সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

রশির টানে আওয়ামী লীগ বিএনপির ঘরে আগুন

চট্টগ্রাম চেম্বারই যেন মনোনয়নের নিয়ামক

রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম

রশির টানে আওয়ামী লীগ বিএনপির ঘরে আগুন

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে গেল ৫টি সংসদীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২৫ বছর ধরেই এমপি হন দুই ব্যবসায়ী নেতা। এরা দুজনেই আবার চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (সিসিসিআই)-এর সাবেক সভাপতি। এবারের প্রার্থিতার আলোচনাতেও এরাই শীর্ষে। তবে এবারে এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থিতায় আছে দল ও জোট শরিকের ভিন্নমাত্রিক রশি টানাটানি। অন্যদিকে বিএনপিতে একক প্রার্থিতা থাকলেও শীর্ষ নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে আছে ছাইচাপা আগুন। বিজয়ের মুকুট অর্জন তাই দুই বড় দল বা জোটের জন্যই ‘চ্যালেঞ্জিং’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক সচেতনরা।

’৯১-এর পর থেকে পাঁচ সংসদে ২৫ বছর এই আসনে এমপি নির্বাচিত হন যথাক্রমে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের এম এ লতিফ। এই আসনে চট্টগ্রাম চেম্বারই যেন মনোনয়নের নিয়ামক। অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় এই আসনে ব্যবসায়ী-রাজনীতিবিদেরই যেন প্রার্থিতায় অগ্রাধিকার মিলছে বলে অনেকের ধারণা। তিনবারের এমপি খসরুকে হারিয়ে ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে প্রথম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়েই চমক দেখান লতিফ। দীর্ঘদিন ধরে চিটাগাং চেম্বার রাজনীতির ‘নিয়ন্ত্রক’ খ্যাত এম এ লতিফের দুই মেয়াদে এমপি থাকাকালে একদিনের জন্যও সরকার বিরোধী আন্দোলন কিংবা শ্রম অসন্তোষে চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ হয়নি। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাংশ বেশ অসন্তুষ্ট তার ওপর। সব মিলিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রাপ্তি নিয়েও পাল্টাপাল্টি বক্তব্য আছে অনেকের। অন্যদিকে বিএনপিতে এই আসনে সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর কোনো বিকল্প নাম আলোচনায়ও নেই। উপরন্তু আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের শরিক প্রার্থী আছে অর্ধডজন। অবশ্য, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে এই আসনে কাজে লাগাতে চায় আওয়ামী লীগ।

প্রার্থী যারা : আসনটিতে খসরুই বিএনপির একক প্রার্থী। আওয়ামী লীগে প্রার্থিতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আলোচনায় আছেন গেল দুই বছরের বিজয়ী এমপি লতিফই। তবে এর বাইরেও মহানগর আওয়ামী লীগের দুই সহসভাপতি যথাক্রমে খোরশেদ আলম সুজন ও আলতাফ হোসেন বাচ্চু, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাসদ (ইনু) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, জাতীয় পার্টির মহানগর সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ এবং সাবেক সভাপতি, চিটাগাং চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহীম এবং ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যক্ষ জয়নুল আবেদিন জুবায়েরের নাম আলোচিত। এম এ লতিফ জানান, ‘এবারও নেত্রীর আস্থার মনোনয়ন পেলে নৌকার জয়’ অর্জন করতে পারবেন। অন্যদিকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জনগণ ভোটের সুযোগ পেলে বিএনপিরই নিরঙ্কুশ বিজয় হবে।’

সর্বশেষ খবর