিল। তবুও এসব বাধা উপেক্ষা করে বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পোস্টার সাঁটানো প্রার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে তীব্র প্রতিযোগিতা।

‘পোস্টার’ নিয়ে সিলেটে হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা নিয়েও, পোস্টার লাগানো নিয়ে এক পক্ষ অন্যপক্ষকে ঘায়েল করতে চেয়েছেন। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় এক শ্রমিককেও আটক করে পুলিশ। এটা ছিল কয়েকদিন আগের সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের চিত্র।

আর আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বর মাসে। শুষ্ক মৌসুম। তবুও সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ছাড়া কোথাও পোস্টার চোখে পড়ছেনা। সিটি নির্বাচনের বিপরীতে পোস্টারের সংখ্যা কম দেখা যাচ্ছে। রাস্তা-ঘাটে পোস্টার নেই বললেই চলে। নেই তেমন কোনো আমেজ।

নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট ছাড়া এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক পাড়া মহল্লার অলিতে গলিতে এখনও কোথাও কোনো পোস্টার সাঁটানো চোখে পড়ে না।

নগরীর আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার ভোটার ইউসুফ আহমদ জানান, প্রতিদিন কাজের জন্য নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যেতে হয় কিন্তু অনেক এলাকায় কোনো পোস্টার সাঁটানো দেখা যায় না। নির্বাচনী এলাকা বড় হওয়ায় এমনটা হচ্ছে বলে মত দেন তিনি।

নগরীর মিরাবাজার এলাকার ভোটার আব্দুল করিম জানান, সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যে রকম আমেজ ছিল জাতীয় নির্বাচনে তেমন আমেজ পাচ্ছি না। এলাকায় এলাকায় পোস্টার নেই। কয়েকদিন পরে মনে হয় ভোটের আমেজ বাড়বে।

নগরীর দক্ষিণ সুরমা এলাকার ভোটার আসাদ আহমদ জানান, দক্ষিণ সুরমার কয়েকটি পয়েন্ট ছাড়া পাড়া মহল্লা এলাকায় পোস্টার দেখা যায় না।

পোস্টার সাটানোর ব্যাপারে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, সিটি নির্বাচন আর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সিটি নির্বাচনে পুরুষ ও নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। পাশাপাশি মেয়র প্রার্থীরাও ছিলেন। নগরীর প্রতিটি মহল্লাতে ছিলেন প্রার্থীরা। তাই পোস্টারের আধিক্যও ছিল।

নগরীর ছাপাখানাগুলোতে গিয়েও দেখা যায়, পোস্টার ছাপানোর এতো ব্যস্ততা নেই। অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা প্রথম ধাপে নিজেদের পোস্টার ছাপিয়ে নিয়ে গেছেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রার্থীরা ডিজিটাল  ব্যানার ফেস্টুনও তৈরি করেছেন।

প্রসঙ্গত, আসন্ন নির্বাচনে সিলেট-১ আসনের প্রার্থীরা হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এ কে আব্দুল মোমেন (নৌকা), বিএনপি'র খন্দকার আবদুল মুক্তাদীর (ধানের শীষ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন’র মাওলানা নাসির উদ্দিন (বটগাছ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইউসুফ আহমদ (আম), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির উজ্জল রায় (কোদাল), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) প্রনব জ্যোতি পাল (মই), জাতীয় পার্টির মাহবুবুর রহমান চৌধুরী (লাঙ্গল), ইসলামী ঐক্যজোট (আইওজে) মোহাম্মদ ফয়জুল হক (মিনার), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. আনোয়ার উদ্দিন বোরহানাবাদী (হারিকেন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মো. দেওয়ানুল হক চৌধুরী (হাত পাখা)। 

বিডি প্রতিদিন/১৫ ডিসেম্বর ২০১৮/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর