মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ঢাকা-৬

মহাজোটে এক, আওয়ামী লীগ বিএনপিতে একাধিক

মাহবুব মমতাজী

মহাজোটে এক, আওয়ামী লীগ বিএনপিতে একাধিক

ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন একজন। তবে দলগতভাবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে রয়েছেন একাধিক প্রার্থী। এ আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসন থেকেই লাঙ্গল প্রতীকে ভোটে লড়বেন। ইতিমধ্যেই তিনি জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আটজন। সরকারের শরিক জাসদ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন একজন। আর বিএনপির পক্ষ থেকে নিয়েছেন চারজন। তবে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু আহমেদ মান্নাফি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও সাংস্কৃতিক সংগঠক জাফর আহমেদ জয়। জাসদ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন নব্বইয়ের গণঅভ্যুথানের অন্যতম ছাত্রনেতা ও জাসদের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম কাজী আরেফ আহমেদের ভাতিজি কাজী সালমা সুলতানা। আর বিএনপিতে ধানের শীষ প্রতীকে ভোটের মাঠে আলোচনায় আছেন সাবেক মন্ত্রী ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার।

বংশালের একাংশ, সূত্রাপুর, কোতোয়ালি, ওয়ারী আর গেন্ডারিয়া মিলিয়ে ঢাকা-৬ আসন। পরিসংখ্যান বলছে, নব্বইয়ের দশক থেকে ২০০৮ পর্যন্ত সব নির্বাচনে দুবার করে এ আসন দখলে রাখে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে মনোনয়ন পায় জাতীয় পার্টি। এবারও মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদকেই মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। গত নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট না গেলেও এবার তারা অংশ নেবে। একই সঙ্গে ২০-দলীয় জোটসহ নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও। সরেজমিন দেখা যায়, এ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিন’সহ বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত পোস্টার সেঁটেছেন। কেউ নিজে নির্বাচন করতে চান বলে পোস্টার সেঁটেছেন। কিন্তু বিএনপি বা ২০-দলীয় জোট অথবা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো নেতা নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো প্রকার পোস্টার সাঁটানো বা প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেখা যায়নি।

জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আমি ঢাকা-৬ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টি জোট করে ভোট করলে আগামীতেও আমি মহাজোট থেকেই মনোনয়ন পাব বলে আশাবাদী। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আবু আহমেদ মান্নাফি বলেন, দলের নেত্রী যাকেই মনোনয়ন দেবেন, তাকেই সবাই মেনে নেবেন। প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বলেন, এ আসনের প্রতিটি অলিতে গলিতে ছিল আমার বাবা সাদেক হোসেন খোকার বিচরণ। এখন তিনি অসুস্থ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন। তিনি এ এলাকার অভিভাবক হিসেবে মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলেন। আমিও সেই হাল ধরতে চাই। আওয়ামী লীগের অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন— ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ মিনু, সূত্রাপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. সহিদ এবং সাধারণ সম্পাদক গাজী আবু সাঈদ। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন—ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি হামিদুর রহমান হামিদ এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী লিটন।

সর্বশেষ খবর