রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ব্যতিক্রমী এমপি পীর মিসবাহ সুনামগঞ্জ সদরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

ব্যতিক্রমী এমপি পীর মিসবাহ সুনামগঞ্জ সদরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী

পাঁচ বছরে সুনামগঞ্জ সদর আসনের এমপি পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ নিজেকে এবারের ভোটযুদ্ধে অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে নিয়ে এসেছেন। সবার মুখে এক কথা, তিনি সৎ, বিনয়ী ও পরিশ্রমী এক সেবক। দলমত নির্বিশেষে সবার সঙ্গে মিষ্টি ব্যবহারে আপন করে নেওয়ার গুণ যেমন রয়েছে, তেমনি ভোটারদের মাঝেও ইমেজ রয়েছে প্রবল। সততার সঙ্গে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছেন। ঘরে ঘরে ছুটে গেছেন যখন-তখন। কেবল তার অর্থবিত্ত নেই। তুমুল জনপ্রিয়তা আছে। আচার-আচরণে তিনি কাউকে কষ্ট দেওয়া দূরে থাক, ন্যূনতম অহঙ্কার নিয়ে পথ হাঁটেননি। নিজেকে একদম বদলাননি। সাধারণ সহজ সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ সব দুর্নীতি ও অপকর্ম থেকে নিজেকে যেমন দূরে রেখেছেন তেমনি না গড়েছেন কোনো সিন্ডিকেট, না নিজে কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যে হাত বাড়িয়েছেন। তার পরিবারও এসব থেকে দূরে থেকেছে। তাই তার ইমেজ ক্লিন ও জনপ্রিয়তায় শীর্ষে।

গত মাসে সুনামগঞ্জে অনুষ্ঠিত স্মরণকালের বিশাল এক জনসভায় জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ কর্তৃক পীর মিসবাহকে আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার বিষয়টিও ভোটারদের মাঝে প্রভাব ফেলেছে। মনোনয়ন নিয়ে নির্ভার মিসবাহ এখন চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী এলাকা।

এদিকে, বিরোধী দলের সংসদ সদস্য হয়েও পীর মিসবাহ তার আমলে সুনামগঞ্জ সদর আসনে উন্নয়নে অতীতের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা। রাস্তাঘাট, সেতু-কালভার্ট, অবকাঠামো, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ নানা খাতে হওয়া দৃশ্যমান উন্নয়নের সুফল ভোগ করছেন সাধারণ মানুষ। যে কারণে আগামী নির্বাচনে মানুষের সমর্থন তার দিকে যাবে বলে মনে করছে মহাজোট। সব জনমত জরিপে যেমন তিনি এগিয়ে তেমনি তার বিরুদ্ধে সুনাম ছাড়া কোনো অভিযোগ নেই মাঠে। তিনি সব ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, ভোট কেন্দ্রে ও গ্রামে গ্রামে নির্বাচন সামনে রেখে নারী-পুরুষের শক্তিশালী কমিটিও করেছেন। তার এক ডাকেই হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয় যে কোনো সময়। ভদ্র বিনয়ী হলেও যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনতাকে নিয়ে বার বার সাহসের সঙ্গে রুখে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে পীর মিসবাহর অবস্থান ছিল স্পষ্ট। এতে স্বস্তিতে ছিলেন সাধারণ মানুষ। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, মাস্তান আশ্রয়-প্রশ্রয় পায়নি তার কাছে। নিজ দল, জোটের পাশাপাশি ভিন্নমতের মানুষের সঙ্গেও পারস্পরিক সহাবস্থান ও শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে চলেছেন তিনি। একজন সংসদ সদস্যের এমন সাদামাটা চালচলন সাধারণ মানুষকে মুগ্ধ করেছে। তার এই সততা, কর্মনিষ্ঠা, উন্নয়নের পেছনে ছুটে চলার কারণে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে শহর থেকে গ্রামের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। বিএনপিও তাকেই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছে। এদিকে, অনেক সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন রাজধানীকেন্দ্রিক হলেও পীর মিসবাহ পুরো সময়টাই সপরিবারে সুনামগঞ্জে অবস্থান করেন। তার হাছননগরের পারিবারিক বাসার সদর দরজা মানুষের জন্য সার্বক্ষণিক খোলা থাকে। কোনো মাধ্যম ছাড়াই প্রতিদিন সুখ-দুঃখের কথা জানাতে শ শ সাক্ষাত্প্রার্থী আসেন তার সঙ্গে দেখা করতে। গত পাঁচ বছর পীর মিসবাহ প্রায় প্রতিদিন রুটিন করে নির্বাচনী এলাকায় পরিদর্শন করেছেন। সব স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের অভাব, অভিযোগ, উন্নয়ন-চাহিদা শুনেছেন। সেই মাফিক সমাধানের চেষ্টা আন্তরিকভাবে করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের তথ্যমতে, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সাধারণ মানুষের যাতায়াত সহজ করতে পীর মিসবাহর আমলে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ব্যাপকহারে সংস্কার ও পাকাকরণ হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। সদর উপজেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে প্রায় ৫০ কিলোমিটার সড়ক নতুন করে পাকা করা হয়েছে। বিশ্বম্ভরপুরে নতুন সড়ক পাকাকরণ ও সংস্কার হয়েছে ৬০ কিলোমিটারের বেশি। দুই উপজেলায় আরও ৩১ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তি আহ্বান করেছে এলজিইডি। যেগুলোর কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে বলে জানা গেছে। দুই উপজেলার জন্য আরও ২৫ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের বিষয়টি প্রকল্পভুক্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ সহজ করতে চলতি নদী ও মরা সুরমা নদীর ওপরে দুটি করে চারটি বড় সেতু প্রকল্পভুক্ত হয়েছে পীর মিসবাহর চেষ্টায়। সেতুগুলো নির্মাণ হলে দুটি উপজেলার মানুষ সহজে সড়কপথে জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবেন। সদর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামে ২ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ ও গৌররাং ইউনিয়নের হরিনগরে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে অপর একটি সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করেছে এলজিইডি। দুই উপজেলায় আরও ৩০টি কালভার্ট নির্মাণ হয়েছে গত পাঁচ বছরে।

পীর মিসবাহর প্রচেষ্টায় দুই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের প্রাণের দাবি হিসেবে পরিচিত আবুয়া নদীর ওপর ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে দরপত্র আহ্বান করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সাচনা-সুনামগঞ্জ সড়ক থেকে ফতেপুর-গৌররাং সড়ক নির্মাণ ও সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়ক প্রশস্তকরণের প্রস্তাব একনেকে অনুমোদন হয়েছে। এ সড়কের রংগিয়ারচর নদীর ওপর সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। পীর মিসবাহর আমলে আবদুজ জহুর সেতু থেকে টুকেরবাজার সংযোগ সড়ক নির্মাণের কারণে সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ও জামালগঞ্জের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এদিকে, সুরমা নদীর উত্তরপাড়ের তিনটি ইউনিয়ন ও দোয়ারাবাজার উপজেলার একাংশকে জেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করতে পীর মিসবাহর প্রচেষ্টায় সুরমা নদীতে হালুয়ারঘাট-ধারারগাঁও সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই হয়েছে। লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের হালুয়ারগাঁও থেকে মোল্লাপাড়া ইউনিয়নে সড়ক নির্মাণকাজ চলমান, যা শহরের বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহার হবে। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। বহুতল থানা ভবনের কাজও শেষ পর্যায়ে। জেলা সদরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণকাজ চলছে। জেলা সদরে ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এবং প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি হিসেবে পরিচিত সুরমা নদীতে সেতু নির্মাণ পীর মিসবাহর আমলে উদ্বোধন হয়েছে। একপর্যায়ে সেতুটির ধাপের কাজ আটকে গেলে পীর মিসবাহর প্রচেষ্টায় পুনরায় শুরু হয়। তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রী সেতুটি উদ্বোধন করেন। সুনামগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আবদুজ জহুরের নামে পীর মিসবাহর প্রস্তাবে সেতুটির নামকরণ করা হয়। এ ছাড়া সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক দুই পাশে তিন ফুট করে ছয় ফুট প্রশস্তকরণের দাবিতে জেলার অপরাপর সংসদ সদস্যদের সঙ্গে অগ্রণী সোচ্চার ভূমিকা ছিল পীর মিসবাহর। সম্প্রতি এই প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হওয়ায় সড়কটি আগামীতে মহাসড়কে রূপান্তর হবে। এর সুবিধা ভোগ করবেন জেলাবাসী। জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার যে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন, সেখানে পীর মিসবাহর ভূমিকা ছিল।

গত পাঁচ বছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় কাঁচা রাস্তা নির্মাণে ৭০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় সোলার প্যানেল বিতরণের জন্য ২৪২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ খাতে আরও তিন কোটি ২০ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ ছিল। টিআর উন্নয়ন প্রকল্পে ৩৪০ মেট্রিক টন চালের উল্লেখযোগ্য অংশ ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে। এ খাতে আরও সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এসব খাতে সাধারণত এই বরাদ্দ দিয়ে ‘গায়েবি’ প্রকল্প দেখিয়ে বরাদ্দ হালাল করার যে অলিখিত রীতি সমাজে চালু আছে সেই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে সরকারি বরাদ্দের অর্থ জনগণের উন্নয়নে ব্যবহার করেছেন পীর মিসবাহ। এতে সদর আসনের গ্রামীণ অবকাঠামো শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পেরেছে। টিআরের বরাদ্দ থেকে ২৪০ মেট্রিক টন চাল ও তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সোলার প্যানেল বিতরণ করা হয়েছে। এসব সোলার প্যানেলের মাধ্যমে গ্রামের অতিদরিদ্র প্রান্তিক শ্রেণির মানুষের ঘর আলোকিত হয়েছে। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দুই উপজেলার ৫১টি ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ হয়েছে গত পাঁচ বছরে। যাতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের মাধ্যমে কৃষির উন্নয়নে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মিছাখালী নদীতে বোরো ফসল রক্ষার জন্য ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের দীর্ঘতম রাবারড্যাম নির্মাণের কারণে সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আঙ্গারুলি ও খরচার হাওরের প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমির বোরো আগাম বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এই বিভাগ থেকে দুই উপজেলায় ১৫ কিলোমিটার খাল খননের কারণে সেচের শুকনো মৌসুমে সেচসুবিধা পেয়েছে কৃষিজীবী মানুষ। কয়েকটি স্লুইসগেট, কালভার্ট নির্মাণসহ গত পাঁচ বছরে এই বিভাগ থেকে শত কোটি টাকারও বেশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন হয়েছে। 

প্রতিটি বোরো মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে হাওরের ফসল রক্ষায় শত কোটি টাকার ফসল রক্ষাবাঁধ নির্মাণ হয়েছে দুই উপজেলার। ৪৪ লাখ টাকা ব্যয় করে বালুর প্রটেকশন দেওয়ায় বিলীন হওয়ার পথে থাকা শহরের ঐতিহ্যবাহী লঞ্চঘাট রক্ষা পেয়েছে। প্রায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজ করা হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ বিদ্যালয়ে চারতলা ১০টি ভবন রয়েছে। ছয়টি মাদ্রাসায় চারতলা ৬টি ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন। দুই উপজেলার ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণ হয়েছে। পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস নির্মাণ হয়েছে। তার আমলে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দিগ্রেন্দ্র বর্মণ ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণ হয়েছে। এ খাতে কয়েক শ কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। পীর মিসবাহর আমলে আমূল বদলে গেছে সাধারণের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার একমাত্র আশ্রয়স্থল সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল। ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ৮ তলাবিশিষ্ট সুবিশাল একটি ভবন নির্মাণ শেষ হয়ে এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। পীর মিসবাহর প্রচেষ্টায় ভবনের তৃতীয় তলায় আইসিইউ ও সিসিইউ ইউনিট স্থাপনের কাজ চলছে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে গরিব মহিলাদের মাঝে কয়েক কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ করেছেন তিনি। সংসদ সদস্যের ঐচ্ছিক তহবিল থেকে প্রকাশ্যে গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে সহায়তার টাকা বিতরণ করেছেন, যার নজির অতীতে খুব একটা দেখা যায়নি। অসচ্ছল মানুষের জন্য শহরে হাজীপাড়ায় একটি আধুনিক ফিজিওথেরাপি সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে।

সংসদ সদস্য থাকাকালীন নির্বাচনী এলাকার মানুষের জন্য আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন পীর মিসবাহ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— জেলা সদরে একটি মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউট স্থাপন। রেললাইন সম্প্রসারণে সংসদে দাবি জানিয়েছেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে রেললাইন স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য রেলমন্ত্রী রেল বিভাগের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি পাঁচ বছরে সব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। আর দুস্থদের স্বচ্ছতার সঙ্গে দিয়েছেন আর্থিক অনুদান।

সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর মিসবাহ বলেন, অতীতের সৎ রাজনীতির ঐতিহ্য লালন করে যারা প্রয়াত হয়েছেন আমি তাদের অনেকের কর্মী ছিলাম। সততার সবক আমি তাদের কাছ থেকে পেয়েছি। এমপি হয়ে তাদের সেই শিক্ষায় চলার চেষ্টা করছি। সবার সঙ্গে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বজায় রেখে চলার চেষ্টা করি। মানুষে মানুষে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। ব্যক্তিগত স্বার্থে আমার কোনো ভাই বা আত্মীয় বন্ধু আমার পদক ব্যবহার করেন না। পীর মিসবাহ বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পারস্পরিক স্বার্থের সংঘাত না থাকায় সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে কোনো অসুবিধা হয় না। আমি সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করি না। সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনৈতিক কাজে ব্যবহার করতে চাপ দিই না। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ‘শাসক হতে নয়, সেবক হতে এসেছি’ এই প্রতিশ্রুতি মানুষকে দিয়েছিলাম। তা পূরণের চেষ্টা করেছি। আমি আশাবাদী আগামী নির্বাচনে মানুষ আমাকে তাদের ভালোবাসা দিয়ে সিক্ত করবেন।

সর্বশেষ খবর