শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিদ্রোহী নজরুল

নজরুল তার কবিতায়, গানে, উপন্যাসে পরাধীন ভারতে বিশেষ করে অবিভক্ত বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা, সামন্তবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।

বিদ্রোহী নজরুল

নজরুল প্রেমের কবি, বিদ্রোহের কবি, সাম্যের কবি। বাংলা সাহিত্য-সংগীত তথা সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণপুরুষ নজরুল। তার লেখনী ধূমকেতুর মতো আঘাত হেনে জাগিয়ে দিয়েছিল পরাধীন ভারতবাসীকে। তার উচ্চারিত বিদ্রোহের পঙ্ক্তিমালা অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে আজও অক্লান্ত। তার কবিতা ‘চল্ চল্ চল্’ বাংলাদেশের রণসংগীত। বাঙালির প্রাণের কবি, বিদ্রোহের কবি, বাংলা গানের ‘বুলবুল’ কাজী নজরুল ইসলাম বিশ শতকের বিশ ও ত্রিশের দশকে উপমহাদেশের অবিভক্ত বাংলার সাংস্কৃতিক জগতে সবচেয়ে বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্ব। রবীন্দ্রনাথের অনুকরণ ও অনুসরণ না করেও আধুনিক বাংলা কবিতাকে আলাদা রূপ দেয়া যায় তার প্রমাণ করেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তিনিই রবীন্দ্র-উত্তর সাহিত্যে আধুনিকতার পথিকৃৎ। নজরুল তার কবিতায়, গানে, উপন্যাসে পরাধীন ভারতে বিশেষ করে অবিভক্ত বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা, সামন্তবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। কাজী নজরুল ইসলামের জম্ম ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দে (১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে। তার পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ, মা জাহেদা খাতুন। দরিদ্র পরিবারে জম্মগ্রহণ করায় দুঃখ ছিল তার নিত্যসঙ্গী। তার ডাক নাম ছিল দুখু মিয়া। পিতার অকাল মৃত্যুতে পরিবারের ভরণ-পোষণের জন্য তিনি শিশু বয়সেই মক্তবে শিক্ষকতা, হাজি পালোয়ানের মাজারে খাদেম এবং মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করেছেন। যা পরবর্তীকালে বাংলা সাহিত্যে ইসলামী ঐতিহ্যের সার্থক ব্যবহারে এ সম্পৃক্ততা খুব ফলপ্রসূ হয়েছে। ১৯৭২ সালের ২৪ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে কবি সপরিবারে বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশ সরকার কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন এবং জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশেই ছিলেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট (১২ ভাদ্র) তার মৃত্যু হয়। অন্যরকম সেই নজরুলকে নিয়েই আমাদের এ আয়োজন।              -রকমারি ডেস্ক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর