শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ফের দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর লড়াই

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

ফের দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর লড়াই

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে ফের দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর জমজমাট লড়াইয়ের অপেক্ষায় এ আসনের ভোটাররা। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অন্যদিকে, বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। হেভিওয়েট এই দুই প্রার্থী ভিন্ন দলের হলেও আÍীয়তার সূত্রে তারা মামা-ভাগিনা। স্বাধীনতা-পরবর্তী ফরিদপুর-৩ আসনটি ছিল বিএনপির দখলে। এ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। ২০০৮ সালে প্রথমবার কামাল ইউসুফকে হটিয়ে নির্বাচিত হন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। আওয়ামী লীগে দলীয় কোন্দল না থাকলেও বিএনপিতে কিছুটা কোন্দল রয়েছে। সেই কোন্দলকে সামাল দিয়ে পুনরায় এ আসনটি দখলে নিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন দলটির নেতারা। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রার্থীর হ্যাটট্রিক জয় পেতে। ফরিদপুরের চারটি আসনের মধ্যে এ আসনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ আসনে বিগত দিনে যারাই এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তারা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে, সরকারের নানা অনিয়ম তুলে ধরে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্তির কথা বলে ভোট চাইছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনটি দলের নেতারা তাদের ‘প্রেসটিজ ইস্যু’ হিসেবে নিয়েছেন। কোনো নেতাই তাদের প্রার্থীকে হারতে দেখতে চান না। ফলে নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের নানাভাবে আকৃষ্ট করছেন তাদের প্রার্থীকে ভোট দিতে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ফরিদপুরে যে উন্নয়ন হয়েছে তারচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে গত ১০ বছরে। ফরিদপুরের উন্নয়নের রূপকার হচ্ছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তার কারণেই ফরিদপুর আজ সারা দেশে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। উন্নয়নের পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি নেই ফরিদপুরে। ফলে ফরিদপুর-৩ আসনের ভোটাররা মুখিয়ে আছে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে। বিএনপি নেতারা বলছেন, সারা দেশে আওয়ামী লীগের অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে তারা ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন। তাছাড়া বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রাখার বিষয়টিও তারা ভোটারদের সামনে তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করছেন। বিএনপি নেতারা মনে করেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ফরিদপুর-৩ আসনটি পুনরায় বিএনপি ফিরে পাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর