সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
একান্ত সাক্ষাৎকারে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক

শেখ হাসিনার আলোয় আলোকিত আমরা

বিশেষ প্রতিনিধি

শেখ হাসিনার আলোয় আলোকিত আমরা

কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাই আমাদের স্বপ্নের ঠিকানা। তার হাত ধরেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনার হাত ধরে সফলতা এসেছে কূটনীতি, অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রে। বাংলাদেশের মধুর বন্ধন তৈরি করেছেন বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, শেখ হাসিনার আকাশছোঁয়া ইমেজের কাছে আমাদের নিজস্ব কোনো আলো নেই। আমরা হচ্ছি অনেকটা চাঁদের আলোর মতো। চাঁদ যেমন সূর্যের আলোয় আলোকিত আমরা তেমনি শেখ হাসিনার আলোয় আলোকিত। দেশের বিস্ময়কর উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে রেলমন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সফল নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি পৌঁছে গেছে ৭ দশমিক ৮৬-তে। বাস্তবায়ন হচ্ছে ১০০টি ইকোনমিক জোন। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে নজরকাড়া সাফল্য হিসেবে দেখা দিচ্ছে পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু এখন স্বপ্ন নয়, এক দৃশ্যমান বাস্তবতা। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন শেষ হলে দেশের প্রবৃদ্ধি আরও ১.২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। রেল যোগাযোগে যে বিস্ময়কর পরিবর্তন এসেছে তা সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রনায়োকচিত ও দূরদর্শী চিন্তার কারণেই। বিএনপির আমলে অবহেলিত রেলপথ এখন উন্নীত হচ্ছে আধুনিক বিশ্বের রেল ব্যবস্থাপনার আদলে। নতুন রেলকোচ ও ইঞ্জিন সংযোগ, নতুন রেললাইন নির্মাণ ও রেললাইন সংস্কার, নতুন ট্রেন সার্ভিস বৃদ্ধি এবং পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে ব্রিজ, ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইন, খুলনা-মোংলা রেললাইন, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে পর্যটননগরী কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল লাইন, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেললাইন, খুলনা-দর্শনা ডাবল লাইন নির্মাণের মাধ্যমে রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে আসবে অভাবিত সাফল্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন দেশের বড় বড় শহরে বুলেট ট্রেন চালু করবেন। যেমন ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বরিশাল-পায়রা, ঢাকা-দিনাজপুর, ঢাকা-সিলেট। রেলমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের জন্য কৃষি কার্ড, ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা করে কৃষকদের বিভিন্ন কৃষিজাত উপকরণে সহায়তা প্রদান করে জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষিবান্ধব প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিমধ্যে স্বীকৃতি পেয়েছেন। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ১৭ হাজার মেগাওয়াট। ভারতের পার্লামেন্ট কর্তৃক ছিটমহল বিনিময় চুক্তির অনুমোদন ও দুই দেশের মধ্যে ৬৮ বছরের সীমানা বিরোধের স্থায়ী সমাধান শেখ হাসিনারই দূরদর্শী নেতৃত্বের ফসল। ছিটমহল এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনা এখন এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সাফল্যের বর্ণনা তুলে ধরে রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলেই মানুষের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৭৫১ ডলারে উন্নীত হয়েছে। চরম দারিদ্র্যের হার ক্রমান্বয়ে ১৩ শতাংশে নামিয়ে আনাও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের পরিচয়। আজ গর্বের সঙ্গে আমরা বলতে পারি প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলারের ওপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে।

নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার কমানোর সূচকে শেখ হাসিনার সাফল্যে বিশ্ব আজ বিস্মিত। যার স্বীকৃতি হিসেবে সাউথ সাউথ পুরস্কার পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ইউএনএসডিজি পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। মুজিবুল হক বলেন, শেখ হাসিনার সঠিক দিক-নির্দেশনামূলক উন্নয়নের রাজনীতির কারণে ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে গেছে। সামনে লক্ষ্য ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করা। রেলমন্ত্রী বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালার ওপর ভরসা করে বলতে পারি শেখ হাসিনাই একমাত্র নেত্রী, যার ওপর নির্ভর করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার ইমেজ ও নেতৃত্বকে পুঁজি করে আবারও ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ ইনশা আল্লাহ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর