মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
সুনামগঞ্জ-১

আওয়ামী লীগে প্রার্থীর ছড়াছড়ি বিএনপিতে নির্ভার নজির

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগে প্রার্থীর ছড়াছড়ি বিএনপিতে নির্ভার নজির

সুনামগঞ্জ-১ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় দুই দল থেকে এ পর্যন্ত রেকর্ড ২৫ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এদের মধ্যে ১৫ জনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলা নিয়ে গঠিত হাওর অধ্যুষিত এই আসনটি আয়তন এবং ভোটার সংখ্যার দিক থেকে বড়। ভোটার রয়েছেন  ৩ লাখ ৩০ হাজার ৫৫ জন। আর ভোটের পরিসংখ্যানে বড় দুই দলই প্রায় কাছাকাছি অবস্থানে। এমন অবস্থায় ‘শক্তিশালী’ প্রার্থী নির্বাচন জয়ের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রাখবে এখানে।

এ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে নিজ দলের এক ডজনেরও বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম-দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির অভিযোগ নিয়ে মাঠে সোচ্চার আছেন। যে কারণে প্রার্থী বদলের গুঞ্জনে জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে শীর্ষে সুনামগঞ্জ-১। রতনকে বাদ দিয়ে যে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হোক— এমন ঐক্যও রয়েছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বড় একটি অংশের মাঝে। এই পরিপ্রেক্ষিতে রতনকে দিয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বিএনপিকে মোকাবিলা করা হবে নাকি নতুন কাউকে নিয়ে আসা হবে, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন নেতা-কর্মীরা।

বর্তমান এমপি ছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছেন সাবেক এমপি অ্যাড. সৈয়দ রফিকুল হক সোহেল, কৃষক লীগের লিটন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. আক্তারুজ্জামান সেলিম, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রনজিত সরকার, অবসরপ্রাপ্ত সচিব বিনয় ভূষণ ভানু, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ নেতা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওসার, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মনজুর আহমদ, প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা শক্তিপদ রায় প্রমুখ। তাদের বাইরে মনোনয়ন বোর্ড মোকাবিলায় মূল প্রার্থীদের ‘গেটিস’ প্রার্থীও রয়েছেন বলে আলোচনা আছে।

এদিকে অপর বড় দল বিএনপি থেকে এ পর্যন্ত ৭ জন মনোনয়ন কিনলেও এই আসনের দুবারের সাবেক এমপি নজির হোসেন সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করে নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে লড়ার ‘সবুজ সংকেত’ নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অপর শক্তিশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল। লন্ডন থেকে আসা এই খবরে বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বড় অংশ এখন এক সময়ের সংস্কারপন্থি নজির হোসেনের বলয়ে। তবে ‘সবুজ সংকেত’ পাওয়ার বিষয়টিকে ‘নিছক প্রচারণা’ দাবি করে দলীয় মনোনয়ন হাসিল করতে চূড়ান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন ২০০৮-এর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ড্যাবের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ডা. রফিক আহমদ চৌধুরী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক। তাদের দুজনেরই দাবি, বিগত দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের ভূমিকার বিষয়টি মনোনয়ন বোর্ড বিবেচনায় আনবে এবং তারা অগ্রাধিকার পাবেন।

সর্বশেষ খবর