শিরোনাম
শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
বরিশাল-২

প্রার্থিতা নিয়ে বড় দুই জোটে ধোঁয়াশা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া)-এ বড় দুই জোটের প্রার্থিতা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মহাজোটের প্রধান দল আওয়ামী লীগের মো. শাহে আলম এবং জোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। এ ছাড়া জোটের আরেক শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মো. জহুরুল ইসলাম। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান দল বিএনপির পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ  সান্টু এবং সাবেক হুইপ শহীদুল হক জামাল। ওয়ার্কার্স পার্টির জহিরুলকে নিয়ে তেমন আলোচনা না থাকলেও মহাজোটের ব্যানারে আওয়ামী লীগের শাহে আলম নাকি জাতীয় পার্টির  সোহেল রানা এবং ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে বিএনপির সান্টু নাকি জামাল চূড়ান্ত প্রার্থী হবেন তা নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে দুই জোটে। প্রার্থীদের পাশাপাশি এই আসনের ভোটাররাও পড়েছেন বিভ্রান্তিতে।

বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনে এই আসন থেকে টিকিট পেয়েছিল মহাজোটের প্রধান দল আওয়ামী লীগ। এখানে আওয়ামী লীগের অবস্থান আগের চেয়ে সুসংহত হলেও এবার এই আসনের দিকে দৃষ্টি পড়েছে জাতীয় পার্টির। এবার তারা দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার জন্য এই আসনে মহাজোটের মনোনয়ন চাইছে। আওয়ামী লীগ মনোনয়ন ঘোষণার প্রথম পর্যায়ে এই আসনে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এর আগেই খবর ছড়িয়ে পড়ে জাতীয় পার্টির সোহেল রানাই হচ্ছেন বরিশাল-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী। কিন্তু ২৭ নভেম্বর রাতে এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শাহে আলমের নাম ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয় স্থানীয় জাতীয় পার্টি। ওই আসনের উজিরপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহিদ আলম জানান, বরিশাল-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টিকে যে ৪৫টি আসন দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে বরিশাল-২ অন্যতম।

সৈয়দ জাহিদ বলেন, ’৭২ সালের পর এই আসনে আওয়ামী লীগ এককভাবে কখনো বিজয়ী হতে পারেনি। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা এককভাবে তিনবার (’৮৪, ৮৬ ও ৯৬ সালে) এই আসনে এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে জাতীয় পার্টির সহায়তায় মহাজোট প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনিরুল ইসলাম মনি এবং ২০১৪ সালে মহাজোটের ব্যানারে তালুকদার মো. ইউনুস এমপি নির্বাচিত হন। জাতীয় পার্টি ছাড়া এই আসনে আওয়ামী লীগ ভোটের বৈতরণী পার করতে সক্ষম নয় দাবি করে শেষ পর্যন্ত বরিশাল-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীই মহাজোটের ব্যানারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে আশা স্থানীয় জাপার।

যদিও উজিরপুর-বানারীপাড়ায় আগের চেয়ে আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী এবং প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে জিততে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিকল্প নেই বলে দাবি দলটির নেতাদের।

সর্বশেষ খবর