বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

দুই আসনে প্রস্তুত দুলু

নাটোর প্রতিনিধি

দুই আসনে প্রস্তুত দুলু

সারা দেশের ন্যায় নাটোরেও চলছে জাতীয় নির্বাচনের হাওয়া। চলছে রাজনৈতিক কার্যালয় ছাপিয়ে পাড়া-মহল্লায় ভোটের হিসাব নিকাশ। আগাম কৌশলী প্রচারণায় নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিপরীতে কারা হতে চলেছেন বিএনপির প্রার্থী, তা চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। বিএনপির তৃণমূল ও জেলার কয়েকজন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নাটোর জেলার ৪টি সংসদীয় আসনের ২টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাটোর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসন দুটি হলো নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত নাটোর-২ এবং বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত নাটোর-৪। এর মধ্যে নাটোর-২ আসনে দুলু বিএনপির নিশ্চিত প্রার্থী। অঘোষিতভাবে নাটোর-২ আসন থেকেই নির্ধারিত হয় বড় দুটি দলের জেলার রাজনীতি। মূলত এ কারণেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছে আসনটি ধরে রাখা প্রেস্টিজ ইস্যু।

নাটোর জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, আমিও তিনবার এমপি এবং টানা পাঁচ বছর মন্ত্রী ছিলাম, বর্তমানে যা যা হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে কেউ এমন কোনো অভিযোগ করতে পারবে না। আমি এক সদর উপজেলাতেই এক সঙ্গে ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও করেছিলাম, সবাই জানে কারও তখন একটাকাও খরচ হয়নি অথচ এখন পিয়ন থেকে শিক্ষক নিয়োগ প্রতি ক্ষেত্রেই নাকি সংসদ সদস্যদের লাখ লাখ টাকা দিতে হয় এর চাইতে লজ্জার আর কী আছে? তিনি বলেন, আমি নাটোরের গ্রামগঞ্জে শত শত কিলোমিটার পাকা রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট করেছি, অবহেলিত হালতি বিলে কংক্রিটের রাস্তা করেছি, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র  করে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি, নাটোরে শিশু পার্ক করেছি, দলমতনির্বিশেষে সব মানুষের বিপদে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি, ফলে নাটোরের জনগণ আমার পাশে আছে। তাই ভীত হয়ে সরকার আমার বিরুদ্ধে শতাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক  আমিনুল হক বলেন, গত সাড়ে চার বছর নাটোরে দুলুকে আসতে দেওয়া হয়নি। দুলু নাটোর আসলেই পুলিশ দিয়ে বাধা দেওয়া হয়েছে। হয়রানি করা হয়েছে। তারপরও সবার দুলুর পক্ষে সহানুভূতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে দুলুর পক্ষে নাটোর সদরে ভোট বিপ্লব হবে। তাছাড়া বর্তমান সরকারের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, বাকস্বাধীনতা হরণ, এসব কারণে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমে বিএনপির জনপ্রিয়তা কয়েক গুণ বেড়েছে। এই জেলার মানুষ বর্তমানে বিএনপির দিকেই ঝুঁকছে।

নাটোর জেলা বিএনপির সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকলে নাটোরের জনগণ কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। আজ পর্যন্ত দুলু কোনো ভোটে হারেনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর