২৫ জুন, ২০১৮ ১১:৫০

পর্তুগালকে রুখতে ইরানের অস্ত্র 'ট্রিপল আর'

অনলাইন ডেস্ক

পর্তুগালকে রুখতে ইরানের অস্ত্র 'ট্রিপল আর'

সংগৃহীত ছবি

রাশিয়ার সারানস্ক স্টেডিয়ামে আজ বি-গ্রুপ থেকে মুখোমুুখি হচ্ছে পর্তুগাল ও ইরান।বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। আর এ ম্যাচে যে জিতবে দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পাবে সে দল। আর ড্র হলে বাদ পড়বে ইরান। এমন সমীকরণে আজ পর্তুগালকে রুখতে ইরানের অস্ত্র 'ট্রিপল আর'।

পর্তুগাল বর্তমানে ইউরো চ্যাম্পিয়ন। ইউরোর মতো বিশ্বকাপেও এগোচ্ছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দল। প্রথম ম্যাচ রোনালদোর বীরত্বে ড্র। দ্বিতীয় ম্যাচেও সিআর সেভেনের জাদুতে জয়। 

আর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইরানের মুখোমুখি তারা। ম্যাচের আগে আর্থিক মূল্যে দুদলের তুলনা টেনেছে পতুর্গালের এক বড় দৈনিক। তাতে দেখা যায়, ফুটবলে পুরো ইরান দলের সম্মিলত দাম ৪৮.৩ মিলিয়ন ইউরো। যেখানে রোনালদোর একার দামই পুরো ইরান দলের দ্বিগুণ! ১০০ মিলিয়ন ইউরো।

তথ্য হিসেবে এটা শুধু মজাদার নয়, বেশ আকর্ষণীয়ও বটে। কিন্তু এই মজার বিপরীতে একটা কর্কশ প্রশ্নও ভাসছে। যেখানে বলা হচ্ছে, পর্তুগাল যতই সিআর সেভেন ইঞ্জিনে নির্ভর করে বিশ্বকাপ দাপিয়ে বেড়াক না কেন তবু পর্তুগালের দ্বিতীয় রাউন্ড যাত্রা নিশ্চিত নয়। বরং গ্রুপের শেষ ম্যাচে তারা এমন এক এশীয় শক্তির সামনে, যারা ব্রাজিল বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার কালঘাম ঝরিয়ে ছেড়েছিল। আর রাশিয়ায় ঠিক একই কাজ করেছে ডিয়েগো কস্তা-আন্দ্রে ইনিয়েস্তার স্পেনের বিরুদ্ধেও।

তবে শঙ্কাটা যে জায়গায় তা হলো পর্তুগালের সাবেক কোচ কার্লোস কুইরোজ। যিনি বর্তমানে ইরানের কোচ। তাই রোনালদোদের অন্দরের খবর অনেকটাই জানেন কুইরোজ।

পুরনো শিষ্য রোনালদো আর পর্তুগাল দল নিয়ে ইরান কোচ বলেছেন, ‘পর্তুগাল শুধু বিশ্বকাপ কাঁপাতে আসেনি। বিশ্বকাপ তারা জিততেও এসেছে! আমি তো বলব ফেভারিট।’

বিশ্বকাপে আসার আগে অনকে বড় বড় ক্লাবে খেলা তারকাদের দেশে রেখে এসেছে। পর্তুগালের প্রসঙ্গ টেনে কুইরোজ বলেন, ‘আমাকে বলুন তো, বিশ্বের কয়টা দল বার্সেলোনা, মোনাকো, ইন্টারের মতো ক্লাব ফুটবলারকে বাইরে রেখে বিশ্বকাপ খেলতে আসার সাহস দেখায়? পর্তুগাল কিন্তু দেখিয়েছে। এটাই বোঝায়, তারা কতটা ভয়ঙ্কর দল। যে টিমে রোম্যান্স আছে। বাস্তবতাবোধ আছে। বিপক্ষকে সম্মান দেয়া আছে। আছে সাহস, কাঠিন্য, দায়বদ্ধতা আর একজন রোনালদো।’

এমন প্রশংসার পরই শক্তিশালী পর্তুগালকে ঠেকানোর অস্ত্রের কথা জানান কুইরোজ। যে ‘ট্রিপল আর’ অস্ত্র তিনি পর্তুগিজ শিবির থেকেই নিতে চাচ্ছেন। সেটা হল রোম্যান্স, বাস্তবতাবোধ আর সম্মান (রোমান্টিসিজম, রিয়ালিজম এবং রেসপেক্ট)।

বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান

সর্বশেষ খবর