রবিবার, ১৫ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটম্যান এবং হ্যারি কেইন...

বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটম্যান এবং হ্যারি কেইন...

সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে গোল শোধ করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইন। কিন্তু পারলেন না। রাশিয়া বিশ্বকাপে বেশি গোল করা হ্যারি কেইন গোল্ডেন বুট পাওয়ার সবচেয়ে কাছে পৌঁছে গেছেন। ইতিমধ্যে ৬ গোল করেছেন তিনি। বিশ্বকাপে পৌঁছার আগেই তাকে নিয়ে ইংল্যান্ড ভক্তরা স্বপ্ন বুনেছিলেন। সেই স্বপ্ন যে দিবাস্বপ্ন নয় তার প্রমাণও দিয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত টেনে তুলেছেন। এক ম্যাচ সাইডলাইনে বসেছিলেন। নয়তো তার গোলসংখ্যা আরও বাড়তে পারত। তবে এবারের বিশ্বকাপে হ্যারি কেইনকে গোলমেশিন বলা যেতেই পারে। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় তার। প্রতিপক্ষ ছিল লিথুয়ানিয়া। সেই ম্যাচের প্রথম গোলটি দিতে তিনি সময় নিয়েছিলেন মাত্র ৭৯ সেকেন্ড। মাত্র তিনবার বল স্পর্শ করেছিলেন এই গোলটি করতে। গোল মেশিন কি আর সাধে বলা হয়? প্রিমিয়ার লিগের দুবারের শীর্ষ গোলদাতা হয়েছেন কেইন। রাশিয়া বিশ্বকাপের তার ৬ গোলের মধ্যে তিনটি এসেছে পেনাল্টি থেকে। আর একটি হেড থেকে ও দুটি বক্সের ভিতর থেকে। হ্যারি কেইন যে কতটা নিখুঁত শট নিয়ে থাকেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় একটি পরিসংখ্যান থেকে। তার ৬ গোল করতে শট মারতে হয়েছে মাত্র দশটি। গোল্ডেন বুটের দাবিদার হয়ে হ্যারি কেইনে কাছাকাছি রয়েছেন বেলজিয়ামের লুকাকু। চারটি গোল করেছেন লুকাকু যার তিনটি বক্সের ভিতর থেকে আর একটি হেডে। ফ্রান্সের দুই ফরোয়ার্ডের কথা ভুলে গেলে চলবে না। স্ট্রাইকার গ্রিজম্যান করেছেন ৩ গোল। তিন গোলের মধ্যে দুটি পেনাল্টি আর একটি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে। আরেক ফরাসি তারকা এমবাপ্পের তিনটি গোলই এসেছে বক্সের ভিতর থেকে। এছাড়া দুটি করে গোল আছে ক্রোয়েশিয়ার মডরিচ, রাকিতিচ এবং বেলজিয়ামের হ্যাজার্ডের।

বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট দেওয়ার রীতি চালু হয় ২০১০ সালে। এর আগে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেওয়া হতো গোল্ডেন শ্যু। তারও আগে আনুষ্ঠানিক পদক না দিলেও দেওয়া হতো সর্বোচ্চ  গোলদাতার স্বীকৃতি। অথচ বিশ্বকাপের ইতিহাসের এক আসরে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ওই সময়েই হয়েছে। গোল্ডেন শ্যু দেওয়া শুরু হলে প্রথমবার বিবেচিত হন পাওলো রসি। ৬টি গোল করে তিনি এই সম্মাননায় ভূষিত হন।

সর্বশেষ খবর