শিরোনাম
শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ঢাকা-১১

এ কে এম রহমতউল্লাহতেই আস্থা রাখছে আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

এ কে এম রহমতউল্লাহতেই আস্থা রাখছে আওয়ামী লীগ

একেএম রহমতউল্লাহ

ঢাকা-১১ (বাড্ডা-রামপুরা-ভাটারা) আসনে সংসদ নির্বাচনে এ কে এম রহমতউল্লাহতেই আস্থা রাখছে আওয়ামী লীগ। নৌকার প্রার্থী হিসেবে একাদশে বিজয়ী হলে ৫ম বারের মতো এমপি হবেন তিনি। এ আসন থেকে যে কয়জন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন তার মধ্যে সব জরিপে এগিয়ে থাকায় আবারও তিনিই নৌকার হাল ধরছেন বলে দলের নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে। রহমতউল্লাহ ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি। 

ঢাকা মহানগর উত্তরের রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা থানা নিয়ে ঢাকা-১১ আসন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্তর্গত রামপুরা থানার ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড, বাড্ডা থানার ২১ নম্বর ওয়ার্ড ও বাড্ডা ইউনিয়ন এবং ভাটারা থানার বেরাইদ, সাঁতারকুল ও ভাটারা ইউনিয়ন এ আসনে পড়েছে। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এই এলাকা ঢাকা-৫ আসনভুক্ত ছিল। নবম জাতীয় নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্বিন্যাস করে বাড্ডা, রামপুরা ও ভাটারা থানার অংশ নিয়ে ঢাকা-১০ আসন গঠন করা হয়। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় নির্বাচনের আগে সীমানা সংশোধন করে এ এলাকা নিয়ে ঢাকা-১১ আসন গঠিত হয়। 

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ রাজনীতিবিদের প্রয়োজন। সেই হিসেবে এ আসনে রহমতউল্লাহর বিকল্প কোনো প্রার্থী গড়ে ওঠেনি। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ ভূমিকা পালন করে হাইকমান্ডের আস্থাও তিনি অর্জন করেছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক এই সদস্য অবিভক্ত ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতির পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এলাকার নেতা-কর্মী ও জনগণের কাছেও তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। নির্বাচনী এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নেও তিনি সব সময় সক্রিয়। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার বিকল্প দেখছেন না স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

গত দুই নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের রহমতউল্লাহ এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির এমএ কাইয়ুমকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। এ প্রসঙ্গে এ কে এম রহমতউল্লাহ বলেন, ‘আমি ২৬ বছর বয়সে গুলশান এলাকার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এর আগে রেবাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার নানা ছিলেন এখানকার চেয়ারম্যান। এটা আমাদের বাপ-দাদার এলাকা। কাজেই আমি স্থানীয় বাসিন্দা। আমরা পারিবারিকভাবেই এই এলাকার মানুষের সেবা করে আসছি। যতদিন বেঁচে আছি, ততদিন মানুষের সেবক হিসেবেই কাজ করতে চাই। আমি জনগণের কাছে নিতে নয়, দিতে এসেছি। নেত্রী আমাকে নৌকা দিলে জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হব।’ 

স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচন আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রহমতউল্লাহর ওপর ভরসা রাখছি। কারণ তিনি অভিজ্ঞ, দক্ষ ও পরীক্ষিত নেতা। তাকে নৌকা দেওয়া হলে জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ খবর