বুধবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
বগুড়া-২

বগুড়ায় নৌকার মান্না এবার ধানের শীষে

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়ায় নৌকার মান্না এবার ধানের শীষে

দেশের ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ের শাহ সুলতান বলখির (রহ.) মাজার জিয়ারত করে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। নৌকা প্রতীক নিয়ে দুবার ভোট করে জয়ের দেখা না পেলেও এবার তিনি আশাবাদী ধানের শীষে। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বগুড়ায় জম্ম  তার ১৯৫১ সালে। ১৯৬৪ সালে কিশোর বয়সে ঢাকায় স্থায়ী হন। ১৯৬৬ সালে এসএসসি দেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৭২ সালে জাসদ ছাত্রলীগ থেকে চাকসুর জিএস নির্বাচিত হন মান্না। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ১৯৭৯ সালে জাসদ ছাত্রলীগ থেকে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন। বাসদ ছাত্রলীগ থেকে ১৯৮০ সালে নির্বাচন করে দ্বিতীয় দফায় ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯২ সালে আওয়ামী পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হন মান্না। ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে পর পর দুবার তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে শিবগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হন বিএনপির প্রার্থীর কাছে। ২০০১ সালে সর্বশেষ আওয়ামী লীগের টিকিটে প্রার্থী হয়ে অর্ধ লাখ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। সেবার বিএনপির প্রার্থী প্রয়াত রেজাউল বারী ডিনা ১ লাখ ১৬ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হন। ভোটে হারলেও কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে আসেন মান্না। বিভিন্ন কারণে আওয়ামী লীগ থেকে ধীরে ধীরে সরে গিয়ে তিনি নাগরিক ঐক্য গঠন করেন। পরে তিনি বিএনপির পক্ষে কথা বলেন। এই সময়ের ফাঁকে তিনি রাজনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায় ১৩টি বই প্রকাশ করেছেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে বসেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন হলে তিনি বিএনপির প্রার্থী হন। প্রার্থী হয়ে এলাকার মানুষের সঙ্গে তিনি ভোট ও দোয়া এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়েছেন। ধানের শীষের জয়ের বিষয়ে নির্বাচনী এলাকার বিএনপির দুই গ্র“পকে একত্র করে সভা করেছেন। দীর্ঘদিনের বিরোধ মিটিয়ে দেওয়ার পর থেকে মান্নার গুণচর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূল বিএনপিতে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর