নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী নূর মোহাম্মদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনায় প্রতিদিনই ছুটছেন তিনি দুটি উপজেলার তৃণমূলের ভোটারদের কাছে। চালাচ্ছেন ব্যাপক গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা। পথসভা, উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশের মাধ্যমে তিনি নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় কাজ করে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তিনি তৈরি করেছেন নিজের শক্ত অবস্থান।এলাকার নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা বলছেন, নূর মোহাম্মদ প্রকৃত অর্থেই এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ, কৃষক, শ্রমিকের প্রকৃত বন্ধু হয়ে উঠেছেন। তার দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বকশীগঞ্জ উপজেলার তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি সংগঠিত। অনেক বেশি শক্তিশালী। নূর মোহাম্মদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে প্রতিটি গ্রাম, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এখন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তিনি প্রতিটি নেতা-কর্মীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে গত ২৪ অক্টোবর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় সাধারণ ভোটারদের সেই ভালোবাসার প্রমাণ মিলেছে। স্মরণকালের মধ্যে লাখো জনতার সমাগম ঘটে সভায়। সকাল থেকে বিভিন্ন গ্রাম, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন থেকে ব্যানার, পোস্টার আর নৌকা প্রতীক নিয়ে হাজার হাজার নারী-পুরুষের ঢল নামে। তরুণ, যুবক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, মুরব্বিরা নেমে আসেন রাস্তায়। উপজেলার প্রতিটি রাস্তাঘাট ভরে যায় নৌকাপাগল মানুষের মিছিলে। সেদিন এন এম হাইস্কুল মাঠ পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে। মাঠে জায়গা না পেয়ে রাস্তা-ঘাট, আশপাশের বাড়ি-ঘর, দোকানপাটের চাল, গাছ ভরে যায় মানুষে মানুষে। স্বাধীনতার পর থেকে অনেক দিন কোনো জনসভায় এমন বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখেনি এই অঞ্চলের মানুষ। এই জনসভাটিতে লক্ষাধিক মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত হয়ে নূর মোহাম্মদকে তাদের সমর্থন ও ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন। লাখো মানুষের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে নূর মোহাম্মদকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই। উপজেলা আওয়ামী লীগেরসহ সভাপতি ইসমাইল হোসেন বাবুল তালুকদার বলেন, নূর মোহাম্মদ দীর্ঘদিন ধরে নিজের শ্রম দিয়ে এলাকার নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। দলকে সংগঠিত করেছেন। তিনি প্রতিটি নেতা-কর্মীর আশ্রয়স্থল। প্রতিটি নেতা-কর্মীর সুখ-দুঃখ, সমস্যার কথা জানেন এবং তা সমাধানের চেষ্টা করেন। শুধু তাই নয় প্রতিটি এলাকার সাধারণ ভোটারদের খোঁজখবর রাখেন। শুধু আওয়ামী লীগের এই দু নেতা নয় দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে একই ধারণা পাওয়া গেছে। এলাকার মানুষ বলছেন, মানুষের মনে শক্ত অবস্থান রয়েছে তার।