১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:১০

বাবা জীবিত থাকলে এখন আওয়ামী লীগ করতেন না : রেজা কিবরিয়া

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

বাবা জীবিত থাকলে এখন আওয়ামী লীগ করতেন না : রেজা কিবরিয়া

হবিগঞ্জ-১ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই আমি এমপি প্রার্থী হয়েছি। বড় চাকরি ছেড়ে আজ আপনাদের সেবায় এসেছি। আমি নবীগঞ্জ-বাহুবলের এমপি নির্বাচিত হলে ভিক্ষার জন্য কারও কাছে হাত পাততে হবে না। 

শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাহুবলের একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বাবার ইচ্ছে ছিল বাহুবল-নবীগঞ্জের এমপি হয়ে জনগণের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করবেন। বাবার জীবদ্দশায় তা সম্ভব হয়নি। বাবার স্বপ্ন পূরণইে আমি এমপি পার্থী হয়েছি। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে আমি বিদেশে অনেক টাকা বেতনের চাকরি ছেড়ে দিয়ে জনসেবায় আত্মনিয়োগ করতে এসেছি। আমি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে জনগণের মধ্যে বেঁচে থাকতে চাই।

তিনি আরও বলেন, দেশ-বিদেশ ঘুরে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি নবীগঞ্জ-বাহুবলের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে তা কাজে লাগাতে চাই। আমরা ক্ষমতায় গেলে এদেশের রাজা প্রজার স্টাইল বদলিয়ে দেশের উন্নয়নে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন অযথা আমার সাড়ে ৫ হাজার টাকা ঋণখেলাপী দেখিয়ে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করে। অপরদিকে ৫ হাজার কোটি টাকার ঋখেলাপী রেখেও জনৈক প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। 

তিনি আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বলেন, ওরা আমাদের ভয় পায়, তাই ড. কামাল হোসেন, আ স ম রব এবং আমার উপর হামলা চালায়, আমরা ভীরু নই, হামলা-মামলা আমরা ভয় পাই না। দেশ এখন অন্ধকারে ৩০ তারিখের পর আলোতে আসবে আমাদের এ প্রিয় দেশ। এসময় তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বাবা জীবিত থাকলে তিনি এখন আওয়ামী লীগ করতেন না। এসময় তিনি নেতাকর্মীদের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সব কিছু ধৈর্য্য করে মোকাবেলা করার  আহ্বানও জানান।

এর আগে বিকালে ড. রেজা কিবরিয়া নেতাকর্মীদের নিয়ে পুরো বাহুবল বাজার ঘুরে ঘুরে নির্বাচনী প্রচারণা চালান। 

এদিকে, উপজেলায় মহাজোট প্রার্থীদের পোস্টার দেখা গেলেও ধানের শীষের পোস্টার দেখা যায়নি। গ্রেফতারের ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা। তবে তাদের ধারণা ৩০ তারিখ সারাদিন ধানের শীষের নিরব ভোট বিল্পব হবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জাসাস সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রাজুসহ অঙ্গসংঠনের নেতাকর্মী।

বিডি প্রতিদিন/১৫ ডিসেম্বর ২০১৮/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর