শিরোনাম
শুক্রবার, ২ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মাঠ-ঘাট ঘুরছেন অধ্যক্ষ শাহ আলম

পিরোজপুর প্রতিনিধি

মাঠ-ঘাট ঘুরছেন অধ্যক্ষ শাহ আলম

অধ্যক্ষ শাহ আলম পিরোজপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে চালাচ্ছেন প্রচারণা। মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হতে পারলে এলাকায় শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার ও আধুনিকায়নের ওপরে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন বলে জানান।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পিরোজপুর-১ আসনে প্রচারণা চালাচ্ছে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। এ আসনে (পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর- নেসারাবাদ) আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহ আলম চালাচ্ছেন ব্যাপক গণসংযোগ। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভের তৎপরতাও চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে অধ্যক্ষ শাহ আলম পিরোজপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। সে সময় নেসারাবাদ উপজেলা পিরোজপুর-২ আসনের মধ্যে ছিল। পরে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেসারাবাদ উপজেলা পিরোজপুর-১ আসনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও নেত্রীর সিদ্ধান্তের কারণে প্রার্থী হননি তিনি। তৃণমূল থেকে রাজনীতি করা অধ্যক্ষ শাহ আলম এমপি ছাড়াও এলাকায় একাধিক বার নির্বাচিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ছিলেন। এমপি থাকা অবস্থায় এলাকায় তার ছিল স্বচ্ছ ইমেজ। ক্ষমতাসীন দলের এমপি হিসেবে এলাকায় তার বিরুদ্ধে ওঠেনি কোনো সন্ত্রাসী বা দখলবাজির অভিযোগ। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও তাকে নিয়ে লিপ্ত হননি কোন্দলে। এসব কারণে দলের হাইকমান্ড তার বিষয়ে  ইতিবাচক ধারণা পোষণ করত। দল মনোনয়ন না দিলেও পরবর্তীতে তাকে পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং পরবর্তীকালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়।

এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি পিরোজপুর-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য গণসংযোগ করছেন। আশাবাদী দলীয় মনোনয়ন লাভের। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ শাহ আলম জানান, আগামী নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার বিষয় সভানেত্রী ও দলের যেসব সিদ্ধান্তের কথা উঠেছে, তার বাস্তবায়ন হলে তিনি অবশ্যই মনোনয়ন পাবেন। কেননা তিনি কখনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি আরও বলেন, মনোনয়ন পেলে তিনি নির্বাচিত হয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নে। নেসারাবাদে একটি আধুনিক টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপন করা ও যে কলেজ রয়েছে তাতে পূর্ণাঙ্গ অনার্স চালুর ব্যবস্থা করবেন। এলাকার দীর্ঘদিনের সমস্যা নদী ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও মানুষের আয়বর্ধক কার্যক্রম চালু করবেন। মনোনয়ন পেলে জয়ের বিষয়ে তিনি শতভাগ আশাবাদী থাকার কারণ হিসেবে বলেন, তার বিষয়ে সব জরিপের ফলাফল ইতিবাচক। এ ছাড়া তিনি প্রার্থী হলে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তার পক্ষে শতভাগ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন। এ সুবিধার কারণে ২০০৮ সালে বিপুল ভোটে তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন।

সর্বশেষ খবর