শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

TIME এর চোখে সেরা বই

তানভীর আহমেদ

TIME এর চোখে সেরা বই

সাহিত্যিকদের সর্বশ্রেষ্ঠ দর্শন জমা থাকে একেকটি বইয়ে। যুগে যুগে শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের বহু সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি হয়েছে। এসব সাহিত্যকর্মের ছোট কোনো তালিকা করা আদৌ সম্ভব নয়। তবে কালজয়ী সাহিত্যকর্মের তালিকায় বারবার কয়েকটা বইয়ের নাম উঠে এসেছে। পাঠকপ্রিয়তার দিক থেকেও তাদের আবেদন সময়কে জয় করেছে। বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের করা তেমনই কয়েকটি বইয়ের তালিকা নিয়ে এ আয়োজন-

 

আনা ক্যারেনিনা

[ লিও টলস্টয় ]

বই : আনা ক্যারেনিনা , লেখক : লিও টলস্টয়, ভাষা : রাশিয়ান, ধরন : উপন্যাস, প্রকাশক : দ্য রাশিয়ান ম্যাসেঞ্জার, প্রকাশকাল : ১৮৭৭,  পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৮৬৪

রাশিয়ান সাহিত্যিক লিও টলস্টয়ের অমর সৃষ্টিকর্ম  আনা ক্যারেনিনা। দ্য রাশিয়ান ম্যাসেঞ্জারে দীর্ঘ সময় ধরে এ উপন্যাসটি প্রকাশ হয়েছিল। তখন থেকেই পাঠকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল উপন্যাসটি। বইটি বিশেষভাবে আলোচিত হয় এর ঐতিহাসিক প্লটের জন্য। গল্প গাঁথুনীতেও এর সমকক্ষ লেখনী দ্বিতীয়টি নেই। ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পাওয়ার পর বই আকারে এটি পাঠকদের হাতে আসে। রাজনৈতিক বিষয় থাকায় পাঠকদের কাছে এর গুরুত্ব বাড়তে থাকে। বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ফয়ডর বইটির চমৎকার একটি মূল্যায়ন করেছিলেন। তিনি বলেন, এটি চিত্রকর্মের মতোই স্থির। তার এ দামি মূল্যায়নই প্রমাণ করে বইটির সাহিত্যগুণ কতটা উচ্চমানের। টাইমের চোখে এটি সেরা সাহিত্যকর্ম হিসেবে উঠে আসার পেছনে আরও অনেক যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। সে সবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, এটি টলস্টয়ের দর্শনের প্রতিনিধিত্ব করে। এ কারণেই আনা ক্যারেনিনা টলস্টয়ের জীবন দর্শনের অসাধারণ এক সাহিত্যকর্ম হিসেবে সমাদৃত। রাশিয়ান ভাষায় লিখিত এ উপন্যাসটি এখনো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাষায় নিয়মিত অনূদিত হচ্ছে। এখনো বিশ্বজুড়ে এটি লাখ লাখ কপি বিক্রি হয়। নিঃসন্দেহে কালজয়ী উপন্যাসের তালিকায় সবার আগেই থাকবে এটি।

 

ম্যাডাম বোভারি

[ গুস্তাভ ফ্লবার্ট ]

বই : ম্যাডাম বোভারি, লেখক : গুস্তাভ ফ্লবার্ট, ভাষা : ফ্রেঞ্চ, ধরন : উপন্যাস, প্রকাশক : রিব্যু ডে প্যারিস, প্রকাশকাল : পর্বাকারে ১৮৫৭, বই আকারে ১৮৫৭

আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময়ে যে কয়টি অনবদ্য, অমর সাহিত্যকর্ম এখনো পাঠকদের রোমাঞ্চিত করে তার একটি ম্যাডাম বোভারি। গুস্তাভ ফ্লবার্টের প্রথম উপন্যাস ছিল এটি। সিরিয়াল আকারে প্রথম দিকে এটি প্রকাশিত হতে থাকে। পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ পায়। একজন নারী চিকিৎসকের জীবনের নানা বর্ণিল দিক নিয়ে বইটি লেখা হয়। তার উচ্চাভিলাসী জীবনযাপনের আড়ালে একান্ত ব্যক্তিগত জীবনের স্বপ্ন খুঁজে নেওয়ার গল্প রয়েছে বইটিতে। নতুন করে স্বপ্নবোনা এবং সব প্রতিকূলতাকে উপড়ে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার ঘটনা পাঠককে আলোড়িত করবে। কালজয়ী সেরা বইয়ের তালিকায় টাইম-এর চোখ এড়াতে পারেনি ম্যাডাম বোভারি। ১৮৫৬ সালের দিকে যখন এটি পর্ব আকারে প্রকাশ হতে শুরু করে তখন আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছিল। নগ্নতার উপস্থাপনা রয়েছেÑ এ অজুহাতে এক শ্রেণির পাঠক উপন্যাসটির সমালোচনা শুরু করেন। উপন্যাসটি ঘিরে যত সমালোচনাই হোক না কেন পাঠকদের কাছে এর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশছোঁয়া। সেই জনপ্রিয়তার প্রমাণ পাওয়া যায় এটি যখন বই আকারে প্রকাশ পায়। বইটি প্রকাশের পরই বেস্টসেলার তকমা পায়। শুধু সেই সময়ের নয়, এখনো এটি ‘বেস্টসেলার’ বই হিসেবে সমাদৃত। উপন্যাসটি ফ্লবার্টের সত্যিকার এক মাস্টারপিস।

 

ওয়ার অ্যান্ড পিস

[ লিও টলস্টয় ]

 বই : ওয়ার অ্যান্ড পিস, লেখক : লিও টলস্টয়, ভাষা : রাশিয়ান, ফ্রেঞ্চ, ধরন : উপন্যাস-রোমান্স, প্রকাশক : দ্য রাশিয়ান ম্যাসেঞ্জার,  প্রকাশকাল : ১৮৬৯

অবাক শোনালেও সত্যি, ১৮৬৯ সালে যখন ওয়ার অ্যান্ড পিস প্রথম প্রকাশিত হয় তখন এটি পাঠকদের কাছে খুব বেশি জনপ্রিয় হয়নি। কিন্তু সাহিত্যমানের গুরুত্ব  কেউ এড়িয়ে যেতে পারেনি। তাই সময় যত গড়িয়েছে বইটি তত পাঠকপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। শুধু ইংরেজি সাহিত্য নয়, সারা বিশ্বের সাহিত্যকর্মগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত হয় ওয়ার অ্যান্ড পিস।

টলস্টয়ের সাহিত্যকর্ম নিয়ে যারা গবেষণা করেছেন, তারাও একবাক্যে স্বীকার করেছেন, এটি তার জীবনের সবচেয়ে বড় সৃষ্টিকর্ম। পাঁচটি রাশিয়ান রাজকীয় পরিবারের চোখে যেন একটি সমাজ ও সময়ের সম্পূর্ণ প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন এ উপন্যাসে। উপন্যাসটি সর্বপ্রথম সম্পূর্ণ প্রকাশ হয় ১৮৬৯ সালে। এর আগে উপন্যাসটির বিভিন্ন অংশ ও প্লট আলোচিত হয়ে আসছিল। বই আকারে প্রকাশ হওয়ার পর সাহিত্য গবেষকরা বলেছিলেন, বইটি সময়কে জয় করবে। তাদের সেই ধারণা মিলে গেছে। ২০০৩ সালে বিবিসির জরিপেও এটি উঠে এসেছিল। 

 

 

ললিতা

[ ভ্রাদিমির নাবকোভ ]

 বই : ললিতা, লেখক : ভ্রাদিমির নাবকোভ, ভাষা : ইংরেজি,  ধরন : উপন্যাস, প্রকাশকাল : ১৯৫৫

 

ইংরেজি ভাষায় লেখা ললিতা। এ বই দিয়ে ভøাদিমিরকে ট্র্যাজিক কমেডি রচয়িতা হিসেবে নতুন করে চিনতে পারে বিশ্ব। ১৯৫৫ সালে প্যারিসে এবং ১৯৫৮ সালে নিউইয়র্কে ললিতা উপন্যাসটি আলোচনার ঝড় তুলেছিল। রাশিয়ান ভাষায় বইটি অনূদিত হওয়ার পর জনপ্রিয়তায় আকাশ ছোঁয়। উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে আর কোনো বই এত জনপ্রিয়তা পেয়েছিল কিনাÑ সেটা গবেষণার বিষয়। একদম শুরুর দিকে উপন্যাসের যে ধীর গতির রেস থাকে সেটা ছিল না এ উপন্যাসে। এ ধরনের স্টাইল পাঠককে দারুণ আকর্ষণ করে। ললিতা নামটি বিংশ শতাব্দীতেও এতটুকু আবেদন হারায়নি। এ উপন্যাসটি যৌনাবেদন নির্ভর উপন্যাসের ক্লাসিক সাহিত্যকর্ম বলে বিবেচিত। ১২ বছরের মেয়ের সঙ্গে একজন মধ্য বয়স্ক সাহিত্য-শিক্ষকের প্রেমের কাহিনি নিয়ে এর মূল প্লট সাজানো হয়েছে। সাহিত্য সমালোচকরা বলেন, গল্পে প্রেম ও যৌনতা নদীর ঢেউয়ের মতো পাঠককে দুলুনি দিয়ে যায়।

 

 

দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব হাকলবেরি ফিন

[ মার্ক টোয়েন ]

বই : দ্য অ্যাডভেঞ্জারস অব হাকলবেরি ফিন, লেখক : মার্ক টোয়েন, ভাষা : ইংরেজি, ধরন : উপন্যাস-স্যাটায়ার, প্রকাশকাল : ১৮৮৪

উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ইংল্যান্ডে। এক বছর পরই যুক্তরাষ্ট্রে এটি প্রকাশ পায়। এর পরই উপন্যাসটির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। উপন্যাসটিকে ‘দ্য গ্রেট আমেরিকা নোবেল’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শুরুর দিকে মিসিসিপি নদীতে অ্যাডভেঞ্চার করতে গিয়ে বেশ মজার অভিজ্ঞতার বর্ণনা রয়েছে। উপন্যাসটি যত সামনের দিকে এগোতে থাকে ততই সেটা দ্রুতই রাজনৈতিক-স্যাটায়ারে রূপ নেয়। উপন্যাসটির এ বিশেষত্ব পাঠককে রোমাঞ্চিত করে। ওয়েবস্টার অ্যান্ড কোম্পানি বইটি প্রকাশ করে রীতিমতো ঝড় তোলে সারা বিশ্বে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাহিত্য সমালোচক এ উপন্যাসের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বিংশ শতাব্দীতে এসেও এখনো পলিটিক্যাল স্যাটায়ার উপন্যাসের কথা উঠলেই এ উপন্যাসের কথা আলাদাভাবে বলতে হয়। একটি সমাজব্যবস্থার ত্রুটিগুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন মার্ক টোয়েন। একই সঙ্গে কীভাবে সেই ত্রুটি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব তারও চমৎকার বর্ণনা রয়েছে এ বইয়ে।

 

 

 

হ্যামলেট

[ উইলিয়াম শেকসপিয়ার ]

বই : হ্যামলেট, লেখক : উইলিয়াম শেকসপিয়ার , ভাষা : ইংরেজি , ধরন : ট্র্যাজেডি-নাটক

ট্র্যাজেডি কিং হ্যামলেটের করুণ পরিণতি নিয়ে রচিত নাটক হ্যামলেট। কালজয়ী তকমা পায় বইটি। উইলিয়াম শেকসপিয়ারের সেরা ট্র্যাজেডি নাটক হিসেবে এটি প্রশংসিত। হ্যামলেট শেকসপিয়ারের সবচেয়ে দীর্ঘতম নাটক। সারা বিশ্বেই নিয়মিত মঞ্চায়ন হয় এ ট্র্যাজেডি নাটকটি।  নাটকীয়ভাবে একজন অসম্ভব ক্ষমতাবান সম্রাটের প্রতিশোধ নেওয়া এবং মৃত্যুর মাধ্যমে এর করুণ পরিণতি ঘিরে। এ ট্র্যাজেডিতে বিশেষ মাত্রা যোগ করে শেকসপিয়ারের চরিত্রগুলোর অনবদ্য ডায়ালগ বা কথোপকথন। নাটকের প্রকাশকাল নিয়ে দ্বিধা রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, এটি পঞ্চদশ শতকের শেষ দিকে নয়তো ষোড়শ শতকের একেবারে শুরুর দিকে রচিত হয়ে থাকতে পারে। ইংরেজি ভাষায় হ্যামলেটের সমকক্ষ সত্যিই কোনো নাটক নেই। আর যদি ট্র্যাজেডি নাটকের কথা ওঠে, তবে হ্যামলেটই সেরা। শেকসপিয়ার তার লেখা ট্র্যাজেডি নাটকগুলোর সমাপ্তিতে বড় ধরনের প্রশ্ন রেখে যান পাঠকদের জন্য। এ প্রশ্ন তার মনকে ঘিরে, তার জীবনবোধ ও তার কর্মকে ঘিরে। তার লেখা উত্থান-পতন, চাওয়া-পাওয়া, স্বপ্ন দেখা ও ব্যর্থতার অসাধারণ এক সম্মিলন।

 

 

দ্য গ্রেট গ্যাটসবে

[ স্কট ফিটজজেরাল্ড ]

বই : দ্য গ্রেট গ্যাটসবে , লেখক : স্কট ফিটজজেরাল্ড, ভাষা : ইংরেজি, ধরন : উপন্যাস-ফিকশন, প্রকাশকাল : ১৯২৫

স্কট ফিটজজেরাল্ড তার নিজস্ব লেখনী ও গল্প বলার ভঙ্গির জন্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার উপন্যাসগুলোর চরিত্রগুলোও সাহিত্য সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।

আমেরিকান লেখকদের মধ্যে ফিকশন রাইটারদের রাজত্বে স্কট ফিটজজেরাল্ডের আধিপত্য বিস্তার হয় দ্য গ্রেট গ্যাটসবে উপন্যাসটি প্রকাশ হওয়ার পর। ১৯২৫ সালে যখন এ উপন্যাসটি প্রকাশ হয় তখন চরিত্র সৃষ্টির দিক থেকে সবাইকে চমকে দেন তিনি।

মিলিয়নিয়ার ব্যক্তিত্ব গেটসবের জীবনের অনেক রহস্যময় দিক এ উপন্যাসে উঠে আসে। একজন তরুণ মিলিয়নিয়ারের প্রেমিকাকে ঘিরে নতুনভাবে জীবন গড়ে তোলার গল্প এ উপন্যাসের প্রধান আকর্ষণ। উপন্যাসটিতে শুধু সম্পদশালী ব্যক্তির গল্প ছিল না। পাশাপাশি ফিটজজেরাল্ডের নিজস্ব দর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গীর চমৎকার উপস্থাপন ছিল। এ উপন্যাসটির রচনার পেছনে দারুণ একটি ঘটনা রয়েছে। ১৯২৩ সালের কথা। এক বিশাল দ্বীপে নির্জন প্রান্তরে যখন তিনি হাঁটছিলেন। নতুন কিছু লেখার ভাবনা থেকেই তিনি এ উপন্যাসটির গল্প খুঁজে পান। গল্পে প্রেম ও ট্র্যাজেডি পাঠককে মুগ্ধ করবে। এ উপন্যাসকে ভিত্তি করে হলিউডে সিনেমা তৈরি হয়েছে।

 

ইন সার্চ অব লস্ট টাইম

[ মার্সেল প্রস্ট ]

বই : ইন সার্চ অব লস্ট টাইম, লেখক : মার্সেল প্রস্ট , ভাষা : ফ্রেঞ্চ, ধরন : উপন্যাস-মডার্নিস্ট , প্রকাশকাল : ১৯১৩-১৯২৭

মাস্টারপিস শব্দটি সাহিত্য সমালোচকরা সচরাচর ব্যবহার করেন না। কোনো বই যখন কালজয়ী হয়ে ওঠে তখনই তার গুরুত্ব অন্যসব সাহিত্যকর্ম থেকে বিশেষভাবে মূল্যায়িত হয়। ইন সার্চ অব লস্ট টাইম তেমনই একটি উপন্যাস। একটি উপন্যাস হলেও মোট সাতটি খ-   রয়েছে এতে। মার্সেল  প্রস্টের  সবচেয়ে  জনপ্রিয় সাহিত্যকর্ম ছিল এটি। শুধু আকারের দিক থেকে দীর্ঘতম উপন্যাস হিসেবেই নয়, এর প্লটটি অসাধারণ। এর প্রতিটি অধ্যায়, পর্বভিত্তিক অংশগুলো পাঠকদের কাছে জনপ্রিয়। ইংরেজিতে  এর জনপ্রিয়তার পেছনে দুজন অনুবাদকের কথা আলাদা করে বলতেই হয়। স্কট মনক্রিপ এবং টেরেন্স কিল মার্টিন- এ দুজন এ উপন্যাসটিকে সারা দুনিয়ার সামনে নতুনভাবে উপস্থাপন করেন। ১৯০৯ সালের সামাজিক প্রতিচ্ছবি দিয়ে উপন্যাসটি শুরু হয়। পুরো উপন্যাসে বিভিন্ন সময়ের ছোট ছোট  চিত্রগুলো ফুটে ওঠে। সেই ছবিকল্প ও গল্প জোড়া লেগেই উপন্যাসের রূপ নেয়। সাতখন্ডের এ উপন্যাসের শেষ তিন অংশে সময়কে অতিক্রম করে পেছনে চলে আসার যে আকাক্সক্ষা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা অনবদ্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর