সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মনোনয়ন চান দুই ভাইসহ ৮ জন

মোস্তফা কাজল

মনোনয়ন চান দুই ভাইসহ ৮ জন

বেনারসি ও তাঁতশিল্প সমৃদ্ধ রূপনগর, ভাসানটেক  ও তুরাগ নদবেষ্টিত পল্লবী থানা (উত্তর সিটির ওয়ার্ড নং ২, ৩, ৫ ও ৬) নিয়ে ঢাকা-১৬ আসন গঠিত। দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যে যে কয়টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল, তার মধ্যে ঢাকা-১৬ একটি। এ আসন থেকে আলহাজ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেবার দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। বর্তমানে এ আসনটিতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির নবীন-প্রবীণ প্রার্থীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। করছেন ব্যাপক গণসংযোগ। বিগত সময়ের কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে বাজার, রাস্তার মোড়ে মোড়ে জনসমাবেশ করে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা প্রতিনিয়ত সভা-সমাবেশ ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নের বিভিন্ন দৃষ্টান্ত তুলে ধরছেন। গঠন করছেন ভোটকেন্দ্রিক কমিটি। অন্যদিকে, বিএনপি প্রার্থীরা প্রশাসনিক জটিলতার কারণে প্রকাশ্যে না নামলেও কৌশলী হয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। নানা চিত্র তুলে ধরে সাধারণ জনগণের কাছে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে আহ্বান করছেন। আসনটিতে আওয়ামী লীগ থেকে পাঁচ ও বিএনপি থেকে দুই  প্রার্থী প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি দলীয় হাইকমান্ডে লবিং-গ্রুপিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানে স্বতন্ত্র এক প্রার্থীও সাবেক কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন বেনু নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের দুই সহোদরও প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। তারা হলেন—এখলাস উদ্দিন মোল্লা ও ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা এমপি।

আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে আলহাজ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। মহাজোট সরকারের এমপি তিনি। বর্তমানে পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত ১০ বছর এমপি থাকার পরও ছিলেন মাঠে সক্রিয়। দলকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত করেছেন। গঠন করছেন নির্বাচনকেন্দ্রিক দলীয় কেন্দ্র কমিটি। আসনটিতে ইলিয়াস মোল্লা ছাড়াও তার বড় ভাই এখলাস উদ্দিন মোল্লা, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ফকির মহিউদ্দিন, শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, কৃষক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মো. মাকসুদুল ইসলাম মনোনয়ন পেতে মাঠে কাজ করছেন। এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার নির্দেশনার একচুল বাইরে যাইনি। আসন্ন নির্বাচন দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি রক্ষার নির্বাচন; মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দমনের নির্বাচন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো বিকল্প নেই। মনোনয়নপ্রত্যাশী এখলাস উদ্দিন মোল্লা জানান, আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে মাঠে রয়েছি। আসন্ন সংসদ নির্বাচনের জন্য দলকে পুরোপুরি সংগঠিত করছি। একজন মাঠের মানুষ হিসেবে মনোনয়ন পেলে এই আসনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে সক্ষম হব। এ ছাড়া মনোনয়নের বিষয়ে দলের যে কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেব। বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা যায়, এ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াই দলীয় প্রার্থী। তিনি এরই মধ্যে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকায় তার শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে পোস্টার, লিফলেট সাঁটানো হয়েছে। এ ছাড়া এ আসনে ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কমিশনার আহসান উল্লাহ হাসান মনোনয়নপ্রত্যাশী। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দুজনই প্রার্থী হয়ে মাঠে কাজ করার পাশাপাশি লবিং-গ্রুপিং শুরু করেছেন। সাবেক কমিশনার হাসান  দুঃসময়ে দলের হাল ধরে এ এলাকার মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা মরহুম ফকির সফর উদ্দিনের ছেলে ফকির মহিউদ্দিন প্রার্থী হিসেবে এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন। দিনরাত এলাকায় গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। এস এম মান্নান কচি বলেন, আমি এলাকার অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সহায়তার জন্য সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর