শিরোনাম
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সাধক হজরত শাহজালাল (রহ.)

শাহ্ দিদার আলম নবেল

সাধক হজরত শাহজালাল (রহ.)

সিলেট কেন এসেছেন-  দেশি পর্যটকদের কাছে এমন প্রশ্ন করা হলে বেশিরভাগই উত্তর দেন তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য- ‘হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত’। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ হোক আর অন্য যে কোনো প্রয়োজনীয় কাজে হোক সিলেটে এলে পর্যটকরা ঘুরে যান এই সাধকের মাজার। ৩৬০ আউলিয়ার সরদার এই সাধককে অছিলা ধরে মনোবাসনা পূরণ করতে হাত উঠান প্রভুর দরবারে। সিলেট মানেই যেন হজরত শাহজালাল (রহ.)। প্রায় ৭০০ বছর আগে জন্মভূমি ছেড়ে ধর্ম প্রচারে আসা সাধক পুরুষ শাহজালালই (রহ.) এখন সিলেটের আরেক পরিচয়। তাঁর কারণে সারা দেশের মানুষ আলাদা সম্মান করেন সিলেটকে, সিলেটের মানুষকে। নগর সিলেটের বুকে একটি টিলার ওপর চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন হজরত শাহজালাল (রহ.)। প্রতিদিন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাজার জিয়ারতে আসেন হাজারো মানুষ। হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর চরণস্পর্শের কারণে অনেকেই পুণ্যভূমি বা আধ্যাত্মিক শহর হিসেবেই অভিহিত করেন সিলেটকে।

 

সিলেট আগমন

হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর সিলেট আগমন নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে মাজারে প্রাপ্ত একটি শিলালিপি অনুসারে ১৩০৩ সালকেই (৭০৩ হিজরি) তাঁর সিলেট আগমনের বছর হিসেবে ধরা হয়। ফারসি ভাষায় লিখিত শিলালিপিটি বর্তমানে ঢাকা জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। মাত্র ৩২ বছর বয়সে ৩৬০ আউলিয়া নিয়ে তিনি পা রেখেছিলেন সিলেটের মাটিতে।

মধ্যপ্রাচ্যের ইয়েমেনকে হজরত শাহজালাল (রহ.) এর পৈতৃক নিবাস হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও অনেক ঐতিহাসিকের দাবি, তার জন্ম তুরস্কের কুনিয়া শহরে। কথিত আছে, হজরত শাহজালাল (রহ.) এর মামা ও মুরশিদ (গুরু) সৈয়দ আহমদ কবীর (রহ.) তাকে একমুঠো মাটি দিয়ে বলেছিলেন, ওই মাটির মতো মাটি যেখানে মিলবে সেখানে ইসলাম প্রচার শুরু করবে। অনেক পথ পাড়ি দিয়ে সিলেটের মাটির সঙ্গে মিল পাওয়ায় এখানেই তিনি শুরু করেন ধর্মপ্রচার।

হজরত শাহজালাল (রহ.) যখন তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে সিলেট আসেন তখন সিলেট এলাকার শাসক ছিলেন অত্যাচারী রাজা গৌড় গোবিন্দ। তাঁর আগমন ঠেকাতে রাজা গৌড় গোবিন্দ অনেক কূটকৌশল অবলম্বন করেন। হজরত শাহজালাল (রহ.) যখন সুরমা নদীর পাড়ে পৌঁছান তখন গৌড় গোবিন্দ নদীতে নৌকা চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। নদী থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় সব নৌকা। তার ধারণা ছিল নৌকা না পেলে সঙ্গীদের নিয়ে সুরমা নদী পার হতে পারবেন না হজরত শাহজালাল। ফলে তিনি গৌড় গোবিন্দের সদর দফতর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেন না। কিন্তু গৌড় গোবিন্দের এই কৌশল তাকে রক্ষা করতে পারেনি। নৌকা না পেয়ে জায়নামাজ বিছিয়ে অলৌকিক ক্ষমতায় বিশাল সুরমা নদী পাড়ি দেন হজরত শাহজালাল (রহ.) ও তাঁর সঙ্গী ৩৬০ আউলিয়া। এতে বিস্মিত হন অত্যাচারী রাজা গৌড় গোবিন্দ।

সব কৌশল ব্যর্থ হওয়ার পর গৌড় গোবিন্দ শুরু করেন জাদুমন্ত্র প্রয়োগ। কথিত আছে, গৌড় গোবিন্দ জাদুমন্ত্র বলে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর কাছে এক প্রকান্ড লৌহ ধনুক প্রেরণ করে। একই সঙ্গে তিনি শর্ত জুড়ে দেন যদি কেউ একা এই ধনুক ‘জ্যা’ ছিন্ন করতে পারে তাহলে গোবিন্দ রাজ্য ছেড়ে চলে যাবেন। তখন হজরত শাহজালাল (রহ.) তাঁর সঙ্গীদের ডেকে জানতে চাইলেন, জীবনে কখনো ফজরের নামাজ কাজা হয়নি এমন কেউ কি তার দলে আছেন। তখন সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন জানান জীবনে কখনো তার ফজরের নামাজ কাজা হয়নি। তখন নাসির উদ্দিনের মাধ্যমেই ছিন্ন করা হয় গৌড় গোবিন্দের ধনুক ‘জ্যা’। অবস্থা বেগতিক দেখে এরপরই ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যান গৌড় গোবিন্দ।

এ বিষয়ে প্রাচীন গ্রন্থ তোয়ারিখে জালালিতে উল্লেখ আছে-

‘চৌকি নামে ছিল যেই পরগনা দিনারপুর

ছিলটের হর্দ্দ ছিল সাবেক মসুর

সেখানে আসিয়া তিনি পৌঁছিলা যখন

খবর পাইলা রাজা গৌবিন্দ তখন।

এপারে হজরত তাঁর লস্কর সহিতে

আসিয়া পৌঁছিলা এক নদীর পাড়েতে

বরাক নামে নদী ছিল যে মসুর

যাহার নিকট গ্রাম নাম বাহাদুরপুর।

যখন পৌঁছিলা তিনি নদীর কেনার

নৌকা বিনা সে নদীও হইলেন পার।

 

হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর দরগাহ মসজিদ

হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার এলাকা দরগাহ গেট এলাকা হিসেবেই পরিচিত। পূর্ব দিক থেকে ঢুকতে গেলেই চোখে পড়ে সুবিশাল সুদৃশ্য একটি তোরণ। তোরণ পেরিয়ে ভিতরে পা রাখতেই চোখে পড়ে বিশাল মসজিদ; যা দরগাহ মসজিদ হিসেবেই পরিচিত। বাংলার সুলতান আবু মুজাফর ইউসুফ শাহের মন্ত্রী মজলিশে আতার আমলে পনেরো শতকে দরগাহ চত্বরে প্রথম এই মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। পরে ১৭৪৪ সালে বাহরাম খাঁ ফৌজদারের আমলে এটি পুনর্নির্মিত হয়। এই মসজিদটিকে সংযুক্ত রেখেই পরে মসজিদটি সম্প্রসারণ করা হয়।

 

জালালি কবুতর

দরগার ভিতরে ঢুকলেই দেখা মিলবে সুরমা রঙের শত শত কবুতর। দল বেঁধে উড়ে বেড়াচ্ছে, অথবা নিচে মুসল্লিদের দেওয়া খাবার খাচ্ছে। সিলেটের সব ধর্মের মানুষ শ্রদ্ধা করেন এই প্রজাতির কবুতরকে। ভালোবেসে ডাকেন ‘জালালি কবুতর’ বা শাহজালাল (রহ.)-এর কবুতর নামে। এই প্রজাতির কবুতর হজরত শাহজালাল (রহ.) সিলেট আসার সময় সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন। তাই অনেকে শাহজালাল (রহ.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে এই কবুতর খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। শুধু সিলেট নয়, দেশ-বিদেশ থেকে মাজারে আসা মুসল্লিরাও সম্মান করেন এই কবুতরকে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন মানত করে এই কবুতরের জন্য খাবারও নিয়ে আসেন।

কথিত আছে, সিলেটের উদ্দেশে যাত্রাপথে দিল্লিতে পৌঁছার পর হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.) নিমন্ত্রণ জানান হজরত শাহজালাল (রহ.) কে। এ সময় নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.) অনেক অলৌকিক নিদর্শন দেখে মুগ্ধ হন। বিদায় বেলায় সম্মান ও শ্রদ্ধাস্বরূপ তিনি হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর হাতে সুরমা রঙের একজোড়া কবুতর তুলে দেন। হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর দরগাহ ও সিলেট অঞ্চলে সুরমা রঙের যেসব কবুতর দেখতে পাওয়া যায় সেগুলো হজরত নিজামুদ্দিন (রহ.)-এর দেওয়া উপহারের কবুতর যুগলের বংশধর হিসেবেই মনে করেন মানুষ।

 

জমজমের কূপ সোনার কৈ-মাগুর

হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারের পশ্চিম পাশে একটি কূপ রয়েছে। এই কূপের সঙ্গে সৌদি আরবের জমজম কূপের সংযোগ রয়েছে বলেও অনেকে বিশ^াস করেন। কূপের মধ্যে সোনার কৈ ও মাগুর আছে এমনটাও মনে করেন মাজারে আসা অনেক মুসল্লি। জনশ্রুতি আছে, হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর নির্দেশে এই কূপটি খনন করা হয়। কূপ খননের পর তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন এই কূপের সঙ্গে যাতে সৌদি আরবের জমজমের কূপের সংযোগ করে দেন। মোনাজাত শেষে তিনি হাতের লাঠি দিয়ে মাটির ওপর আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গে কূপটির সঙ্গে জমজম কূপের সংযোগ স্থাপিত হয় এবং পানি প্রবাহিত হতে থাকে। পরে এই কূপটির চারপাশ পাকা করে দেওয়া হয়। কূপের উত্তর পাশে দুটি পাথর বসানো হয়। এই পাথর দিয়ে দিনরাত পানি গড়িয়ে পড়ে, যা জমজমের কূপ থেকে আসে, এমন বিশ^াস মাজার জিয়ারতে আসা বেশির ভাগ মুসল্লির। অনেকে মাজার জিয়ারত শেষে বোতলে করে এই পানি নিয়ে যান। কূপের মধ্যে মাঝে মধ্যে হলুদ রঙের কৈ ও মাগুর মাছ ভেসে উঠতে দেখা যায়। অনেকে এই মাছগুলোকে সোনার কৈ-মাগুর বলেও জ্ঞান করেন।

 

শাহজালাল (রহ.)-এর ব্যবহৃত জিনিসপত্র

হজরত শাহজালাল (রহ.) ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক সাধক, ধর্মপ্রচারক ও সাহসী যোদ্ধা। দরগার দক্ষিণ দিকে দরগাহ মাদ্রাসা বিল্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে একটি প্রবেশপথ রয়েছে। এই পথ দিয়ে একটু সামনে অগ্রসর হলেই মুফতি নাজিমুদ্দিন আহমদের বাসা। ওই বাসাতেই সংরক্ষিত আছে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর ব্যবহৃত তলোয়ার ও খড়ম। তলোয়ারটি খাপের মধ্যে ঢুকানো। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া খাপের (কাঠের কাভার) ভিতর থেকে পুরো তলোয়ারটি বের করা হয় না। তলোয়ারটি বের করলে আবার খাপের মধ্যে ঢোকানো অনেক কষ্টকর বলে এটা সাধারণত বের করা হয় না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া দরগার মোতাওয়াল্লির বাড়িতে সংরক্ষিত আছে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর ব্যবহৃত প্লেট ও বাটি। হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর ব্যবহৃত এই নির্দশনগুলো দেখতে প্রতিদিন এ দুই বাড়িতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।

 

গজার মাছ

হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারের উত্তর-পূর্ব পাশে রয়েছে একটি পুকুর। মাজার জিয়ারত ও ঘুরতে আসা লোকজনের কাছে অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে এই পুকুর। পুকুরে সারাক্ষণ ভেসে বেড়ায় বিশাল বিশাল গজার মাছ। খাবার দেখিয়ে ডাক দিলেই পাড়ের কাছে চলে আসে গজার মাছের দল। অনেকের মতে এই পুকুরে গজার মাছ পুষেছিলেন হজরত শাহজালাল (রহ.) নিজেই। তাই ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই গজার মাছকে সম্মান দেখান। পুকুরের মাছ কখনো কেউ শিকার করেন না। কোনো মাছ মারা গেলে দরগা কর্তৃপক্ষ সম্মানের সঙ্গে মাটিতে পুঁতে দেন। ২০০৩ সালের ৪ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করে পুকুরের সাত শতাধিক গজার মাছ মেরে ফেলে। ফলে পুকুরটি মাছশূন্য হয়ে পড়ে। মরে যাওয়া মাছগুলোকে মসজিদের পশ্চিম দিকের গোরস্থানে পুঁতে ফেলা হয়। পরে পুকুরটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে আবারও গজার মাছ ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০০৪ সালের ১১ জানুয়ারি মৌলভীবাজারের হজরত শাহ মোস্তফা (রহ.)-এর মাজারের পুকুর থেকে এনে ২৪টি গজার মাছ এই পুকুরে ফেলা হয়। হজরত শাহ মোস্তফা (রহ.) ছিলেন হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর অন্যতম সফরসঙ্গী। বর্তমানে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর দরগাহ পুকুরে মাছগুলোকে পবিত্রজ্ঞান করে এগুলো দেখা ও খাবার দেওয়ার জন্য প্রতিদিন হাজারো মুসল্লি ভিড় করেন পুকুরপাড়ে। 

 

বিশালাকার ডেকচি

মাজারের পূর্ব দিকে একতলা ঘরের মধ্যে পিতলের তৈরি বিশালাকার তিনটি ডেকচি রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ডেকচিতে সাত মণ চাল আর সাতটি গরু একসঙ্গে রান্না করা যেত বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। তবে এখন আর ডেকচিগুলো রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় না। মুখে জালি আটকানো ডেকচিতে মাজারে আসা লোকজন পুণ্যলাভের আশায় মানত করা টাকা-পয়সা দান করে থাকেন।  জানা যায়, হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মৃত্যুর কয়েকশ বছর পর এই তিনটি ডেকচি ঢাকার মুরাদ বখস দান করেছিলেন। ডেকচির কিনারায় ফারসি ভাষায় লেখা রয়েছে- জাহাঙ্গীরনগর (বর্তমান ঢাকা) ইয়ার মোহাম্মদের পুত্র শায়খ আবু সাঈদ ইহা তৈরি করিয়ে মুরাদ বখস কর্তৃক দরগাহে পাঠানো হলো। ডেকচি পাঠানোর তারিখ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে- ‘রমজান ১১০৬ হিজরি (১৬৯৫ খ্রিস্টাব্দ)’। মুরাদ বখস ছিলেন ঢাকার সুবেদার শাহ সুজার নৌ সেনাপতি। তার পুরো নাম সৈয়দ মীর মুরাদ।

 

হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর ওফাত মাজার

৭৪০ হিজরি সালের (১৩৪০ খ্রিস্টাব্দ) ১৯ জিলহজ। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর শরীর খুব ভালো নেই। তার পরও তিনি সারা দিন আগত খলিফা, মুরিদ ও ভক্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেন। নিজ গৃহে (হুজরায়) প্রবেশের আগে খাদেমকে বলে রাখেন তার ঘরে যাতে কেউ প্রবেশ না করে। রাতের প্রথমার্ধে ঘরের ভিতর জোরে জোরে জিকির করতে শোনা যায়। হঠাৎ তার জিকিরের আওয়াজ ক্ষীণ হয়ে আসে। রাত শেষ হয়ে আসে। মসজিদের মিনার থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসে। পূর্ব আকাশ ধীরে ধীরে ফর্সা হতে থাকে। কিন্তু এ কি! হজরত শাহজালাল (রহ.) ঘুম থেকে জাগছেন না। ঘর থেকে বেরিয়ে মসজিদে আসছেন না। এ যে বড় ব্যতিক্রমী কা-! ধীরে ধীরে ঘরের দরজা ফাঁক করেন খাদেম। দেখেন হজরত শাহজালাল (রহ.) চিৎ হয়ে শায়িত। ৬৯ বছর বয়সে ইহকালের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে তিনি চলে গেছেন মহান রাব্বুল আলামিনের সান্নিধ্যে। হজরত শাহজালাল (রহ.) ছিলেন চিরকুমার। এজন্য তাকে বলা হতো মজররদ। তাঁর মৃত্যুর পর দরগার যে টিলায় তিনি থাকতেন ওই টিলায়ই কবর দেওয়া হয়। আজো প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ তার কবর জিয়ারতে আসেন। তাকে অসিলা ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন মহান আল্লাহর কাছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর