সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ চায় বিজয় ধরে রাখতে একাট্টা বিএনপি

খায়রুল ইসলাম, গাজীপুর

আওয়ামী লীগ চায় বিজয় ধরে রাখতে একাট্টা বিএনপি

গাজীপুর-৪ কাপাসিয়া আসনটি স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সময়েই আওয়ামী লীগের দখলে। আসনটিতে আওয়ামী লীগের জয়ের ইতিহাস ভাঙতে একাট্টা বিএনপি কৌশলে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা চায় তাদের হারানো আসনটি ফিরে পেতে। এ আসনের বর্তমান এমপি বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি। এ আসনে মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যেই ভোটের লড়াই হবে।

১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ জাসদ প্রার্থী সুলতান উদ্দীন আহম্মদকে পরাজিত করেন। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে সিপিবির প্রার্থী মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বিজয়ী হয়। ১৯৮৮ সালের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ওবায়েদ উল্লাহ, ১৯৯১ সালের বিএনপির প্রার্থী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দীন আহমদ নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তানজীম আহমদ সোহেল তাজ নির্বাচিত হন। তবে ২০১২ সালে সোহেল তাজ প্রথমে মন্ত্রিত্ব ও পরে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করায় উপ-নির্বাচনে তার বড় বোন সিমিন হোসেন রিমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সিমিন হোসেন রিমি পুনরায় আসনটি থেকে এমপি নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান এমপি সিমিন হোসেন রিমি। একই দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী তারই ফুফাতো ভাই ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আলম আহমেদ। দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান। অপরদিকে, ব্রিগেডিয়ার (অব.) আ স ম হান্নান শাহের মৃত্যুর পর উপজেলা বিএনপির হাল ধরেছেন তার পুত্র শাহ রিয়াজুল হান্নান। তিনি দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কৌশলে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন চাইবেন। তবে বিকল্প হিসেবে কাপাসিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান পেরা প্রার্থী হতে পারেন। এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হতে পারেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ারা বেগম।

সর্বশেষ খবর