শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

জটিল সমীকরণে আওয়ামী লীগ-বিএনপি

রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম

জটিল সমীকরণে আওয়ামী লীগ-বিএনপি

চট্টগ্রাম শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোতোয়ালি-বাকলিয়া নিয়ে চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসনটি। ‘চট্টগ্রাম সদর’ আসন বলে পরিচিত এই আসনে হেভিওয়েট প্রার্থীর ছড়াছড়ি। চূড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচনে এখনো রয়েছে রহস্যময়তা। আসনটিতে মনোনয়নের সমীকরণ বেশ জটিল।

ভোটের যত ফ্যাক্টর

আসনটিতে সনাতনী সম্প্রদায়ের ভোট আছে প্রায় ১ লাখ। নির্বাচনে এই ভোট ‘ডিসাংডিং ফ্যাক্টর’। জলাবদ্ধতা নিরসন দাবি ও উন্নয়ন ইস্যু, পেশাজীবী-তরুণ ভোটার আধিক্য এবং চট্টগ্রাম বিভাগের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বসহ নানা প্রেক্ষিত বিবেচনাতেই এই আসন দুই বড় জোটেরই যেন প্রাণভোমরা। সব সূচকেই এগিয়ে থাকা প্রার্থীই যেন এই আসনে মনোনয়ন পান—এমনটাই প্রত্যাশা ভোটারদের।

ফিরে দেখা

পুরনো চট্টগ্রাম-৮ আসনটিরই চট্টগ্রাম-৯ এ রূপান্তর ঘটে। এই আসনে যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হন সেদলই সরকার গঠন করে। গত দশটি সংসদে এই আসনে প্রার্থিতা নির্বাচনে রাজনৈতিক দল বা জোটগুলোকে হিমশিম খেতে হয়েছে। বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত এ আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রার্থী শিল্পপতি শামসুল আলমকে হারিয়ে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের শিল্পপতি রাজনীতিক নুরুল ইসলাম বিএসসি। ২০১৪ সালে নির্বাচনী ঐক্যের স্বার্থে মনোনয়ন পান জাতীয় পার্টি (জাপা)’র প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু।

 প্রার্থী যারা

এবার আওয়ামী লীগ তথা সমমনা জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম জননেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আবদুচ ছালাম প্রমুখ। বিএনপি বা সমমনা জোট থেকে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও প্রাক্তন মেয়র মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মহানগর বিএনপি সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি সদস্য শিল্পপতি শামসুল আলম, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর প্রমুখ। ২০১৪ সালে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলুর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ আবুল হানিফ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)-এর আরিফ মঈনুদ্দীন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আহমেদ নাজির। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত যোগাযোগ-সার্বজনীন ইমেজ আর নতুন ভোটার আকর্ষণে সফল প্রার্থীই হতে পারবেন এ আসন থেকে জয়ী। এমনটাই ভোটারদের অভিমত।

 

সর্বশেষ খবর