রবিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভোট গ্রহণের যত প্রস্তুতি

গোলাম রাব্বানী

ভোট গ্রহণের যত প্রস্তুতি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের পরে নির্বাচন কমিশনে চলছে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি। প্রায় ৭ লাখ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার তালিকা এখন ইসির হাতে। ইতিমধ্যে রিটার্নিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। এবার প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে সীমিত আকারে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হচ্ছে। এ জন্য পর্যাপ্ত ইভিএম মেশিনও প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যবস্থাও রয়েছে। ১১ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের জন্য সম্ভাব্য তারিখ রাখা হয়েছে। আর এই বৈঠকে ভোটের নিরাপত্তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৮ নভেম্বর মনোনয়ন দাখিল শেষ হবে। ২ ডিসেম্বর বাছাই হবে। ৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষ হবে আর ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা হাতে পাওয়ার পরেই ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ করবে ইসি। ২৩ ডিসেম্বর ব্যালটসহ নির্বাচনী মালামাল জেলায় জেলায় পাঠানো হবে। এ ছাড়া ১১ ডিসেম্বর ভোট কেন্দ্রের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে পাঠাবে ইসি। 

নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত শত কাজের ফর্দ ধরে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের ১৬ দিন আগে আইনশৃঙ্খলা মোতায়েন সংক্রান্ত পরিপত্র জারি হবে। ভোটের ৭ দিন আগে জেলা পর্যায়ে পাঠানো হবে নির্বাচনসামগ্রী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা, মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা এবং আইনশৃঙ্খলা প্রধানদের সঙ্গে ‘বিশেষ পর্যালোচনা বৈঠক’ কমিশন নির্ধারণ করবে। দ্বিতীয় দফা বৈঠক করে সেনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ‘টাইমফ্রেম’ নির্ধারণ করা হবে। এবার রিটার্নিং অফিসার ৬৬ জন। আর সহকারী রিটার্নিং  অফিসার থাকছে প্রায় ৬০০ জন। এক নজরে একাদশ সংসদ নির্বাচন : মোট ভোটার ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯ জন ও নারী ৫ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৫১ জন। এবারে ৩০০ আসনে ভোটের জন্য সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ৪০ হাজার ১৯৯টি, ভোটকক্ষ ২লাখ ৬হাজার ৫৪০টি। প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ৫টি করে ভোট কক্ষ থাকে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, প্রতি ভোট কক্ষে একজন করে সহকারী প্রিসাইডিং এবং প্রতিটি ভোট কক্ষে ২ জন করে পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। এক্ষেত্রে সব মিলিয়ে সাত লাখের মতো ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবে। প্রাথমিক হিসাবে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ৬ লাখ ৯৬ হাজার জন প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ২ লাখ ৬০ হাজার এবং পোলিং অফিসার ৪ লাখ ৩৬ হাজার জন। এ ছাড়া ৫ ভাগ অতিরিক্ত কর্মকর্তা প্রস্তুত রাখা হবে। সেই হিসেবে প্রিসাইডিং অফিসার ৪২ হাজার ২০৯ জন। সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৭৭ জন। পোলিং অফিসার ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩৪ জন। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর ৫ লাখেরও বেশি সদস্য প্রয়োজন হয়। গেল সংসদ নির্বাচনেও সশস্ত্রবাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর