সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

উন্নয়নের পুঁজিতে হাফ ডজন বিএনপির ভরসা ঐক্যে

নেয়ামত হোসেন, চাঁদপুর

উন্নয়নের পুঁজিতে হাফ ডজন বিএনপির ভরসা ঐক্যে

মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা নিয়ে চাঁদপুর-২ সংসদীয় আসন। এ আসনের মতলব উত্তর উপজেলায় ভোট শক্তির বিবেচনায় আওয়ামী লীগ এগিয়ে। এ ছাড়া দুই মেয়াদে দলের সংসদ সদস্য থাকায় এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ছিল ধারাবাহিকতা। আগামী সংসদ নির্বাচনে একেই পুঁজি হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীন দলটি। তবে দলের মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছেন বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের বিশিষ্টজন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও মতলব কলেজ সংসদের নির্বাচিত সাবেক কমনরুম সম্পাদিকা জাকিয়া সুলতানা শেফালী, শিল্পপতি এম ইশফাক আহসান, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের অর্থ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খোকা পাটওয়ারী ও দীপু চৌধুরী প্রতি সপ্তাহে এলাকায় এসে জনসংযোগ করে আগামী নির্বাচনে নৌকা ও নিজেদের পক্ষে জনমত আনার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো চাঁদপুর-২ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মো. নুরুল হুদার কাছে হেরে যান। অবশ্য  ’৯৬-এর ১২ জুনের নির্বাচনে মায়া সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। ২০০১ সালের নির্বাচনে মো. নুরুল হুদার কাছে মায়া আবারও পরাজিত হন। ২০০৭ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মায়া দেশের বাইরে থাকায় ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করেন এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মো. রফিকুল ইসলাম।

বিগত সংসদ নির্বাচনগুলোতে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ চারবার, বিএনপি তিনবার ও জাতীয় পার্টি দুবার বিজয়ী হয়।  স্বতন্ত্র প্রার্থী একবার আসনটি পায়। সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন। অন্যদিকে বিএনপির প্রভাবশালী সাবেক সংসদ সদস্য মো. নুরুল হুদার মৃত্যুর পর এই আসনে দলটি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে ধানের শীষ প্রতীকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শুককুর পাটওয়ারী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন,  সাবেক সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী নুরুল হুদার ছেলে অধ্যাপক তানভীর হুদা এলাকায় নিয়মিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। অপরদিকে জাপার কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান এমরান হোসেন মিয়া ও অ্যাডভোকেট শামীম এলাকায় নিয়মিত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিতে অংশগ্রহণ করছেন। জাতীয় পার্টির শাসনামলে এই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) শামছুল হক। তিনি ওই সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীও ছিলেন।

জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শুককুর পাটওয়ারী বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেলে ও জনগনের ভোটাধিকার নিশ্চিত হলে  ধানের শীষের বিজয় উপহার দিতে পারব ইনশা আল্লাহ।

বিএনপির  নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের আগ্রহের কারণে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা দাবি করছি।

জাকিয়া সুলতানা শেফালী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত অসংখ্যবার কারাবরণ করেছি। এখনো বহু মামলা আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা করছি। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। থানা যুবলীগের দফতর সম্পাদক জসিমউদ্দিন সরকার বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মনোনয়ন পরিবর্তন প্রয়োজন। কারণ বিশেষ একটি গোষ্ঠী নিজেদের মতো করে দল চালাচ্ছেন। শিল্পপতি ইশফাক আহসান বলেন, মনোনয়ন পেলে বিজয় সুনিশ্চিত।

সর্বশেষ খবর