একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা হলফনামায় সম্পদের হিসাব উল্লেখ করে কমিশনে জমা দেন। এতে তাদের সম্পদের বিবরণে দ্বিগুণ ও তার বেশি সম্পদ রয়েছে এমন তথ্য রয়েছে। আবার অনেক এমপির সম্পদ না বাড়লেও সম্পদ রয়েছে স্ত্রীর নামে। এসব বিষয়ে চলছে চট্টগ্রামে নানা আলোচনা। নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ করা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পর্যালোচনায় ১১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
চট্টগ্রাম-৩ : মাহফুজুর রহমান মিতার সম্পদ বেড়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। ২০১৩ সালের হলফনামায় সম্পদ ছিল ৯ কোটি ৯৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫২ টাকা। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় মিতার সম্পদ বেড়ে হয়েছে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৭২২ টাকা।
চট্টগ্রাম-৪ : দিদারুল আলমের সম্পদও বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় ২৫ কোটি ৩৫ লাখ ৫১ হাজার ৭৬১ টাকা সম্পদ দেখালেও একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই প্রার্থী সম্পদ দেখিয়েছেন ৩৯ কোটি ৫১ লাখ ৫২ হাজার ৬৯০ টাকা।চট্টগ্রাম-৭ : ড. হাছান মাহমুদ চৌধুরীর সম্পদ প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। ২০১৩ সালে জমা দেওয়া হলফনামায় সম্পদ ছিল ১৪ কোটি ২১ লাখ ৯৪ হাজার ৯০৪ টাকা। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও প্রায় একই পরিমাণ সম্পদ দেখিয়েছেন তিনি।
চট্টগ্রাম-১০ : ডা. আফসারুল আমীনের ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের সময় সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৪০ লাখ ৩১ হাজার ৩২৯ টাকা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় তার সম্পদ দেখানো হয়েছে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৫৪ হাজার ৯৮৪ টাকা।
চট্টগ্রাম ১১ : এম এ লতিফের সম্পদ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ২০১৪ সালে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে জমা দেওয়া সম্পদের হিসাবে তার সম্পদ ছিল ৮ কোটি ২৯ লাখ ৮২ হাজার ৮২৮ টাকা। কিন্তু একাদশতম জাতীয় নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে তার সম্পদ দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ হাজার ১২৬ টাকা।
চট্টগ্রাম-১২ : শামসুল হক চৌধুরীর সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। ২০১৩ সালের হলফনামায় ২ কোটি ৩৫ লাখ ২২ হাজার ১৯ টাকার সম্পদ দেখালেও একাদশতম সংসদ নির্বাচনের জমা দেওয়া হলফনামায় সম্পদ দেখিয়েছেন ৫ কোটি ৯১ লাখ ২৩ হাজার ১৮৯ টাকা।
চট্টগ্রাম-১৩ : আনোয়ারা আসনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম-১৫ : আবু রেজা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন নদভীর সম্পদ বেড়েছে ১ কোটি ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৭৪৯ টাকা।
চট্টগ্রাম-১৬ : বাঁশখালী আসনে মুস্তাফিজুর রহমানের সম্পদ বেড়েছে ৮৫ শতাংশ।